রামপাল বিদ্যুত প্রকল্প ॥ মাটি ভরাটে মংলা বন্দরের কোন ক্ষতি হবে না দাবি বিদ্যুত বিভাগের ॥ শীঘ্রই নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের চিঠির জবাব
রামপাল বিদ্যুত প্রকল্পে মাটি ভরাটে মংলা
বন্দরের কোন ক্ষতি হবে না বলে মনে করছে বিদ্যুত বিভাগ। মংলা বন্দরের ক্ষতির
আশঙ্কায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের চিঠির জবাবে বিদ্যুত মন্ত্রণালয় এ
সংক্রান্ত চিঠি দিতে যাচ্ছে।
এতে বলা হয়েছে, বিষয়টি
গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডিউলিং এবং সেন্টার
ফর এনভায়রনমেন্টাল এ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সেন্টারের কর্মকর্তাদের
নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে।
বিদ্যুত বিভাগ সূত্র জানায়, মংলা বন্দরের কাছাকাছি এলাকা থেকে ড্রেজিং করে মাটি ভরাটে নদীর তলদেশ পরিবর্তন হওয়ার আশঙ্কা করছে নৌপরিবন মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি তারা এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দিয়েছে বিদ্যুত মন্ত্রণালয়ে। ওই চিঠিতে বলা হয়, রামপাল-১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুত প্রকল্পে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করায় নদীর তলদেশে পরিবর্তন হবে। এর ফলে বন্দর চ্যানেলের আশঙ্কাজনক ক্ষতি হতে পারে।
স্থাপিতব্য এ বিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য সুন্দরবন থেকে ১৪ কিলোমিটার, সুন্দরবনের বাফার জোন থেকে চার কিলোমিটার ও মংলা বন্দর থেকে আট কিলোমিটার দূরে রামপালের গৌরম্ভা, কৈকরদশকাঠি এবং সাতমারি মৌজায় এক হাজার ৮৪৭ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এর বাইরে আমদানি করা কয়লা রাখার জন্য মংলা বন্দরের কাছে আরও ২৫ একর জমি এখন এই কেন্দ্রের মাটি ভরাট তথা ভূমি উন্নয়নের কাজ চলছে। পশুর নদী ড্রেজিং করে প্রথম ধাপে গৌরম্ভা মৌজার ৪২০ একর ভরাট করা হচ্ছে। গত ফেব্রুয়ারিতে ৪২০ একর ভূমির মাটি ভরাট কাজের চুক্তি হয়। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৭ কোটি টাকা।
বিদ্যুত বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, যেখানে ড্রেজিং করে মাটি ভরাট করা হচ্ছে সেখানে পলি জমার হার অত্যন্ত বেশি। প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী নিয়মিত বিষয়টি মনিটর করছেন। ড্রেজিংয়ে এ নদীর তলদেশ পরিবর্তনের যে আশঙ্কা করা হয়েছে তা সঠিক নয়। তিনি বলেন শীঘ্রই চিঠি দিয়ে বিষয়টি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হবে। তিনি বলেন, কোন প্রকল্পের ক্ষতি করে আরেকটি প্রকল্প করা হবে না। বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করার জন্য ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডিউলিং এবং সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল এ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সেন্টারের কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। কমিটি নদীর তলদেশের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবে।
বাংলাদেশ ভারত ফ্রেন্ডশিপ বিদ্যুত কোম্পানি বাগেরহাটের রামপালে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের একটি কয়লাচালিত বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করবে। বিদ্যুত কেন্দ্রটির জন্য বাংলাদেশ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এবং ভারতের ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কোম্পানি (এনটিপিসি) বাংলাদেশ ভারত ফ্রেন্ডশিপ কেম্পানি গঠন করেছে।
পিডিবি এখান থেকে ২৫ বছর বিদ্যুত কিনবে। আর বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের ব্যয় নির্বাহ করবে ফ্রেন্ডশিপ কোম্পানি। বিদ্যুত কেন্দ্রর নির্মাণ ব্যয়, পরিচালনা ব্যয় এবং জ্বালানি খরচের হিসাব যোগ করে উৎপাদনের পরিমাণ দিয়ে ভাগ করে বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করা হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অনুরোধে নির্মাণ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন এনে বিদ্যুত কেন্দ্রটির নির্মাণ খরচ ৫০০ কোটি টাকা কমানো হয়েছে। প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে দেড় বিলিয়ন ডলার।
