অস্বাভাবিক জোয়ারে মানুষের ভোগান্তি
ভোলায় গত তিন দিন ধরে জোয়ারের সময় দিনে
অন্তত ১০ ঘণ্টা লক্ষাধিক পরিবার পানিবন্দী থাকছে। বরগুনার আমতলী উপজেলায়
জোয়ারের সময় ১২টি গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে।
জোয়ারে
আমতলী-পুরাকাটা ফেরির গ্যাংওয়ে তলিয়ে থাকায় প্রতিদিন চার ঘণ্টা ফেরি চলাচল
বন্ধ থাকছে। বাগেরহাটে গতকাল বুধবার জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে আটটি গ্রাম।
এ কারণে তিন জেলার লাখো মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
আমাদের আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
ভোলা: বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ না থাকায় অস্বাভাবিক জোয়ারে গত তিন দিন ধরে ভোলায় লক্ষাধিক পরিবার দিনে ১০ ঘণ্টা পানিবন্দী থাকছে। বাঁধ নির্মাণের দাবিতে স্থানীয় লোকজন গত মঙ্গলবার থেকে গতকাল বিকেল চারটা পর্যন্ত ভোলা-ইলিশা সড়কে গাছ ফেলে অবরোধ করে রাখেন। তাঁরা বাঁধ নির্মাণের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও মানববন্ধন করেছেন এবং জেলা প্রশাসক বরাবর সঞ্চারকলিপি দিয়েছেন।
ভুক্তভোগীদের সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার বিকেল থেকে ভোলা সদর উপজেলার ধনীয়া, কাচিয়া, পূর্ব ইলিশা ও রাজাপুর ইউনিয়ন, বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা, পক্ষীয়া ও হাসাননগর ইউনিয়ন এবং দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর, হাজীপুর ও মদনপুর ইউনিয়নে বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত স্থান দিয়ে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি ঢুকে ৫৫ হাজার পরিবার দিনে ১০ ঘণ্টা পানিবন্দী থাকছে।
দ্রুত বাঁধ নির্মাণের দাবিতে গতকাল বেলা ১১টা থেকে ঘণ্টাব্যপী ভোলা-ইলিশা সড়কের পরানগঞ্জ থেকে ইলিশা বাজার পর্যন্ত মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। পরে তাঁরা জেলা প্রশাসক বরাবর সঞ্চারকলিপি দেন।
আমতলী (বরগুনা): গত সোমবার থেকে জোয়ারের সময় পায়রা নদীর পানি অস্বাভাবিক বাড়ায় আমতলী উপজেলার ১২টি গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে এবং তালতলীর জয়ালভাঙ্গা, তেঁতুলবাড়িয়া ও নলবুনিয়ার তিনটি স্থানে ২০০ ফুট বাঁধ ভেঙে নদীর পানি ঢোকায় পশুরবুনিয়া, বালিয়াতলী, তেঁতুলবাড়িয়া, ঘোপখালী, সোনাকাটা, নিশানবাড়ীয়া, ছোটবগী, সারিকখালী, পচাকোড়ালিয়া, বড়বগি, চাওড়া, আরপাঙ্গাশিয়াসহ ১২টি গ্রামের পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ছে। পায়রা নদীর পানি বেড়ে আমতলী-পুরাকাটা ফেরির গ্যাংওয়ে তলিয়ে থাকায় প্রতিদিন চার ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকছে বলে ফেরিচালক মো. খোকন নিশ্চিত করেছেন।
বাগেরহাট: গতকাল দুপুরের অস্বাভাবিক জোয়ারে বাঁধ উপচে সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের আটটি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। গ্রামগুলো হচ্ছে, বিষ্ণুপুর, খাড়াসম্বল, বেড়গজালিয়া, কাপালিবন্দর, আনোরডাঙ্গা, মৌজাডাঙ্গা, চরগ্রাম ও ধানাগাতি। এ ছাড়া বিসিক শিল্পনগর, মোরেলগঞ্জ ও মংলা পৌরসভাসহ শহরতলির বেশ কিছু এলাকা গত দুই দিন ধরে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে।
