ওয়ার্ড নেতাদের তোপের মুখে নগর নেতারা
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায়
সাংসদ ও মহানগরের শীর্ষ নেতাদের তুলাধোনা করলেন ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের নেতারা।
তাঁরা ঢাকার কয়েকজন সাংসদ ও দলের দুঃসময়ে যাঁরা দল ত্যাগ করে গেছেন,
তাঁদেরও কঠোর সমালোচনা করেন।
বর্ধিত সভায় সংগঠনের
দুরবস্থার জন্য মহানগর নেতাদের দায়ত্বহীনতা, উদাসীনতা ও কর্মী
বিচ্ছিন্নতাকে দায়ী করে বক্তৃতা দেন অনেকে। ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ের
নেতাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রমজানের আগে কমিটি গঠনের বিষয়ে নগর নেতারা
আশ্বাস দেন বলে জানা গেছে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের দলীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা হয়। বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে বৈঠক চলে আড়াইটা পর্যন্ত। গতকাল বর্ধিত সভা মুলতবি করা হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাংসদ হাবিবুর রহমান মোল্লা ও সানজিদা খানমের নানা কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেন ওয়ার্ড নেতারা। এ ছাড়া ১/১১-এর সময় দলের দুঃসময়ে কিংস পার্টিতে যোগদানকারীরা যেন কমিটিতে পদ ও নির্বাচনে মনোনয়ন না পান, সে বিষয়েও বক্তব্য দেন অনেকে।
নেতারা জানান, বৈঠকে নগরের ২৪টি থানা, ৯৩টি ওয়ার্ড ও ১৮টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা উপস্থিত ছিলেন। অনেক ওয়ার্ডের নেতা সাংসদদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, সাংসদেরা কর্মীদের বাইরে রেখে নিজেদের মতো করে কেন্দ্রের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে চলেন, কিন্তু কর্মীদের খোঁজ রাখেন না। এমনকি তাঁদের কাছে গেলে পাত্তা পাওয়া যায় না। এসব সাংসদ দলের নেতা-কর্মীদের বাইরে রেখে নিজেদের লোকজন দিয়ে আলাদা বলয় তৈরি করেছেন।
এ ছাড়া ৮৪ নম্বর ওয়ার্ডের এক নেতার বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে বৈঠকে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ১/১১-এর সময় তিনি পিডিপিতে যোগ দিয়েছিলেন, এমন অভিযোগ এনে তাঁকে বক্তৃতা দেওয়া থেকে বিরত থাকার দাবি জানান আশপাশের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের নেতারা। এরই জের ধরে ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি ওয়ালিউর রহমান বলেন, এক-এগারোর পর যাঁরা কিংস পার্টিতে যোগদান করে আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘরবাড়ি ছাড়া করেছিলেন, যাঁরা নেত্রীর সঙ্গে বেইমানি করেছিলেন, তাঁরা যেন কোনো কমিটি বা সিটি নির্বাচনে না আসেন।
বৈঠকে ওয়ার্ড নেতারা দাবি করেন, কর্মীদের মূল্যায়ন না করার ফল নেতাদের পেতেই হবে। ডিসিসি নির্বাচন ও আগামী সংসদ নির্বাচনেও এর ব্যত্যয় হবে না। এ সময় তাঁরা নেতাদের কর্মীদের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
ওয়ার্ড-থানা নেতাদের কথা শুনে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, রমজানের আগেই ঢাকা মহানগরের সব থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটি গঠন করা হবে।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ। উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সহসভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, মুকুল চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, শাহ আলম মুরাদ প্রমুখ।
দলীয় সূত্র জানায়, সংগঠনকে আরও সক্রিয় করা এবং পদ-পদবি নিয়ে কোন্দল নিরসনে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগকে দুই ভাগে বিভক্ত করার চিন্তাভাবনা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে দ্বিধাবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ নামকরণ করা হতে পারে। যদিও মহানগর আওয়ামী লীগকে বিভক্তির পক্ষে-বিপক্ষে দুই রকম মত আছে নেতাদের মধ্যে।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা মহানগর কমিটিকে দুই ভাগ করার সম্ভাবনা আছে। কিছুদিনের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে।
