সাভারে রাজ্জাক প্লাজায় ॥ ফাটলের খবরে ভবন খালি ॥ বিক্ষোভ সড়ক অবরোধ
একটি বেসরকারী টেলিভিশনে সাভারে রানা
প্লাজার অদূরে অবস্থিত একটি বহুতল ভবনে ফাটলের খবরে সকল দোকান ও পোশাক
কারখানা বন্ধ করে দেয়ার পর বিক্ষোভ করে দোকান মালিক ও কর্মচারীরা।
সাভার
বাজার বাসস্ট্যান্ডে ‘রাজ্জাক প্লাজা’ নামে নয় তলা ওই ভবনের সব দোকান বন্ধ
করে দেয়ার পর বুধবার দুপুর সাড়ে বারটার দিকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা-আরিচা
মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। ঘণ্টাখানেক সড়কে অবস্থান
নিয়ে দোকান খুলে রাখার দাবি করেন তাঁরা। স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা সংবাদ
সংগ্রহ করতে গেলে রাজ্জাক প্লাজার দোকান মালিক ও পোশাক কারখানার শ্রমিকরা
গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে বাধা দিতে গেলে সাংবাদিক ও পুলিশসহ
আহত হয় অন্তত ৫ জন।
সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তফা কামাল জানান, ব্যবসায়ীরা সরে যাওয়ার পর দুপুর দেড়টার দিকে মহাসড়কে ফের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সকালে ভবন খালি করার পর ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদের মুখে বিজিএমইএ, কল-কারখানা পরিদর্শক, পৌরসভার কর্তৃপক্ষ এবং ভবন মালিক ও দোকান মালিক সমিতির নেতাদের নিয়ে বৈঠক করে স্থানীয় প্রশাসন। বৈঠকের পর নয় তলা ভবনটি তালা লাগিয়ে সিলগালা করে দেয় সাভার উপজেলা প্রশাসন।
সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান মোল্লা জানান, একটি বেসরকারী টেলিভিশনে ফাটলের খবর প্রকাশ হওয়ায় বিজিএমইএ, স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে পরিদর্শন করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বিশেষজ্ঞদের দিয়ে ভবন পরীক্ষার আগ পর্যন্ত ভবনটিতে সব কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। এর পর পরই ভবনের সব ফটকে তালা লাগিয়ে সিলগালা করে দেয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে দোকান খুলে রাখার দাবিতে মহাসড়কে অবস্থান নেয় ব্যবসায়ীরা। রাজ্জাক প্লাজার পাঁচটি ফ্লোরে থাকা দুটি পোশাক কারখানা সকালেই বন্ধ করে দেয়া হয়।
নয় তলা এই ভবনের প্রথম তিন তলায় মোবাইল, পোশাক, জুতা ও জুয়েলারিসহ বিভিন্ন সামগ্রীর ২৭০টি দোকান রয়েছে। আর চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় আল-মুসলিম গ্রুপের ‘প্যাসিফিক ব্লু জিন্স অয়্যার লিমিটেড’ কারখানা এবং সপ্তম ও অষ্টম তলায় ‘জোবিয়ান সোয়েটার’ কারখানা রয়েছে। নবম তলায় নিয়ম বর্হিভূতভাবে নির্মাণ করা টিনের ছাউনি দিয়ে শ্রমিকদের জন্য একটি ক্যান্টিন রয়েছে।
বিজিএমইএর ডেপুটি সেক্রেটারি আব্দুল খালেক ভবনটি পরিদর্শন করেন।
মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক উত্তম সাহা, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল হক ও সহ-সাধারণ সম্পাদক গোলম মোর্শেদ সোহেল অভিযোগ করে বলেন, সোমবার একুশে টিভির সাভার প্রতিনিধি নাজমুল ভবনে এসে ফাটলের দৃশ্য ভিডিও করেন। এরপর ভবন মালিক অলি আহমেদ এবং দোকান মালিক সমিতির নেতাদের ডেকে ফাটলের বিষয়টি অবহিত করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঈদকে সামনে রেখে মার্কেট বন্ধ ঘোষণার খবরটি মার্কেটের দোকান মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে মার্কেট ও দুটি পোশাক কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে দোকান মালিক ও শ্রমিকরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ যাত্রীদের। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বুধবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে নাজমুল ওই ভবনের সামনে গেলে ক্ষুব্ধ দোকান মালিক ও কর্মচারীরা তাঁকে তখন মারধর করে। পরে সে দৌড়ে রাজ্জাক প্লাজার অপরপাশে চলে আসে। তখন নাজমুলের চাচাশ্বশুর দৈনিক মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার হাফিজ উদ্দিনের বাড়িতে আশ্রয় নিতে পারে এমন আশঙ্কায় ওই বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বাড়ির জানালার গ্লাস ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে ক্ষুব্ধ দোকান মালিক ও কর্মচারীরা।
