সংবাদপত্রেরই দিন by মানিক রহমান
প্রিন্ট মিডিয়া বা মুদ্রণ মাধ্যমের দিন
শেষ হয়ে যাচ্ছে বলে যারা চিন্তিত খবরটা তাদের উদ্দীপ্ত করার কথা। বিশেষ করে
সেটা যখন প্রতিবেশী দেশের। সম্প্রতি বিবিসি ম্যাগাজিনে প্রকাশিত ফিচারাইজ
প্রতিবেদনে তা উঠে এসেছে।
'টেন থিংস ইউ মাইট নট নো
অ্যাবাউট ইন্ডিয়া' শিরোনামের প্রতিবেদনটি ভারতের ১০টি বিষয় নিয়ে বলছে। এর
মধ্যে সংবাদপত্র সংশ্লিষ্ট বিষয় রয়েছে একটি। সুখবরটা সেখানেই। যেখানে
পশ্চিমা বিশ্ব সংবাদপত্রের দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে বলে বিলাপ করছে, সেখানে
বাস্তবিক অর্থেই ভারতে এর প্রসার ঘটছে। দেশটিতে সংবাদপত্র শিল্পের প্রসারের
কারণ হিসেবে কিছু বিষয়ও দেখিয়েছে। সেখানে সংবাদপত্রের দাম কম, ফলে সহজেই
মানুষ তা কিনতে পারেন। অর্থনৈতিক দিক থেকে ভারত প্রভাবশালী দেশ বলে মানুষ
ক্ল্যাসিফাইড বিজ্ঞাপনসহ নানা বিজ্ঞাপন দেখার জন্যও পত্রিকা কেনে। দৈনিক
পত্রিকার বাইরেও ভারতে ম্যাগাজিনের ছড়াছড়ি। যেগুলো পড়ে মানুষ বিক্রি করে
দেয় এবং সেকেন্ড হ্যান্ড বা পুরনো ম্যাগাজিন পড়ারও একটি গোষ্ঠী গড়ে উঠেছে,
বলছে প্রতিবেদনটি। খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেল, ২০০৯-এর হিসাব মতে ভারতে
প্রতিদিনকার পত্রিকার সার্কুলেশন সংখ্যা প্রায় ১১ কোটি। পত্রিকার বিভিন্ন
শ্রেণীর পাঠক রয়েছে সেখানে। দিন দিন সাক্ষরতার হার বাড়ছে, বাড়ছে পাঠক
সংখ্যা। প্রায় ৬০ কোটি পড়তে পারা মানুষ ভারতের বিশাল সম্ভাবনা। বিভিন্ন
রাজ্য থেকে নানা ভাষার সংবাদপত্র প্রকাশ পায় সেখানে। ইংরেজি, হিন্দি,
বাংলা, উর্দু, মারাঠি, তেলেগু, পাঞ্জাবি, গুজরাটি, তামিল প্রভৃতি ভাষায়
প্রতিদিন পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে। ভারতের অডিট ব্যুরো অব সার্কুলেশন
দেখাচ্ছে, টাইমস অব ইন্ডিয়া বিশ্বের সবচেয়ে বেশি প্রচারিত ইংরেজি দৈনিক।
ভারতে ব্যবসা প্রসারিত হচ্ছে। বিশ্বায়নের ফলে সেখানে বাজার বাড়ছে। সংবাদপত্রগুলো বিজ্ঞাপন পাচ্ছে। বিজ্ঞাপনদাতারা ইলেকট্রনিক মিডিয়ার পাশাপাশি প্রিন্ট মিডিয়াতেও বিজ্ঞাপন দিতে আকৃষ্ট হচ্ছে। ফলে গড়ে উঠেছে সংবাদপত্র শিল্প। ২০০৫ সালে এ শিল্প যেখানে ছিল আড়াইশ' কোটি ডলারের ওপরে, সেখানে ২০১০-এ এসে দাঁড়ায় প্রায় সাড়ে চারশ' কোটি ডলার। প্রতিবছর ১০ শতাংশ হারে তা বাড়ছে।
বাংলাদেশের সংবাদপত্রের অবস্থা অনেকটা ভারতের মতোই। যদিও পত্রিকার মূল্য বেশি। তবে অনেকে এখনও একে প্রতিষ্ঠিত শিল্প না বললেও বিকাশমান শিল্প হিসেবে চিহ্নিত করছেন। দিন দিন পাঠক বাড়ছে, নতুন নতুন পত্রিকা আসছে। সংবাদপত্র সংখ্যা বৃদ্ধি বরং এখন আলোচনার বিষয়। এর ইতিবাচক কিংবা নেতিবাচক দুই দিকই রয়েছে, তারপরও চূড়ান্তভাবে কারা মাঠে কীভাবে থাকবে সেটা পাঠকই সিদ্ধান্ত নেবে।
