রাজনৈতিক বিবেচনায়’ প্রত্যাহার এক মাসের মাথায় আরেক খুন আসামি সেই যুবলীগ নেতা by কামনাশীষ শেখর
টাঙ্গাইলে ‘রাজনৈতিক হয়রানিমূলক’ বিবেচনায়
যুবলীগের এক নেতার একটি হত্যা মামলা প্রত্যাহারের এক মাসের মাথায় তাঁর
বিরুদ্ধে আরেকটি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে
তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।
এর পর থেকে তাঁকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না।
টাঙ্গাইল শহরের বিশ্বাসবেতকা এলাকায় গত রোববার বিকেলে দেলোয়ার হোসেন নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ওই রাতেই জেলা যুবলীগের সদস্য আতিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে মামলা হয়েছে। টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলাটি করেছেন নিহত দেলোয়ারের বাবা শুকুর মাহমুদ। তিনি অভিযোগ করেন, ছাত্রদলের নেতা রেজাউল করিম হত্যা মামলা ‘রাজনৈতিক হয়রানিমূলক’ বিবেচনায় প্রত্যাহারের কারণে আতিকুল আবার খুন করতে উৎসাহ পেয়েছেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, টাঙ্গাইল শহরের বিশ্বাসবেতকা এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে আতিকুল তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তাঁর নামে টাঙ্গাইল সদর থানায় হত্যা, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে। ২০০৪ সালের ১৪ নভেম্বর রাতে টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদলের নেতা রেজাউল খুন হন। পরদিন আতিকুলকে প্রধান আসামি করে সাতজনের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন রেজাউলের বাবা আবদুস ছাত্তার মোল্লা।
এদিকে রেজাউল খুন হওয়ার পরপরই আতিকুল বিদেশে পালিয়ে যান। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০০৫ সালের ২৩ জুলাই টাঙ্গাইল বিচারিক হাকিম আদালতে রেজাউল হত্যা মামলার অভিযোগপত্র জমা দেয়। এতে আতিকুল এবং তাঁর সহযোগী কনক, সবুজ, আয়নাল, হাইজুদ্দিন, সোহাগ ও রনিকে অভিযুক্ত করা হয়। পরে টাঙ্গাইলের ১ নম্বর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচার শুরু হয়।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ক্ষমতায় আসার পর আতিকুল টাঙ্গাইলে ফেরেন। ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী রাজনীতিকদের ছত্রচ্ছায়ায় তিনি বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। তিনি শহরের বিশ্বাসবেতকা, চরজানা, আশেকপুর, পুরোনো বাসস্ট্যান্ড, ঢাকা রোডসহ শহরের পূর্বাংশ নিয়ন্ত্রণ করেন। পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন বিভাগে দরপত্র নিয়ন্ত্রণেও সক্রিয় তিনি।
রেজাউল হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে আতিকুল ২০০৯ সালের শুরুতেই ‘রাজনৈতিক কারণে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার-সংক্রান্ত জেলা কমিটি’র কাছে আবেদন করেন। তবে কমিটি মামলাটি পর্যালোচনা করে ‘রাজনৈতিক হয়রানি’র কোনো সংশ্লিষ্টতা না পেয়ে প্রত্যাহারের সুপারিশ করেনি। পরে ২০১০ সালে তিনি আবার মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করেন। তখন প্রভাবশালী একাধিক রাজনীতিকের লিখিত ও মৌখিক সুপারিশের ভিত্তিতে ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন শাখা-১ থেকে সহকারী সচিব মোহাম্মদ আবু সাইদ মোল্লা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে মামলাটি প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়। পরে টাঙ্গাইলের ১ নম্বর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে একাধিকবার শুনানি শেষে গত ২২ মে মামলাটি প্রত্যাহারের আদেশ দেওয়া হয়।
এলাকাবাসী জানায়, রেজাউল হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর আতিকুল ও তাঁর সহযোগীরা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। তিনি সব সময় ২৫-৩০টি মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে চলাফেরা করেন।
ছাত্রদলের নেতা রেজাউলের বাবা আবদুস ছাত্তার বলেন, ‘শুনেছি আমার ছেলেকে হত্যার মামলা সরকার তুলে নিয়েছে। কীভাবে কী হয়েছে, তা বুঝতে পারছি না।’ রেজাউলের ভাই মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘ভাইকে হারালাম কিন্তু বিচার পেলাম না। এটা খুব দুঃখজনক।’
মানবাধিকারবিষয়ক সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) টাঙ্গাইলের সমন্বয়কারী আইনজীবী আবদুল করিম বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় এভাবে মামলা প্রত্যাহার করা হলে অপরাধীরা আরও অপরাধ করতে উৎসাহ পাবে।
দেলোয়ারের বাবা শুকুর মাহমুদ বলেন, রেজাউল হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর আতিকুল অপরাধ কর্মকাণ্ডে আরও বেশি উৎসাহী হয়ে ওঠেন। ওই মামলার বিচার হলে তাঁর ছেলেকে আজ মরতে হতো না।
