ছাত্রী ধর্ষণ ॥ লক্ষ্মীপুরে দুই যুবদল নেতা বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উত্তর সাইচা
গ্রামের এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তোলা
বিবস্ত্র ও অশ্লীল ছবি প্রচার করার অভিযোগে দুই যুবদল নেতাকে বহিষ্কার করা
হয়েছে।
বহি®কৃতরা হলোÑ উপজেলার বামনী ইউনিয়ন যুবদলের
যুগ্ম আহ্বায়ক মিঠু চৌধুরী ও ৭নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জহির
মুন্সি। রায়পুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সফিকুল আলম আলমাস বুধবার দুপুরে এ
তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, যুবদলের দুই নেতার বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের
মামলা হয়। এতে দলের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এজন্য বিএনপি, যুবদল ও
সহযোগী সংগঠনের এক জরুরী সভায় দুই নেতাকে বহিষ্কার করা হয়।
রায়পুর থানায় এ সংক্রান্ত ১৮ জুন দায়ের করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হামছাদী কাজিরদীঘির পাড় মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী মাদ্রাসায় আসা-যাওয়ার পথে মিঠু চৌধুরীসহ চার আসামি প্রায় সময় তাকে উত্ত্যক্ত করত। তারা ছাত্রীর কাছে মোবাইল নাম্বার চেয়ে না পেয়ে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ও খারাপ কাজ করার প্রস্তাব দেয়। বিষয়টি ছাত্রীর মা-বাবা জেনে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবগত করে। এরপর বাবা তাকে মাদ্রাসায় আনা-নেয়া করত। গত ৩০ মে রাত ৯টার দিকে ওই ছাত্রী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার জন্য ঘরের বাইরে যায়। এসময় টয়লেটের বাইরে ওঁৎ পেতে থাকা আসামিরা তাকে জোরপূর্বক বাড়ির পশ্চিম পাশের সুপারি বাগানে নিয়ে যায়। এসময় চিৎকার করলে আসামিরা তাকে ভয়ভীতি দেখায়। একপর্যায়ে মিঠু চৌধুরী বিবস্ত্র করে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। অন্য আসামিরা বিবস্ত্র অবস্থায় টর্চলাইটের আলোতে তাদের বিভিন্ন কথাবার্তা, মোবাইলে ছবি তোলে ও ভিডিও করে। ঘরে ফিরতে দেরি হওয়ায় তার মা-বাবা বাইরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বাগানে দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। ঘটনার বিষয়ে আসামিরা কাউকে না জানানোর জন্য ভয় দেখিয়ে বলে ঘটনা কাউকে জানালে বিবস্ত্র ছবি জনসম্মুখে প্রকাশ করবে। এজন্য তারা বিষয়টি কাউকে জানাননি। গত ৮-১০ দিন পূর্বে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তার বিবস্ত্র ও অশ্লীল ছবি জনসম্মুখে প্রকাশ করে মানহানি করতে থাকে। ওইসব অশ্লীল ছবি এলাকার ছেলে জাহিদের মোবাইলে বুটথের মাধ্যমে পাঠায়। আসামিরা ছবিগুলো মোবাইল বুটথের মাধ্যমে প্রকাশ করতে থাকে।
রায়পুর থানায় এ সংক্রান্ত ১৮ জুন দায়ের করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হামছাদী কাজিরদীঘির পাড় মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী মাদ্রাসায় আসা-যাওয়ার পথে মিঠু চৌধুরীসহ চার আসামি প্রায় সময় তাকে উত্ত্যক্ত করত। তারা ছাত্রীর কাছে মোবাইল নাম্বার চেয়ে না পেয়ে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ও খারাপ কাজ করার প্রস্তাব দেয়। বিষয়টি ছাত্রীর মা-বাবা জেনে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবগত করে। এরপর বাবা তাকে মাদ্রাসায় আনা-নেয়া করত। গত ৩০ মে রাত ৯টার দিকে ওই ছাত্রী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার জন্য ঘরের বাইরে যায়। এসময় টয়লেটের বাইরে ওঁৎ পেতে থাকা আসামিরা তাকে জোরপূর্বক বাড়ির পশ্চিম পাশের সুপারি বাগানে নিয়ে যায়। এসময় চিৎকার করলে আসামিরা তাকে ভয়ভীতি দেখায়। একপর্যায়ে মিঠু চৌধুরী বিবস্ত্র করে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। অন্য আসামিরা বিবস্ত্র অবস্থায় টর্চলাইটের আলোতে তাদের বিভিন্ন কথাবার্তা, মোবাইলে ছবি তোলে ও ভিডিও করে। ঘরে ফিরতে দেরি হওয়ায় তার মা-বাবা বাইরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বাগানে দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। ঘটনার বিষয়ে আসামিরা কাউকে না জানানোর জন্য ভয় দেখিয়ে বলে ঘটনা কাউকে জানালে বিবস্ত্র ছবি জনসম্মুখে প্রকাশ করবে। এজন্য তারা বিষয়টি কাউকে জানাননি। গত ৮-১০ দিন পূর্বে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তার বিবস্ত্র ও অশ্লীল ছবি জনসম্মুখে প্রকাশ করে মানহানি করতে থাকে। ওইসব অশ্লীল ছবি এলাকার ছেলে জাহিদের মোবাইলে বুটথের মাধ্যমে পাঠায়। আসামিরা ছবিগুলো মোবাইল বুটথের মাধ্যমে প্রকাশ করতে থাকে।
No comments