শেষযাত্রার প্রস্তুতি শুরু?সমাহিত করার জায়গা নিয়ে পরিবারে মতভেদ
নেলসন ম্যান্ডেলার অবস্থা সংকটাপন্ন।
স্থানীয় পত্রিকা স্টারের দাবি, কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস দিয়ে বাঁচিয়ে
রাখা হয়েছে তাঁকে। তাঁর 'শান্তিপূর্ণ প্রস্থানের' জন্য দেশজুড়ে চলছে
প্রার্থনা।
ম্যান্ডেলা চলে গেলে পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে
গত মঙ্গলবার গ্রামের বাড়ি কুনুতে পারিবারের সদস্যরা বৈঠকও করেছেন। স্থানীয়
সংবাদমাধ্যমের দাবি, ওই বৈঠকের ঘণ্টা দুয়েক পরে কুনুতে কবর খোঁড়ার
প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
নিউমোনিয়া থেকে ফুসফুসে সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় গত ৮ জুন প্রিটোরিয়ার মেডিক্লিনিক হার্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ম্যান্ডেলাকে। গত রবিবার থেকে তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটতে শুরু করে। তাঁর চিকিৎসায় যাতে ব্যাঘাত না ঘটে সে জন্য মঙ্গলবার থেকে হাসপাতালের প্রবেশমুখে পুলিশি প্রহরা আরো কঠোর করা হয়েছে। ম্যান্ডেলার ঘনিষ্ঠরা ছাড়া কেউ হাসপাতালে ঢুকতে পারছে না। তিনি যাতে শান্তিতে বিদায় নিতে পারেন সে জন্য হাসপাতালের ভেতরেই বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। দেশজুড়েও তাঁর অগণিত ভক্ত, সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা প্রার্থনা করেছে।
স্থানীয় পত্রিকা ব্লিড জানিয়েছে, ম্যান্ডেলাকে বিদায় জানাতে কুনুতে প্রস্তুতি চলছে। মঙ্গলবার কুনুতে পারিবারিক বৈঠক শেষে সেখানে কবর খোঁড়ার একটি মেশিন নেওয়া হয়েছে। পারিবারিক সমাধিক্ষেত্রের কাছেই সেটা রাখা হয়েছে। বৈঠক শেষে অনেককেই সমাধিক্ষেত্রের ভেতরে ঢুকতে দেখা গেছে। তবে সমাধিক্ষেত্রে প্রাচীর উঁচু হওয়ায় ভেতরে কী হচ্ছে তা দেখা সম্ভব হয়নি।
বৈঠকের আলোচ্যসূচি নিয়ে সে অর্থে কেউ মুখ খোলেনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র জানিয়েছে, পারিবারিক 'স্পর্শকাতর ও বিশেষ' বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে ম্যান্ডেলার ঘনিষ্ঠ স্বজন ছাড়াও ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (ইউডিএ) নেতা বান্তু হলোমিসা এবং জনসেবা ও প্রশাসনবিয়ষক মন্ত্রী লিন্ডিউই সিসুলু উপস্থিত ছিলেন।
হলোমিসা বলেন, 'ম্যান্ডেলার পরিবারের মুরবি্বদের তাঁর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানাতেই এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। ইস্টার্ন কেপ ও জোহানেসবার্গে ম্যান্ডেলার অনেক স্বজন আছে। তাঁকে নিয়ে সবাই চিন্তিত। এ মুহূর্তে আলাদা আলাদা করে সবাইকে ম্যান্ডেলার অবস্থা জানানো সম্ভব নয়। এ জন্যই এ বৈঠকে বসা।' ম্যান্ডেলাকে সমাহিত বা এ-সংক্রান্ত অন্য কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়নি। কারণ সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে এটা সরকারের দায়িত্ব। তবে ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য টাইমস জানিয়েছে, বৈঠকে ম্যান্ডেলার স্বাস্থ্য এবং কুনুতে তাঁকে সমাহিত করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
স্টার পত্রিকা তিনটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, মৃত্যুর পর ম্যান্ডেলাকে কোথায় সমাহিত করা হবে তা নিয়ে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মতভেদ দেখা দিয়েছে। নাতি মান্ডলা ম্যান্ডেলা চাইছেন, ম্যান্ডেলাকে তাঁর জন্মস্থান মভেজুতে সমাহিত করা হোক। বাকিরা বলছেন, ম্যান্ডেলা কুনুর পারিবারিক সমাধিক্ষেত্রে নিজের সন্তানদের সমাধির কাছে তাঁকে সমাহিত করার কথা আগেই বলেছিলেন। কাজেই সবার উচিত তাঁর মতামতকে সম্মান করা। ২০১১ সালে মভেজু থেকে পারিবারিক সমাধিক্ষেত্র কুনুতে স্থানান্তর করা হয়।
