চট্টগ্রাম রেলে টেন্ডারবাজির নেপথ্যে by মাকসুদ আহমদ
চট্টগ্রামে রেলের টেন্ডার বাণিজ্যের
নেপথ্যে রয়েছে অসাধু ঠিকাদারদের রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর অপচেষ্টা। এসব
ঠিকাদার টেন্ডার বাগিয়ে নিতে রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মানহানিসহ
হত্যার হুমকি দেয়ার ঘটনা ঘটালেও রেল ভবন থেকে এসব টেন্ডারবাজের বিরুদ্ধে
কোন ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার নজির নেই।
পাবলিক প্রকিউরমেন্ট
রুলস (পিপিআর) ২০০৮ অনুযায়ী অসাধু ঠিকাদারদের কালো তালিকাভুক্তির বিধান
থাকলেও অসাধু কর্মকর্তারা ম্যানেজ হবার কারণে পার পেয়ে যাচ্ছে অসাধু
ব্যবসায়ী ও ঠিকাদাররা। এদিকে টেন্ডারবাজদের দৌরাত্ম্য বেড়ে চলেছে সরকারদলীয়
ক্যাডারদের কারণে। অভিযোগ রয়েছে ঠিকাদারদাতা বিভাগের অসাধুরা সিডিউল
বিক্রি থেকে শুরু করে টেন্ডার ড্রপিং পর্যন্ত গোপনীয়তা রক্ষা করার কথা
থাকলেও তা অর্থ বাণিজ্যের কারণে ওপেন সিক্রেট হয়ে গেছে। উল্লেখ্য, রেলের
সাবেক জিএম মৃধার আমলে প্রধান প্রকৌশলীর দফতরে ৯ ঠিকাদারকে অনিয়মের কারণে
কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে সাবেক জিএম অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে ওই ৯
প্রতিষ্ঠানকে পুনরায় ঠিকাদারি চালানোর অনুমতি দেয়। রেল কর্মকর্তাদের অনিয়ম
ও দুর্নীতির কারণে অসাধু ঠিকাদাররা ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের ব্যবহারের
মাধ্যমে নিজেদের ব্যবসা চাঙ্গা রাখার অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। গত সোমবারের
টেন্ডারের তিনটির প্রত্যেকটিতে মাত্র ২টি প্রতিষ্ঠান টেন্ডার ড্রপ করেছে।
তবে পিপিআর-২০০৮ অনুযায়ী বিডার কমপক্ষে ৩টি প্রতিষ্ঠান থাকতে হবে। অন্যথায়
ফের টেন্ডার আহ্বান করতে হবে।
রেলের পূর্বাঞ্চলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কমপক্ষে ১০টি গ্রুপ টেন্ডারবাজির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তবে এসব গ্রুপের মধ্যে রয়েছে একাত্মতা। ফলে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ‘সাপের খোলসের ন্যায়’ গ্রুপিংয়ে পরিবর্তন আসে। আওয়ামী লীগ সরকার আমলে বিএনপি বা অঙ্গ সংগঠন সরকারদলীয়দের ব্যবহার করে আবার বিএনপি সরকার আমলে আওয়ামী সংগঠনগুলো কাজ পেতে সরকারদলীয়দের ব্যবহার করে টেন্ডার বাগিয়ে নিতে। বর্তমান সরকার আমলে টাইগার পাসের শামীম গ্রুপ, বাবর গ্রুপ ও দিদার গ্রুপের আধিপত্যে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ঠিকাদাররা চুটিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে টেন্ডারের চাঁদা দিয়ে। এর অন্যতম উদাহরণ হলো সোমবারের ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় দায়েরকৃত পুলিশের মামলায় ৩ নং আসামি মনোয়ারুল আলম নোবেল বিএনপি ঘরানার। এমনকি নোবেল মহানগর বিএনপি সভাপতি আমরি খসরু মাহমুদ চৌধুরীর আত্মীয় বলেও কোতোয়ালি থানায় পুলিশকে উদ্ধৃতি দেয়া হযেছে। গত সোমবার প্রায় দেড় কোটি টাকার টেন্ডার