আওয়ামী লীগের কয়েকজন কেন্দ্রীয় ও মহানগরের শীর্ষ নেতার সঙ্গে কথা বলে ভিন্নমতও জানা যায়। তাঁরা মনে করেন, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটি গঠন করার পরই মহানগর কমিটি গঠন করা উচিত। নেতারা আশা করছেন, ঈদুল ফিতরের আগেই মহানগর আওয়ামী লীগের সব ওয়ার্ড, থানা ও ইউনিয়ন কমিটির কাউন্সিল শেষ হবে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের দলীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা হয়। বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে বৈঠক চলে আড়াইটা পর্যন্ত। গতকাল বর্ধিত সভা মুলতবি করা হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাংসদ হাবিবুর রহমান মোল্লা ও সানজিদা খানমের নানা কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেন ওয়ার্ড নেতারা। এ ছাড়া ১/১১-এর সময় দলের দুঃসময়ে কিংস পার্টিতে যোগদানকারীরা যেন কমিটিতে পদ ও নির্বাচনে মনোনয়ন না পান, সে বিষয়েও বক্তব্য দেন অনেকে।
নেতারা জানান, বৈঠকে নগরের ২৪টি থানা, ৯৩টি ওয়ার্ড ও ১৮টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা উপস্থিত ছিলেন। অনেক ওয়ার্ডের নেতা সাংসদদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, সাংসদেরা কর্মীদের বাইরে রেখে নিজেদের মতো করে কেন্দ্রের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে চলেন, কিন্তু কর্মীদের খোঁজ রাখেন না। এমনকি তাঁদের কাছে গেলে পাত্তা পাওয়া যায় না। এসব সাংসদ দলের নেতা-কর্মীদের বাইরে রেখে নিজেদের লোকজন দিয়ে আলাদা বলয় তৈরি করেছেন।
এ ছাড়া ৮৪ নম্বর ওয়ার্ডের এক নেতার বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে বৈঠকে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ১/১১-এর সময় তিনি পিডিপিতে যোগ দিয়েছিলেন, এমন অভিযোগ এনে তাঁকে বক্তৃতা দেওয়া থেকে বিরত থাকার দাবি জানান আশপাশের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের নেতারা। এরই জের ধরে ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি ওয়ালিউর রহমান বলেন, এক-এগারোর পর যাঁরা কিংস পার্টিতে যোগদান করে আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘরবাড়ি ছাড়া করেছিলেন, যাঁরা নেত্রীর সঙ্গে বেইমানি করেছিলেন, তাঁরা যেন কোনো কমিটি বা সিটি নির্বাচনে না আসেন।
বৈঠকে ওয়ার্ড নেতারা দাবি করেন, কর্মীদের মূল্যায়ন না করার ফল নেতাদের পেতেই হবে। ডিসিসি নির্বাচন ও আগামী সংসদ নির্বাচনেও এর ব্যত্যয় হবে না। এ সময় তাঁরা নেতাদের কর্মীদের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
ওয়ার্ড-থানা নেতাদের কথা শুনে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, রমজানের আগেই ঢাকা মহানগরের সব থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটি গঠন করা হবে।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ। উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সহসভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, মুকুল চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, শাহ আলম মুরাদ প্রমুখ।
দলীয় সূত্র জানায়, সংগঠনকে আরও সক্রিয় করা এবং পদ-পদবি নিয়ে কোন্দল নিরসনে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগকে দুই ভাগে বিভক্ত করার চিন্তাভাবনা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে দ্বিধাবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ নামকরণ করা হতে পারে। যদিও মহানগর আওয়ামী লীগকে বিভক্তির পক্ষে-বিপক্ষে দুই রকম মত আছে নেতাদের মধ্যে।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা মহানগর কমিটিকে দুই ভাগ করার সম্ভাবনা আছে। কিছুদিনের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে।
আওয়ামী লীগের কয়েকজন কেন্দ্রীয় ও মহানগরের শীর্ষ নেতার সঙ্গে কথা বলে ভিন্নমতও জানা যায়। তাঁরা মনে করেন, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটি গঠন করার পরই মহানগর কমিটি গঠন করা উচিত। নেতারা আশা করছেন, ঈদুল ফিতরের আগেই মহানগর আওয়ামী লীগের সব ওয়ার্ড, থানা ও ইউনিয়ন কমিটির কাউন্সিল শেষ হবে।
No comments