ম্যান্ডেলার মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর ব্রিটেনের পার্লামেন্ট সদস্যরা দাঁড়িয়ে তাঁকে সম্মান জানাবে। মঙ্গলবার ব্রিটিশ সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মূলত রানি ও প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুর পর এ সম্মান দেখানো হয়। এক সূত্র জানিয়েছে, বিদেশি কোনো নেতার জন্য এই প্রথম ব্রিটিশ সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নিউমোনিয়া থেকে ফুসফুসে সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় গত ৮ জুন প্রিটোরিয়ার মেডিক্লিনিক হার্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ম্যান্ডেলাকে। গত রবিবার থেকে তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটতে শুরু করে। তাঁর চিকিৎসায় যাতে ব্যাঘাত না ঘটে সে জন্য মঙ্গলবার থেকে হাসপাতালের প্রবেশমুখে পুলিশি প্রহরা আরো কঠোর করা হয়েছে। ম্যান্ডেলার ঘনিষ্ঠরা ছাড়া কেউ হাসপাতালে ঢুকতে পারছে না। তিনি যাতে শান্তিতে বিদায় নিতে পারেন সে জন্য হাসপাতালের ভেতরেই বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। দেশজুড়েও তাঁর অগণিত ভক্ত, সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা প্রার্থনা করেছে।
স্থানীয় পত্রিকা ব্লিড জানিয়েছে, ম্যান্ডেলাকে বিদায় জানাতে কুনুতে প্রস্তুতি চলছে। মঙ্গলবার কুনুতে পারিবারিক বৈঠক শেষে সেখানে কবর খোঁড়ার একটি মেশিন নেওয়া হয়েছে। পারিবারিক সমাধিক্ষেত্রের কাছেই সেটা রাখা হয়েছে। বৈঠক শেষে অনেককেই সমাধিক্ষেত্রের ভেতরে ঢুকতে দেখা গেছে। তবে সমাধিক্ষেত্রে প্রাচীর উঁচু হওয়ায় ভেতরে কী হচ্ছে তা দেখা সম্ভব হয়নি।
বৈঠকের আলোচ্যসূচি নিয়ে সে অর্থে কেউ মুখ খোলেনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র জানিয়েছে, পারিবারিক 'স্পর্শকাতর ও বিশেষ' বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে ম্যান্ডেলার ঘনিষ্ঠ স্বজন ছাড়াও ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (ইউডিএ) নেতা বান্তু হলোমিসা এবং জনসেবা ও প্রশাসনবিয়ষক মন্ত্রী লিন্ডিউই সিসুলু উপস্থিত ছিলেন।
হলোমিসা বলেন, 'ম্যান্ডেলার পরিবারের মুরবি্বদের তাঁর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানাতেই এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। ইস্টার্ন কেপ ও জোহানেসবার্গে ম্যান্ডেলার অনেক স্বজন আছে। তাঁকে নিয়ে সবাই চিন্তিত। এ মুহূর্তে আলাদা আলাদা করে সবাইকে ম্যান্ডেলার অবস্থা জানানো সম্ভব নয়। এ জন্যই এ বৈঠকে বসা।' ম্যান্ডেলাকে সমাহিত বা এ-সংক্রান্ত অন্য কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়নি। কারণ সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে এটা সরকারের দায়িত্ব। তবে ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য টাইমস জানিয়েছে, বৈঠকে ম্যান্ডেলার স্বাস্থ্য এবং কুনুতে তাঁকে সমাহিত করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
স্টার পত্রিকা তিনটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, মৃত্যুর পর ম্যান্ডেলাকে কোথায় সমাহিত করা হবে তা নিয়ে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মতভেদ দেখা দিয়েছে। নাতি মান্ডলা ম্যান্ডেলা চাইছেন, ম্যান্ডেলাকে তাঁর জন্মস্থান মভেজুতে সমাহিত করা হোক। বাকিরা বলছেন, ম্যান্ডেলা কুনুর পারিবারিক সমাধিক্ষেত্রে নিজের সন্তানদের সমাধির কাছে তাঁকে সমাহিত করার কথা আগেই বলেছিলেন। কাজেই সবার উচিত তাঁর মতামতকে সম্মান করা। ২০১১ সালে মভেজু থেকে পারিবারিক সমাধিক্ষেত্র কুনুতে স্থানান্তর করা হয়।
ম্যান্ডেলার মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর ব্রিটেনের পার্লামেন্ট সদস্যরা দাঁড়িয়ে তাঁকে সম্মান জানাবে। মঙ্গলবার ব্রিটিশ সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মূলত রানি ও প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুর পর এ সম্মান দেখানো হয়। এক সূত্র জানিয়েছে, বিদেশি কোনো নেতার জন্য এই প্রথম ব্রিটিশ সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
No comments