দেলোয়ার খুন হওয়ার পর থেকে আতিকুলকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। ফলে অভিযোগের বিষয়ে তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তাঁর ব্যক্তিগত মুঠোফোনও বন্ধ।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, দেলোয়ার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল শহরের বিশ্বাসবেতকা এলাকায় গত রোববার বিকেলে দেলোয়ার হোসেন নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ওই রাতেই জেলা যুবলীগের সদস্য আতিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে মামলা হয়েছে। টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলাটি করেছেন নিহত দেলোয়ারের বাবা শুকুর মাহমুদ। তিনি অভিযোগ করেন, ছাত্রদলের নেতা রেজাউল করিম হত্যা মামলা ‘রাজনৈতিক হয়রানিমূলক’ বিবেচনায় প্রত্যাহারের কারণে আতিকুল আবার খুন করতে উৎসাহ পেয়েছেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, টাঙ্গাইল শহরের বিশ্বাসবেতকা এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে আতিকুল তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তাঁর নামে টাঙ্গাইল সদর থানায় হত্যা, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে। ২০০৪ সালের ১৪ নভেম্বর রাতে টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদলের নেতা রেজাউল খুন হন। পরদিন আতিকুলকে প্রধান আসামি করে সাতজনের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন রেজাউলের বাবা আবদুস ছাত্তার মোল্লা।
এদিকে রেজাউল খুন হওয়ার পরপরই আতিকুল বিদেশে পালিয়ে যান। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০০৫ সালের ২৩ জুলাই টাঙ্গাইল বিচারিক হাকিম আদালতে রেজাউল হত্যা মামলার অভিযোগপত্র জমা দেয়। এতে আতিকুল এবং তাঁর সহযোগী কনক, সবুজ, আয়নাল, হাইজুদ্দিন, সোহাগ ও রনিকে অভিযুক্ত করা হয়। পরে টাঙ্গাইলের ১ নম্বর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচার শুরু হয়।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ক্ষমতায় আসার পর আতিকুল টাঙ্গাইলে ফেরেন। ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী রাজনীতিকদের ছত্রচ্ছায়ায় তিনি বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। তিনি শহরের বিশ্বাসবেতকা, চরজানা, আশেকপুর, পুরোনো বাসস্ট্যান্ড, ঢাকা রোডসহ শহরের পূর্বাংশ নিয়ন্ত্রণ করেন। পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন বিভাগে দরপত্র নিয়ন্ত্রণেও সক্রিয় তিনি।
রেজাউল হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে আতিকুল ২০০৯ সালের শুরুতেই ‘রাজনৈতিক কারণে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার-সংক্রান্ত জেলা কমিটি’র কাছে আবেদন করেন। তবে কমিটি মামলাটি পর্যালোচনা করে ‘রাজনৈতিক হয়রানি’র কোনো সংশ্লিষ্টতা না পেয়ে প্রত্যাহারের সুপারিশ করেনি। পরে ২০১০ সালে তিনি আবার মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করেন। তখন প্রভাবশালী একাধিক রাজনীতিকের লিখিত ও মৌখিক সুপারিশের ভিত্তিতে ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন শাখা-১ থেকে সহকারী সচিব মোহাম্মদ আবু সাইদ মোল্লা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে মামলাটি প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়। পরে টাঙ্গাইলের ১ নম্বর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে একাধিকবার শুনানি শেষে গত ২২ মে মামলাটি প্রত্যাহারের আদেশ দেওয়া হয়।
এলাকাবাসী জানায়, রেজাউল হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর আতিকুল ও তাঁর সহযোগীরা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। তিনি সব সময় ২৫-৩০টি মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে চলাফেরা করেন।
ছাত্রদলের নেতা রেজাউলের বাবা আবদুস ছাত্তার বলেন, ‘শুনেছি আমার ছেলেকে হত্যার মামলা সরকার তুলে নিয়েছে। কীভাবে কী হয়েছে, তা বুঝতে পারছি না।’ রেজাউলের ভাই মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘ভাইকে হারালাম কিন্তু বিচার পেলাম না। এটা খুব দুঃখজনক।’
মানবাধিকারবিষয়ক সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) টাঙ্গাইলের সমন্বয়কারী আইনজীবী আবদুল করিম বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় এভাবে মামলা প্রত্যাহার করা হলে অপরাধীরা আরও অপরাধ করতে উৎসাহ পাবে।
দেলোয়ারের বাবা শুকুর মাহমুদ বলেন, রেজাউল হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর আতিকুল অপরাধ কর্মকাণ্ডে আরও বেশি উৎসাহী হয়ে ওঠেন। ওই মামলার বিচার হলে তাঁর ছেলেকে আজ মরতে হতো না।
দেলোয়ার খুন হওয়ার পর থেকে আতিকুলকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। ফলে অভিযোগের বিষয়ে তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তাঁর ব্যক্তিগত মুঠোফোনও বন্ধ।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, দেলোয়ার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে।
No comments