দুই দেশের যৌথ বিনিয়োগের এই প্রকল্পটিকে ঘিরে স্থানীয় ভূমি মালিকদের সঙ্গে আন্দোলন করছে পরিবেশবাদীরা। খুব শীঘ্র প্রকল্পের দরপত্র আহ্বান করা হবে। ভারত বাংলাদেশের অন্য প্রকল্পর সঙ্গে রামপাল প্রকল্পটি নিয়ে আলোচনার জন্য বিদ্যুত সচিব মনোয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে সরকারের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল ভারত গেছে। আজ বৃহস্পতিবার ওই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
বিদ্যুত বিভাগ সূত্র জানায়, মংলা বন্দরের কাছাকাছি এলাকা থেকে ড্রেজিং করে মাটি ভরাটে নদীর তলদেশ পরিবর্তন হওয়ার আশঙ্কা করছে নৌপরিবন মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি তারা এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দিয়েছে বিদ্যুত মন্ত্রণালয়ে। ওই চিঠিতে বলা হয়, রামপাল-১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুত প্রকল্পে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করায় নদীর তলদেশে পরিবর্তন হবে। এর ফলে বন্দর চ্যানেলের আশঙ্কাজনক ক্ষতি হতে পারে।
স্থাপিতব্য এ বিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য সুন্দরবন থেকে ১৪ কিলোমিটার, সুন্দরবনের বাফার জোন থেকে চার কিলোমিটার ও মংলা বন্দর থেকে আট কিলোমিটার দূরে রামপালের গৌরম্ভা, কৈকরদশকাঠি এবং সাতমারি মৌজায় এক হাজার ৮৪৭ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এর বাইরে আমদানি করা কয়লা রাখার জন্য মংলা বন্দরের কাছে আরও ২৫ একর জমি এখন এই কেন্দ্রের মাটি ভরাট তথা ভূমি উন্নয়নের কাজ চলছে। পশুর নদী ড্রেজিং করে প্রথম ধাপে গৌরম্ভা মৌজার ৪২০ একর ভরাট করা হচ্ছে। গত ফেব্রুয়ারিতে ৪২০ একর ভূমির মাটি ভরাট কাজের চুক্তি হয়। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৭ কোটি টাকা।
বিদ্যুত বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, যেখানে ড্রেজিং করে মাটি ভরাট করা হচ্ছে সেখানে পলি জমার হার অত্যন্ত বেশি। প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী নিয়মিত বিষয়টি মনিটর করছেন। ড্রেজিংয়ে এ নদীর তলদেশ পরিবর্তনের যে আশঙ্কা করা হয়েছে তা সঠিক নয়। তিনি বলেন শীঘ্রই চিঠি দিয়ে বিষয়টি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হবে। তিনি বলেন, কোন প্রকল্পের ক্ষতি করে আরেকটি প্রকল্প করা হবে না। বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করার জন্য ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডিউলিং এবং সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল এ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সেন্টারের কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। কমিটি নদীর তলদেশের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবে।
বাংলাদেশ ভারত ফ্রেন্ডশিপ বিদ্যুত কোম্পানি বাগেরহাটের রামপালে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের একটি কয়লাচালিত বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করবে। বিদ্যুত কেন্দ্রটির জন্য বাংলাদেশ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এবং ভারতের ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কোম্পানি (এনটিপিসি) বাংলাদেশ ভারত ফ্রেন্ডশিপ কেম্পানি গঠন করেছে।
পিডিবি এখান থেকে ২৫ বছর বিদ্যুত কিনবে। আর বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের ব্যয় নির্বাহ করবে ফ্রেন্ডশিপ কোম্পানি। বিদ্যুত কেন্দ্রর নির্মাণ ব্যয়, পরিচালনা ব্যয় এবং জ্বালানি খরচের হিসাব যোগ করে উৎপাদনের পরিমাণ দিয়ে ভাগ করে বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করা হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অনুরোধে নির্মাণ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন এনে বিদ্যুত কেন্দ্রটির নির্মাণ খরচ ৫০০ কোটি টাকা কমানো হয়েছে। প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে দেড় বিলিয়ন ডলার।
দুই দেশের যৌথ বিনিয়োগের এই প্রকল্পটিকে ঘিরে স্থানীয় ভূমি মালিকদের সঙ্গে আন্দোলন করছে পরিবেশবাদীরা। খুব শীঘ্র প্রকল্পের দরপত্র আহ্বান করা হবে। ভারত বাংলাদেশের অন্য প্রকল্পর সঙ্গে রামপাল প্রকল্পটি নিয়ে আলোচনার জন্য বিদ্যুত সচিব মনোয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে সরকারের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল ভারত গেছে। আজ বৃহস্পতিবার ওই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
No comments