রাজ্জাক প্লাজার মালিক অলি আহম্মেদ খান বলেন, ভবনটির অষ্টম তলার উপরে টিনসেডে যে ক্যান্টিন করা হয়েছে তা গামের্ন্টস কর্তৃপক্ষ করেছে। সেটি ভেঙ্গে ফেলা হবে। এ ছাড়া অষ্টম তলার ছাদে বেসরকারী মোবাইল ফোন কোম্পানি সিটিসেল ও রবির দুটি টাওয়ার রয়েছে- তাও সরিয়ে ফেলা হবে।
সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তফা কামাল জানান, ব্যবসায়ীরা সরে যাওয়ার পর দুপুর দেড়টার দিকে মহাসড়কে ফের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সকালে ভবন খালি করার পর ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদের মুখে বিজিএমইএ, কল-কারখানা পরিদর্শক, পৌরসভার কর্তৃপক্ষ এবং ভবন মালিক ও দোকান মালিক সমিতির নেতাদের নিয়ে বৈঠক করে স্থানীয় প্রশাসন। বৈঠকের পর নয় তলা ভবনটি তালা লাগিয়ে সিলগালা করে দেয় সাভার উপজেলা প্রশাসন।
সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান মোল্লা জানান, একটি বেসরকারী টেলিভিশনে ফাটলের খবর প্রকাশ হওয়ায় বিজিএমইএ, স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে পরিদর্শন করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বিশেষজ্ঞদের দিয়ে ভবন পরীক্ষার আগ পর্যন্ত ভবনটিতে সব কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। এর পর পরই ভবনের সব ফটকে তালা লাগিয়ে সিলগালা করে দেয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে দোকান খুলে রাখার দাবিতে মহাসড়কে অবস্থান নেয় ব্যবসায়ীরা। রাজ্জাক প্লাজার পাঁচটি ফ্লোরে থাকা দুটি পোশাক কারখানা সকালেই বন্ধ করে দেয়া হয়।
নয় তলা এই ভবনের প্রথম তিন তলায় মোবাইল, পোশাক, জুতা ও জুয়েলারিসহ বিভিন্ন সামগ্রীর ২৭০টি দোকান রয়েছে। আর চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় আল-মুসলিম গ্রুপের ‘প্যাসিফিক ব্লু জিন্স অয়্যার লিমিটেড’ কারখানা এবং সপ্তম ও অষ্টম তলায় ‘জোবিয়ান সোয়েটার’ কারখানা রয়েছে। নবম তলায় নিয়ম বর্হিভূতভাবে নির্মাণ করা টিনের ছাউনি দিয়ে শ্রমিকদের জন্য একটি ক্যান্টিন রয়েছে।
বিজিএমইএর ডেপুটি সেক্রেটারি আব্দুল খালেক ভবনটি পরিদর্শন করেন।
মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক উত্তম সাহা, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল হক ও সহ-সাধারণ সম্পাদক গোলম মোর্শেদ সোহেল অভিযোগ করে বলেন, সোমবার একুশে টিভির সাভার প্রতিনিধি নাজমুল ভবনে এসে ফাটলের দৃশ্য ভিডিও করেন। এরপর ভবন মালিক অলি আহমেদ এবং দোকান মালিক সমিতির নেতাদের ডেকে ফাটলের বিষয়টি অবহিত করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঈদকে সামনে রেখে মার্কেট বন্ধ ঘোষণার খবরটি মার্কেটের দোকান মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে মার্কেট ও দুটি পোশাক কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে দোকান মালিক ও শ্রমিকরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ যাত্রীদের। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বুধবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে নাজমুল ওই ভবনের সামনে গেলে ক্ষুব্ধ দোকান মালিক ও কর্মচারীরা তাঁকে তখন মারধর করে। পরে সে দৌড়ে রাজ্জাক প্লাজার অপরপাশে চলে আসে। তখন নাজমুলের চাচাশ্বশুর দৈনিক মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার হাফিজ উদ্দিনের বাড়িতে আশ্রয় নিতে পারে এমন আশঙ্কায় ওই বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বাড়ির জানালার গ্লাস ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে ক্ষুব্ধ দোকান মালিক ও কর্মচারীরা।
রাজ্জাক প্লাজার মালিক অলি আহম্মেদ খান বলেন, ভবনটির অষ্টম তলার উপরে টিনসেডে যে ক্যান্টিন করা হয়েছে তা গামের্ন্টস কর্তৃপক্ষ করেছে। সেটি ভেঙ্গে ফেলা হবে। এ ছাড়া অষ্টম তলার ছাদে বেসরকারী মোবাইল ফোন কোম্পানি সিটিসেল ও রবির দুটি টাওয়ার রয়েছে- তাও সরিয়ে ফেলা হবে।
No comments