বিজিএমইএর রিপোর্ট ॥ রানা প্লাজা ধসে ভবন মালিক ও স্থানীয় প্রশাসন দায়ী
সাভারে রানা প্লাজা ধসের দুই মাস পর এই
ঘটনায় ভবন মালিক ও স্থানীয় প্রশাসনকে দায়ী করেছে পোশাক শিল্প মালিকদের
সংগঠন বিজিএমইএ’র তদন্ত কমিটি। এছাড়া ভবন মালিক সোহেল রানা ও নিষেধাজ্ঞা
সত্ত্বেও কারখানা খোলায় গার্মেন্টস মালিকদের উপরই দায় চাপিয়েছে বিজিএমইএ।
তবে দুর্ঘটনার ব্যাপারে বিজিএমই্এ’র কোন দায় নেই বলে দাবি করেছে সংগঠনটি।
প্রতিবেদনে ভবন ধসের কারণ হিসেবে নয়টি বিষয়কে চিহ্নিত করে বলা হয়েছে, রানা
প্লাজার কারখানাগুলোতে অতিরিক্ত কাঁচামাল ও কাপড় রাখা এবং ধারণ ক্ষমতার
বেশি শ্রমিক নিয়োগ ছিল। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে দায়ী ব্যক্তিদের আইনের
আওতায় নেয়ারও সুপারিশ করেছে বিজিএমইএ।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর কাওরানবাজারের বিজিএমইএ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাভার ট্র্যাজেডির তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংগঠনটি। এ সংক্রান্ত তদন্ত কমিটির প্রধান এমএ মান্নান (কচি) সাংবাদিকদের সামনে প্রতিবেদনটি পড়ে শোনান। এই প্রতিবেদনে ভবন ধসের কারণ হিসেবে নয়টি বিষয়কে চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে কারখানায় নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার, ৬ তলার অনুমোদন থাকলেও ৯ তলা নির্মাণ করা, কল-কারখানা পরিদর্শন বিভাগের অসচেতনতা, সাভার পৌরসভার সংশ্লিষ্ট বিভাগের অবহেলইত্যাদি। কিন্তু প্রতিবেদনে বিজিএমইএ এর কোন দায় দেখানো হয়নি। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় নেয়ারও সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভবনটিতে পিলারের ধারণ ক্ষমতা সাড়ে তিন হাজার পিএসআই থাকার কথা থাকলেও সেখানেও ছিল মাত্র দুই হাজার তিনশ পিএসআই। পাশাপাশি কারখানার অতিরিক্ত কাঁচামাল ও তৈরি পণ্য সামগ্রী এবং বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর একসঙ্গে সব জেনারেটর চালু হওয়াও একটি বড় কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসাসহ অন্যান্য বিষয়ে এ পর্যন্ত রানা প্লাজার ঘটনায় ৮ কোটি ৩০ হাজার টাকা খরচ করেছে বিজিএমই।
প্রতিবেদন প্রকাশকালে বিজিএমইএ এর সভাপতি মোঃ আতিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ফাটলের খবর পেয়ে বিজিএমইএ থেকে মালিকদের কারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। ভবন মালিক রানা মিথ্যা তথ্য দেয় যে, ভবনে কোন সমস্যা নেই। ২৪ এপ্রিল সকালে রানা নিজে উপস্থিত থেকে মিলাদ পড়িয়ে কার্যক্রম শুরু করে। ভবন মালিকের মিথ্যা আশ্বাস শুনে বিজিএমইএ-এর নির্দেশ উপেক্ষা করে কারখানা চালু রাখে গার্মেন্টস মালিকরা। বিজিএমইএ এর দুইজন প্রতিনিধি সেদিন সকালে ভবনের সামনে উপস্থিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভবনটি ধসে পড়ে। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি। সুতরাং এই ভবন ধসের দায় বিজিএমইএ’র নয়। অন্যদিকে ২৮ এপ্রিল তদন্ত কমিটি গঠনের সময় ১০ দিন সময় বেঁধে দেয়া হলেও প্রতিবেদন প্রকাশের প্রায় দুই মাস সময় লাগার কারণ হিসেবে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, তদন্ত কাজ সম্পন্ন করতে বুয়েটের কিছু যন্ত্রপাতি প্রয়োজন ছিল যা আমাদের পেতে সময় লেগেছে। তাই প্রতিবেদনটি তৈরিতে একটু সময় বেশি নিতে হয়েছে।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর কাওরানবাজারের বিজিএমইএ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাভার ট্র্যাজেডির তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংগঠনটি। এ সংক্রান্ত তদন্ত কমিটির প্রধান এমএ মান্নান (কচি) সাংবাদিকদের সামনে প্রতিবেদনটি পড়ে শোনান। এই প্রতিবেদনে ভবন ধসের কারণ হিসেবে নয়টি বিষয়কে চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে কারখানায় নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার, ৬ তলার অনুমোদন থাকলেও ৯ তলা নির্মাণ করা, কল-কারখানা পরিদর্শন বিভাগের অসচেতনতা, সাভার পৌরসভার সংশ্লিষ্ট বিভাগের অবহেলইত্যাদি। কিন্তু প্রতিবেদনে বিজিএমইএ এর কোন দায় দেখানো হয়নি। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় নেয়ারও সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভবনটিতে পিলারের ধারণ ক্ষমতা সাড়ে তিন হাজার পিএসআই থাকার কথা থাকলেও সেখানেও ছিল মাত্র দুই হাজার তিনশ পিএসআই। পাশাপাশি কারখানার অতিরিক্ত কাঁচামাল ও তৈরি পণ্য সামগ্রী এবং বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর একসঙ্গে সব জেনারেটর চালু হওয়াও একটি বড় কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসাসহ অন্যান্য বিষয়ে এ পর্যন্ত রানা প্লাজার ঘটনায় ৮ কোটি ৩০ হাজার টাকা খরচ করেছে বিজিএমই।
প্রতিবেদন প্রকাশকালে বিজিএমইএ এর সভাপতি মোঃ আতিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ফাটলের খবর পেয়ে বিজিএমইএ থেকে মালিকদের কারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। ভবন মালিক রানা মিথ্যা তথ্য দেয় যে, ভবনে কোন সমস্যা নেই। ২৪ এপ্রিল সকালে রানা নিজে উপস্থিত থেকে মিলাদ পড়িয়ে কার্যক্রম শুরু করে। ভবন মালিকের মিথ্যা আশ্বাস শুনে বিজিএমইএ-এর নির্দেশ উপেক্ষা করে কারখানা চালু রাখে গার্মেন্টস মালিকরা। বিজিএমইএ এর দুইজন প্রতিনিধি সেদিন সকালে ভবনের সামনে উপস্থিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভবনটি ধসে পড়ে। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি। সুতরাং এই ভবন ধসের দায় বিজিএমইএ’র নয়। অন্যদিকে ২৮ এপ্রিল তদন্ত কমিটি গঠনের সময় ১০ দিন সময় বেঁধে দেয়া হলেও প্রতিবেদন প্রকাশের প্রায় দুই মাস সময় লাগার কারণ হিসেবে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, তদন্ত কাজ সম্পন্ন করতে বুয়েটের কিছু যন্ত্রপাতি প্রয়োজন ছিল যা আমাদের পেতে সময় লেগেছে। তাই প্রতিবেদনটি তৈরিতে একটু সময় বেশি নিতে হয়েছে।
No comments