সাভার ট্র্যাজেডির দুই মাস-ক্ষতিগ্রস্তদের অবিলম্বে পুনর্বাসন করা হোক
ভবন মালিক থেকে গার্মেন্ট মালিক, দায়
এড়াতে পারছেন না কেউ। দুই মাস আগে ঢাকার অদূরে সাভারে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক
ভবনধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে।
যাঁদের
জীবিত উদ্ধর করা হয়েছিল, তাঁদের অনেকে এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অনেকেরই
অঙ্গহানি ঘটেছে। সাভারের রানা প্লাজা ধসে পড়ার পর সরকার ও বিজিএমইএর পক্ষ
থেকে অনেক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এখনো কোনো
ক্ষতিপূরণ ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে পৌঁছেনি। তাঁদের পুনর্বাসনের কোনো ব্যবস্থা
গ্রহণ করা হয়নি। বিজিএমইএ দুই মাস পর একটি তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে। তদন্ত
প্রতিবেদনে ভবন মালিক থেকে গার্মেন্ট মালিকদের দায়ী করা হয়েছে। সাভার
পৌরসভাও যে দায় এড়াতে পারে না, সে বিষয়টিও উঠে এসেছে বিজিএমইএর
প্রতিবেদনে।
সাভারের রানা প্লাজাধসের ঘটনাটি আমাদের দেশের জন্য একটি বড় ধরনের দুর্ঘটনা হলেও এটা কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় ছিল না। মানুষের তৈরি এ বিপর্যয়ে এক হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি যেমন ঘটেছে, তেমনি দুই হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এ মানুষগুলোর জন্য স্থায়ী পুনর্বাসন অত্যন্ত জরুরি ছিল। কিন্তু সে কাজটিও কম গুরুত্ব পেয়েছে। রানা প্লাজাধসের ঘটনায় আহতের তালিকায় আছে এক হাজার ১৭৬ জনের নাম। তাঁদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৮৪২ জনকে সরকারিভাবে পাঁচ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে। বাকিদের পর্যায়ক্রমে এ টাকা দেওয়া হবে, এমন তথ্য পাওয়া যায়। এ ছাড়া গুরুতর আহত আটজনকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একটি করে হুইল চেয়ার ও অনুদানের অর্থ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুনর্বাসনের কোনো নির্দেশনা এখন পর্যন্ত নেই। বিজিএমইএ একটি তদন্ত প্রতিবেদন দিলেও আহত শ্রমিক ও নিহতের পরিবারের পুনর্বাসনে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে সে সম্পর্কে কোনো দিকনির্দেশনাও নেই। বিদেশি ক্রেতাদের কাছ থেকে বেশ কিছু সাহায্যের আশ্বাস পাওয়া গেছে। বিজিএমইএ বিদেশি অনুদানের দিকেই তাকিয়ে আছে, এমন ধারণা করা এখন বোধহয় আর অমূলক নয়।
সাভারের রানা প্লাজাধসের ঘটনায় নিহতদের পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন করা আমাদের নৈতিক কর্তব্য। এ দায় সবার। যাঁরা কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের সদস্যদের পুনর্বাসনের বিষয়টি সরকারসহ সংশ্লিষ্ট মহলের সক্রিয় বিবেচনায় আসবে বলে আমরা আশা করি।
« পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ »
মূল পাতা সম্পাদকীয়
সাভারের রানা প্লাজাধসের ঘটনাটি আমাদের দেশের জন্য একটি বড় ধরনের দুর্ঘটনা হলেও এটা কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় ছিল না। মানুষের তৈরি এ বিপর্যয়ে এক হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি যেমন ঘটেছে, তেমনি দুই হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এ মানুষগুলোর জন্য স্থায়ী পুনর্বাসন অত্যন্ত জরুরি ছিল। কিন্তু সে কাজটিও কম গুরুত্ব পেয়েছে। রানা প্লাজাধসের ঘটনায় আহতের তালিকায় আছে এক হাজার ১৭৬ জনের নাম। তাঁদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৮৪২ জনকে সরকারিভাবে পাঁচ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে। বাকিদের পর্যায়ক্রমে এ টাকা দেওয়া হবে, এমন তথ্য পাওয়া যায়। এ ছাড়া গুরুতর আহত আটজনকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একটি করে হুইল চেয়ার ও অনুদানের অর্থ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুনর্বাসনের কোনো নির্দেশনা এখন পর্যন্ত নেই। বিজিএমইএ একটি তদন্ত প্রতিবেদন দিলেও আহত শ্রমিক ও নিহতের পরিবারের পুনর্বাসনে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে সে সম্পর্কে কোনো দিকনির্দেশনাও নেই। বিদেশি ক্রেতাদের কাছ থেকে বেশ কিছু সাহায্যের আশ্বাস পাওয়া গেছে। বিজিএমইএ বিদেশি অনুদানের দিকেই তাকিয়ে আছে, এমন ধারণা করা এখন বোধহয় আর অমূলক নয়।
সাভারের রানা প্লাজাধসের ঘটনায় নিহতদের পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন করা আমাদের নৈতিক কর্তব্য। এ দায় সবার। যাঁরা কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের সদস্যদের পুনর্বাসনের বিষয়টি সরকারসহ সংশ্লিষ্ট মহলের সক্রিয় বিবেচনায় আসবে বলে আমরা আশা করি।
« পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ »
মূল পাতা সম্পাদকীয়
No comments