ড্রপিংকে কেন্দ্র কনে ছাত্রলীগের এক ক্যাডার সাজু পালিত (২৮) ও মাদ্রাসা ছাত্র আরমান (৮) নিহতের ঘটনায় বুধবার সিআরবি প্রাঙ্গণ ছিল ক্যাডারশূন্য। তবে পুলিশের মোবাইল টিম সিআরবি সাত রাস্তার মোড় এলাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অলস সময় কাটিয়েছে। তবে নিহত দুই পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যাকারীদের বিচার দাবি করা হলেও আইনের আশ্রয় নেয়নি কেউই। তবে শিশু আরমানের বাবা রিক্সাচালক হওয়ায় মামলার ব্যয়ভার বহন করতে না পারার আশঙ্কায় আল্লাহর কাছে হত্যাকারীদের বিচার প্রার্থনা করেছেন।
অভিযোগ রয়েছে, রেলের উভয় জোনে অসাধু সরবরাহকারীদের চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে অতিষ্ঠ ক্রয় বিভাগের কর্মকর্তারা। ক্রয় বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাকে হাতে রেখে বুলেটিনে প্রদত্ত দরপত্রের চাহিদাপত্র অনুযায়ী মালামাল বা সরঞ্জাম সরবরাহ করছে না একশ্রেণীর সরবরাহকারী। ফলে স্যাম্পলের ব্যতিক্রম ঘটিয়ে ক্রয় ও পরিদর্শন বিভাগের কর্মকর্তাদের উৎকোচ দিয়ে পণ্য সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে। এদিকে সরবরাহকারীদের একটি চক্র সিডিউল ক্রয়ের মধ্য দিয়ে বাক্স ওপেনিংয়ের দিনে বাণিজ্য চালায়। রেল কর্মচারীদের যোগসাজশের কারণে সিডিউল বাণিজ্য সিস্টেমে পরিণত হয়েছে। ফলে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতি অব্যাহত থাকায় রেলওয়েকে মুনাফার পরিবর্তে লোকসান গুনতে হচ্ছে। উল্লেখ্য, প্রতিবছর প্রায় ৩৫ হাজার আইটেম উভয় জোনের ক্রয় বিভাগের মাধ্যমে ব্যবহারকারী বিভাগগুলোকে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
টেন্ডারবাজদের দৌরাত্ম্য প্রসঙ্গে চট্টগ্রামস্থ সরকারী-বেসরকারী কয়েকটি দফতরের কর্মকর্তারা জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন, নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত উভয় ঠিকাদারের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ সুষ্ঠু ও নিয়মতান্ত্রিক টেন্ডার প্রক্রিয়া চালানোর চেষ্টা করলেও রাজনৈতিক ব্যানারে থাকা ঠিকাদাররা টেন্ডার বাগিয়ে নেয়ার অপচেষ্টা চালায়। অসাধু ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে কালো তালিকাভুক্ত করা হলেও পরবর্তীতে তা ভেস্তে যায়। ফলে অসাধু ঠিকাদাররা পেশীশক্তির মাধ্যমে ঠিকাদারি নিজ দখলে নেয়ার চেষ্টা চালায়।
রেলের পূর্বাঞ্চলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কমপক্ষে ১০টি গ্রুপ টেন্ডারবাজির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তবে এসব গ্রুপের মধ্যে রয়েছে একাত্মতা। ফলে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ‘সাপের খোলসের ন্যায়’ গ্রুপিংয়ে পরিবর্তন আসে। আওয়ামী লীগ সরকার আমলে বিএনপি বা অঙ্গ সংগঠন সরকারদলীয়দের ব্যবহার করে আবার বিএনপি সরকার আমলে আওয়ামী সংগঠনগুলো কাজ পেতে সরকারদলীয়দের ব্যবহার করে টেন্ডার বাগিয়ে নিতে। বর্তমান সরকার আমলে টাইগার পাসের শামীম গ্রুপ, বাবর