তবে সংবাদপত্রের পাশাপাশি অন্যান্য সংবাদমাধ্যমও এখানে শক্তিশালী, বিশেষ করে টিভি চ্যানেলের কথা বলতেই হবে। এ ছাড়া রয়েছে রেডিও আর অনলাইন নিউজ পোর্টাল। ইন্টারনেটের প্রসারের ফলে অনলাইন সংবাদপত্র জনপ্রিয় হচ্ছে। তারপরও কিন্তু সংবাদপত্রের প্রয়োজনীয়তা কিংবা প্রচারসংখ্যা অতটা কমেনি। বরং প্রত্যেকেই নতুন অবস্থার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে রিয়েল টাইম নিউজ আপডেট করছে। কোনো কোনো সংবাদপত্রের সার্কুলেশনও বাড়ছে দিন দিন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের ২০১২ সালের হিসাবে দেশে দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ৩১৪ আর প্রথম সারির ১০টি সংবাদপত্রের সার্কুলেশন ২২ লাখের ওপর। কোটির ওপর মানুষ এখানে সংবাদপত্র পড়ে।
সংবাদপত্রের সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে বলা হলেও বিশ্বব্যাপী এখনও এর প্রাধান্য স্পষ্ট। বাংলাদেশ কিংবা ভারতে যেমন এখন সংবাদপত্রের দিন, তা উন্নত বিশ্বের জন্যও সত্য। অস্বীকার করার জো নেই, ভবিষ্যতে সংবাদপত্র নিয়ে শঙ্কা আছে। তবে সে ভবিষ্যৎ কতটা কাছে আমরা জানি না। তার আগ পর্যন্ত বলা চলে এখন সংবাদপত্রেরই দিন।
ভারতে ব্যবসা প্রসারিত হচ্ছে। বিশ্বায়নের ফলে সেখানে বাজার বাড়ছে। সংবাদপত্রগুলো বিজ্ঞাপন পাচ্ছে। বিজ্ঞাপনদাতারা ইলেকট্রনিক মিডিয়ার পাশাপাশি প্রিন্ট মিডিয়াতেও বিজ্ঞাপন দিতে আকৃষ্ট হচ্ছে। ফলে গড়ে উঠেছে সংবাদপত্র শিল্প। ২০০৫ সালে এ শিল্প যেখানে ছিল আড়াইশ' কোটি ডলারের ওপরে, সেখানে ২০১০-এ এসে দাঁড়ায় প্রায় সাড়ে চারশ' কোটি ডলার। প্রতিবছর ১০ শতাংশ হারে তা বাড়ছে।
বাংলাদেশের সংবাদপত্রের অবস্থা অনেকটা ভারতের মতোই। যদিও পত্রিকার মূল্য বেশি। তবে অনেকে এখনও একে প্রতিষ্ঠিত শিল্প না বললেও বিকাশমান শিল্প হিসেবে চিহ্নিত করছেন। দিন দিন পাঠক বাড়ছে, নতুন নতুন পত্রিকা আসছে। সংবাদপত্র সংখ্যা বৃদ্ধি বরং এখন আলোচনার বিষয়। এর ইতিবাচক কিংবা নেতিবাচক দুই দিকই রয়েছে, তারপরও চূড়ান্তভাবে কারা মাঠে কীভাবে থাকবে সেটা পাঠকই সিদ্ধান্ত নেবে।
তবে সংবাদপত্রের পাশাপাশি অন্যান্য সংবাদমাধ্যমও এখানে শক্তিশালী, বিশেষ করে টিভি চ্যানেলের কথা বলতেই হবে। এ ছাড়া রয়েছে রেডিও আর অনলাইন নিউজ পোর্টাল। ইন্টারনেটের প্রসারের ফলে অনলাইন সংবাদপত্র জনপ্রিয় হচ্ছে। তারপরও কিন্তু সংবাদপত্রের প্রয়োজনীয়তা কিংবা প্রচারসংখ্যা অতটা কমেনি। বরং প্রত্যেকেই নতুন অবস্থার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে রিয়েল টাইম নিউজ আপডেট করছে। কোনো কোনো সংবাদপত্রের সার্কুলেশনও বাড়ছে দিন দিন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের ২০১২ সালের হিসাবে দেশে দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ৩১৪ আর প্রথম সারির ১০টি সংবাদপত্রের সার্কুলেশন ২২ লাখের ওপর। কোটির ওপর মানুষ এখানে সংবাদপত্র পড়ে।
সংবাদপত্রের সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে বলা হলেও বিশ্বব্যাপী এখনও এর প্রাধান্য স্পষ্ট। বাংলাদেশ কিংবা ভারতে যেমন এখন সংবাদপত্রের দিন, তা উন্নত বিশ্বের জন্যও সত্য। অস্বীকার করার জো নেই, ভবিষ্যতে সংবাদপত্র নিয়ে শঙ্কা আছে। তবে সে ভবিষ্যৎ কতটা কাছে আমরা জানি না। তার আগ পর্যন্ত বলা চলে এখন সংবাদপত্রেরই দিন।
No comments