আইনকে নিজের মতো চলতে দিন ছাত্রলীগ-যুবলীগের টেন্ডারবাজি
সরকারি দলের ছাত্র বা যুব সংগঠনের
নেতা-কর্মী মানেই সাত খুন মাফ আর টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি ও দখলদারি
লাইসেন্স হাতে পাওয়া। টাকা কামাই করার এর চেয়ে সহজ পথ আর কী আছে?
পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের ৯৬ কোটি টাকার কাজ হবে আর
তা ছাত্রলীগ
বা যুবলীগের নেতাদের বাইরে কেউ পাবে, তা তো হতেই পারে না! কিন্তু দুই
সংগঠনের নেতারাই যদি কাজটি পেতে চান, তবে যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। অর্থের লোভ
এমনই জিনিস, এর জন্য নিজেদের মধ্যে মারামারি বা খুনোখুনি সবই চলে।
চট্টগ্রামে টেন্ডারবাজি নিয়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষে
দুজনের মৃত্যু এই সত্যকেই আবার সামনে নিয়ে এল।
এ সরকার পাঁচ বছরের মেয়াদের সাড়ে চার বছর পার করেছে। এ সময়ের মধ্যে ছাত্রলীগসংশ্লিষ্ট সংঘাত-সহিংসতায় মারা গেছে ১৫ জন, আহত হয়েছে হাজার দেড়েক। এসব ঘটনার কয়েকটির বিচার চলছে আর অনেক ঘটনার তদন্তই শেষ হচ্ছে না মাসের পর মাস ধরে। মূল আসামিরা এসব ক্ষেত্রে পলাতক থাকবেন, এটাই যেন রীতি, পুলিশ তাঁদের খুঁজে পায় না। এই ঘটনাগুলোয় এখন পর্যন্ত কারও কোনো শাস্তি হয়নি। চট্টগ্রামের ঘটনায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাসহ এ পর্যন্ত ৫৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার আদালত ৪৪ জনকে এক দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন। টেন্ডারবাজি নিয়ে সশস্ত্র সংঘর্ষ ও দুজনের মৃত্যু—এমন একটি মামলার আসামিদের এক দিনের রিমান্ডে নিলে কি সব তথ্য বের হয়ে আসবে? রিমান্ডের আদেশ আদালত দিয়েছেন, এ নিয়ে প্রশ্ন তোলা কঠিন। কিন্তু প্রশ্নটি উপেক্ষা করাও কঠিন। আসামিরা সরকারি দলের অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী না হলে কি রিমান্ডের মেয়াদ এক দিনই হতো?
গত সোমবার চট্টগ্রামে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত দুজনের একজন যুবলীগের সদস্য, অপরজন এক রিকশাচালকের আট বছরের শিশুসন্তান। যুবলীগের নিহত সদস্য সাজু পালিত হয়তো বিবদমান দুটি পক্ষের একটি পক্ষের হয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন, কিন্তু শিশু আরমান গুলিবিদ্ধ হয়েছে খেলার সময়। আগের মৃত্যুগুলোর মতো সম্ভবত এই দুটি মৃত্যুর বিচারের জন্যও দীর্ঘ অপেক্ষাই করতে হবে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের লোকজনকে। গত জানুয়ারিতে আধিপত্য বিস্তার, টেন্ডারবাজি ও নিয়োগ-বাণিজ্য নিয়ে ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছিল ১০ বছরের শিশু রাব্বী। এই মামলার মূল আসামি ছাত্রলীগের তখনকার বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে পুলিশ এখনো আটক করতে পারেনি। বিলম্বিত বিচার যে বিচার না পাওয়ারই শামিল!
আইন নিজের মতো চললে সরকারি দলের ছাত্র বা যুব সংগঠনের নেতা-কর্মীদের পার পাওয়ার কথা নয়। চট্টগ্রামের এই দুটি খুনের ঘটনার আসামিরা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, নির্বাচনকে সামনে রেখে এর বিচার-প্রক্রিয়ার প্রতি দেশবাসীর বাড়তি মনোযোগ থাকবে। সরকার আইনকে নিজের মতো চলতে দেবে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
এ সরকার পাঁচ বছরের মেয়াদের সাড়ে চার বছর পার করেছে। এ সময়ের মধ্যে ছাত্রলীগসংশ্লিষ্ট সংঘাত-সহিংসতায় মারা গেছে ১৫ জন, আহত হয়েছে হাজার দেড়েক। এসব ঘটনার কয়েকটির বিচার চলছে আর অনেক ঘটনার তদন্তই শেষ হচ্ছে না মাসের পর মাস ধরে। মূল আসামিরা এসব ক্ষেত্রে পলাতক থাকবেন, এটাই যেন রীতি, পুলিশ তাঁদের খুঁজে পায় না। এই ঘটনাগুলোয় এখন পর্যন্ত কারও কোনো শাস্তি হয়নি। চট্টগ্রামের ঘটনায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাসহ এ পর্যন্ত ৫৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার আদালত ৪৪ জনকে এক দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন। টেন্ডারবাজি নিয়ে সশস্ত্র সংঘর্ষ ও দুজনের মৃত্যু—এমন একটি মামলার আসামিদের এক দিনের রিমান্ডে নিলে কি সব তথ্য বের হয়ে আসবে? রিমান্ডের আদেশ আদালত দিয়েছেন, এ নিয়ে প্রশ্ন তোলা কঠিন। কিন্তু প্রশ্নটি উপেক্ষা করাও কঠিন। আসামিরা সরকারি দলের অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী না হলে কি রিমান্ডের মেয়াদ এক দিনই হতো?
গত সোমবার চট্টগ্রামে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত দুজনের একজন যুবলীগের সদস্য, অপরজন এক রিকশাচালকের আট বছরের শিশুসন্তান। যুবলীগের নিহত সদস্য সাজু পালিত হয়তো বিবদমান দুটি পক্ষের একটি পক্ষের হয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন, কিন্তু শিশু আরমান গুলিবিদ্ধ হয়েছে খেলার সময়। আগের মৃত্যুগুলোর মতো সম্ভবত এই দুটি মৃত্যুর বিচারের জন্যও দীর্ঘ অপেক্ষাই করতে হবে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের লোকজনকে। গত জানুয়ারিতে আধিপত্য বিস্তার, টেন্ডারবাজি ও নিয়োগ-বাণিজ্য নিয়ে ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছিল ১০ বছরের শিশু রাব্বী। এই মামলার মূল আসামি ছাত্রলীগের তখনকার বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে পুলিশ এখনো আটক করতে পারেনি। বিলম্বিত বিচার যে বিচার না পাওয়ারই শামিল!
আইন নিজের মতো চললে সরকারি দলের ছাত্র বা যুব সংগঠনের নেতা-কর্মীদের পার পাওয়ার কথা নয়। চট্টগ্রামের এই দুটি খুনের ঘটনার আসামিরা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, নির্বাচনকে সামনে রেখে এর বিচার-প্রক্রিয়ার প্রতি দেশবাসীর বাড়তি মনোযোগ থাকবে। সরকার আইনকে নিজের মতো চলতে দেবে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
No comments