গ্রুপ ও দিদার গ্রুপের আধিপত্যে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ঠিকাদাররা চুটিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে টেন্ডারের চাঁদা দিয়ে। এর অন্যতম উদাহরণ হলো সোমবারের ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় দায়েরকৃত পুলিশের মামলায় ৩ নং আসামি মনোয়ারুল আলম নোবেল বিএনপি ঘরানার। এমনকি নোবেল মহানগর বিএনপি সভাপতি আমরি খসরু মাহমুদ চৌধুরীর আত্মীয় বলেও কোতোয়ালি থানায় পুলিশকে উদ্ধৃতি দেয়া হযেছে। গত সোমবার প্রায় দেড় কোটি টাকার টেন্ডার ড্রপিংকে কেন্দ্র কনে ছাত্রলীগের এক ক্যাডার সাজু পালিত (২৮) ও মাদ্রাসা ছাত্র আরমান (৮) নিহতের ঘটনায় বুধবার সিআরবি প্রাঙ্গণ ছিল ক্যাডারশূন্য। তবে পুলিশের মোবাইল টিম সিআরবি সাত রাস্তার মোড় এলাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অলস সময় কাটিয়েছে। তবে নিহত দুই পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যাকারীদের বিচার দাবি করা হলেও আইনের আশ্রয় নেয়নি কেউই। তবে শিশু আরমানের বাবা রিক্সাচালক হওয়ায় মামলার ব্যয়ভার বহন করতে না পারার আশঙ্কায় আল্লাহর কাছে হত্যাকারীদের বিচার প্রার্থনা করেছেন।
অভিযোগ রয়েছে, রেলের উভয় জোনে অসাধু সরবরাহকারীদের চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে অতিষ্ঠ ক্রয় বিভাগের কর্মকর্তারা। ক্রয় বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাকে হাতে রেখে বুলেটিনে প্রদত্ত দরপত্রের চাহিদাপত্র অনুযায়ী মালামাল বা সরঞ্জাম সরবরাহ করছে না একশ্রেণীর সরবরাহকারী। ফলে স্যাম্পলের ব্যতিক্রম ঘটিয়ে ক্রয় ও পরিদর্শন বিভাগের কর্মকর্তাদের উৎকোচ দিয়ে পণ্য সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে। এদিকে সরবরাহকারীদের একটি চক্র সিডিউল ক্রয়ের মধ্য দিয়ে বাক্স ওপেনিংয়ের দিনে বাণিজ্য চালায়। রেল কর্মচারীদের যোগসাজশের কারণে সিডিউল বাণিজ্য সিস্টেমে পরিণত হয়েছে। ফলে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতি অব্যাহত থাকায় রেলওয়েকে মুনাফার পরিবর্তে লোকসান গুনতে হচ্ছে। উল্লেখ্য, প্রতিবছর প্রায় ৩৫ হাজার আইটেম উভয় জোনের ক্রয় বিভাগের মাধ্যমে ব্যবহারকারী বিভাগগুলোকে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
টেন্ডারবাজদের দৌরাত্ম্য প্রসঙ্গে চট্টগ্রামস্থ সরকারী-বেসরকারী কয়েকটি দফতরের কর্মকর্তারা জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন, নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত উভয় ঠিকাদারের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ সুষ্ঠু ও নিয়মতান্ত্রিক টেন্ডার প্রক্রিয়া চালানোর চেষ্টা করলেও রাজনৈতিক ব্যানারে থাকা ঠিকাদাররা টেন্ডার বাগিয়ে নেয়ার অপচেষ্টা চালায়। অসাধু ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে কালো তালিকাভুক্ত করা হলেও পরবর্তীতে তা ভেস্তে যায়। ফলে অসাধু ঠিকাদাররা পেশীশক্তির মাধ্যমে ঠিকাদারি নিজ দখলে নেয়ার চেষ্টা চালায়।
No comments