দুই দিন ধরে জোয়ারের পানিতে বাগেরহাট শহরের রাস্তাঘাট, মারিয়া পল্লি ও সদর উপজেলার বেশ কিছু গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে।
এ কারণে তিন জেলার লাখো মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
আমাদের আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
ভোলা: বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ না থাকায় অস্বাভাবিক জোয়ারে গত তিন দিন ধরে ভোলায় লক্ষাধিক পরিবার দিনে ১০ ঘণ্টা পানিবন্দী থাকছে। বাঁধ নির্মাণের দাবিতে স্থানীয় লোকজন গত মঙ্গলবার থেকে গতকাল বিকেল চারটা পর্যন্ত ভোলা-ইলিশা সড়কে গাছ ফেলে অবরোধ করে রাখেন। তাঁরা বাঁধ নির্মাণের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও মানববন্ধন করেছেন এবং জেলা প্রশাসক বরাবর সঞ্চারকলিপি দিয়েছেন।
ভুক্তভোগীদের সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার বিকেল থেকে ভোলা সদর উপজেলার ধনীয়া, কাচিয়া, পূর্ব ইলিশা ও রাজাপুর ইউনিয়ন, বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা, পক্ষীয়া ও হাসাননগর ইউনিয়ন এবং দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর, হাজীপুর ও মদনপুর ইউনিয়নে বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত স্থান দিয়ে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি ঢুকে ৫৫ হাজার পরিবার দিনে ১০ ঘণ্টা পানিবন্দী থাকছে।
দ্রুত বাঁধ নির্মাণের দাবিতে গতকাল বেলা ১১টা থেকে ঘণ্টাব্যপী ভোলা-ইলিশা সড়কের পরানগঞ্জ থেকে ইলিশা বাজার পর্যন্ত মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। পরে তাঁরা জেলা প্রশাসক বরাবর সঞ্চারকলিপি দেন।
আমতলী (বরগুনা): গত সোমবার থেকে জোয়ারের সময় পায়রা নদীর পানি অস্বাভাবিক বাড়ায় আমতলী উপজেলার ১২টি গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে এবং তালতলীর জয়ালভাঙ্গা, তেঁতুলবাড়িয়া ও নলবুনিয়ার তিনটি স্থানে ২০০ ফুট বাঁধ ভেঙে নদীর পানি ঢোকায় পশুরবুনিয়া, বালিয়াতলী, তেঁতুলবাড়িয়া, ঘোপখালী, সোনাকাটা, নিশানবাড়ীয়া, ছোটবগী, সারিকখালী, পচাকোড়ালিয়া, বড়বগি, চাওড়া, আরপাঙ্গাশিয়াসহ ১২টি গ্রামের পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ছে। পায়রা নদীর পানি বেড়ে আমতলী-পুরাকাটা ফেরির গ্যাংওয়ে তলিয়ে থাকায় প্রতিদিন চার ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকছে বলে ফেরিচালক মো. খোকন নিশ্চিত করেছেন।
বাগেরহাট: গতকাল দুপুরের অস্বাভাবিক জোয়ারে বাঁধ উপচে সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের আটটি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। গ্রামগুলো হচ্ছে, বিষ্ণুপুর, খাড়াসম্বল, বেড়গজালিয়া, কাপালিবন্দর, আনোরডাঙ্গা, মৌজাডাঙ্গা, চরগ্রাম ও ধানাগাতি। এ ছাড়া বিসিক শিল্পনগর, মোরেলগঞ্জ ও মংলা পৌরসভাসহ শহরতলির বেশ কিছু এলাকা গত দুই দিন ধরে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে।
দুই দিন ধরে জোয়ারের পানিতে বাগেরহাট শহরের রাস্তাঘাট, মারিয়া পল্লি ও সদর উপজেলার বেশ কিছু গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে।
No comments