গণপূর্তে আজকের টেন্ডার নিয়ে নতুন আতঙ্ক
রেলওয়েতে যুবলীগ-ছাত্রলীগ ক্যাডারদের
টেন্ডারবাজিকে কেন্দ্র করে সোমবার সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে শিশুসহ দুজন নিহত
হওয়ার পর আজ বৃহস্পতিবার আরেক টেন্ডার নিয়ে আতঙ্ক ভর করেছে। গণপূর্ত
বিভাগের ৮৭ লাখ টাকার দরপত্র নিয়ে আতঙ্কিত তালিকাভুক্ত ঠিকাদাররা।
গণপূর্ত
বিভাগের কয়েকজন ঠিকাদার গতকাল বুধবার আতঙ্ক প্রকাশ করে কালের কণ্ঠকে বলেন,
নগর ছাত্রলীগের নেতা নামধারী তমাল-মাসুম বাহিনী আজ দরপত্র ভাগিয়ে নিতে
আগের দিন থেকেই গণপূর্ত বিভাগের আশপাশে মহড়া শুরু করেছে। এই বাহিনী এতটাই
বেপরোয়া যে সম্প্রতি একজন প্রকৌশলীকে তারা প্রকাশ্যেই লাঞ্ছিত করেছে। ওই
প্রকৌশলী ভয়ে থানায় এই সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা বা কোনো অভিযোগও
দায়ের করার সাহস পর্যন্ত পাননি।
কয়েকজন ঠিকাদার অভিযোগ করেন, নগরীর ডবলমুরিং থানা এলাকার আগ্রাবাদে নিয়মিতভাবে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি করছে তমাল-মাসুম বাহিনী। আদনান শাহরিয়ার তমাল নামের এই সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের কোনো পদে নেই বলে ছাত্রলীগের একজন নেতা নিশ্চিত করেছেন। তবে এ বি এম মাসুম নগর ছাত্রলীগের সদস্য। তমাল ও মাসুম তাদের ১৫ জন অনুসারীকে নিয়ে একটি বাহিনী তৈরি করেছে। এই বাহিনী মূলত আগ্রাবাদের ব্যবসায়ী ও গণপূর্ত বিভাগসহ সরকারি কার্যালয়ে টেন্ডারবাজি করে। এই বাহিনীর বিরুদ্ধে ডবলমুরিং থানায় কেউ মামলা করারও সাহস দেখায় না। ডবলমুরিং থানায় কর্মরত একজন উপপরিদর্শক বলেন, 'ভাই, তমাল-মাসুমদের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে কেউ অভিযোগ করবে তো দূরে থাক, তাদের নাম মুখে পর্যন্ত আনে না।'
টেন্ডারের বিষয়ে জানতে চাইলে গণপূর্ত বিভাগ-৩-এর নির্বাহী প্রকৌশলী নূরুল আমিন গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'মেরিন ফিশারিজ একাডেমীর একটি ভবন ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের জন্য ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি কাজের দরপত্র আহবান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দরপত্র খোলা হবে।' কোনো সন্ত্রাসী গ্রুপ দ্বারা টেন্ডার ভাগিয়ে নেওয়ার আশঙ্কা করছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমাদের অফিসে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা করছি না। এর পরও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা পুলিশকে জানিয়েছি।'
গণপূর্ত বিভাগের টেন্ডার খোলার সময় পুলিশি নিরাপত্তা থাকবে কি না, জানতে চাইলে ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'গণপূর্ত বিভাগের টেন্ডার নিয়ে কাউকেই টেন্ডারবাজি করতে দেওয়া হবে না। সকাল থেকেই ওই এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।' তমাল-মাসুম বাহিনীর হাতে প্রকৌশলী লাঞ্ছিত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'কয়েকদিন আগে এ ধরনের একটি মৌখিক অভিযোগ পেয়েছিলাম। পরে ওই প্রকৌশলী বলেছেন, বিষয়টি তাঁরা মীমাংসা করেছেন; এ কারণে অভিযোগ দেননি।'
গণপূর্ত বিভাগে টেন্ডারবাজির বিষয়ে জানতে আদনান হোসেন তমালকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
তিন লীগের দাপটে অস্থির চট্টগ্রাম : এদিকে চট্টগ্রামে সরকারি দলের চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজিতে অস্থিরতা বিষয় গতকালও সারা দিন নগরবাসীর মুখে প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে সরকারি দলের নাম ভাঙিয়ে যারা দলের ক্ষতি করতে তাদের শাস্তির দাবিও করেছেন অনেক নেতা-কর্মী। তাদের দলের সিনিয়র নেতাদের বিষয়ে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে বক্তব্য দেননি। তাঁরা বলেন, কয়েকজন সন্ত্রাসী চাঁদাবাজের জন্য একটি গণতান্ত্রিক দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে- এটা হতে দেওয়া যায় না। নির্বাচনের আগে দলের ভাবমূর্তি এসব চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
কয়েকজন ঠিকাদার অভিযোগ করেন, নগরীর ডবলমুরিং থানা এলাকার আগ্রাবাদে নিয়মিতভাবে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি করছে তমাল-মাসুম বাহিনী। আদনান শাহরিয়ার তমাল নামের এই সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের কোনো পদে নেই বলে ছাত্রলীগের একজন নেতা নিশ্চিত করেছেন। তবে এ বি এম মাসুম নগর ছাত্রলীগের সদস্য। তমাল ও মাসুম তাদের ১৫ জন অনুসারীকে নিয়ে একটি বাহিনী তৈরি করেছে। এই বাহিনী মূলত আগ্রাবাদের ব্যবসায়ী ও গণপূর্ত বিভাগসহ সরকারি কার্যালয়ে টেন্ডারবাজি করে। এই বাহিনীর বিরুদ্ধে ডবলমুরিং থানায় কেউ মামলা করারও সাহস দেখায় না। ডবলমুরিং থানায় কর্মরত একজন উপপরিদর্শক বলেন, 'ভাই, তমাল-মাসুমদের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে কেউ অভিযোগ করবে তো দূরে থাক, তাদের নাম মুখে পর্যন্ত আনে না।'
টেন্ডারের বিষয়ে জানতে চাইলে গণপূর্ত বিভাগ-৩-এর নির্বাহী প্রকৌশলী নূরুল আমিন গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'মেরিন ফিশারিজ একাডেমীর একটি ভবন ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের জন্য ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি কাজের দরপত্র আহবান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দরপত্র খোলা হবে।' কোনো সন্ত্রাসী গ্রুপ দ্বারা টেন্ডার ভাগিয়ে নেওয়ার আশঙ্কা করছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমাদের অফিসে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা করছি না। এর পরও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা পুলিশকে জানিয়েছি।'
গণপূর্ত বিভাগের টেন্ডার খোলার সময় পুলিশি নিরাপত্তা থাকবে কি না, জানতে চাইলে ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'গণপূর্ত বিভাগের টেন্ডার নিয়ে কাউকেই টেন্ডারবাজি করতে দেওয়া হবে না। সকাল থেকেই ওই এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।' তমাল-মাসুম বাহিনীর হাতে প্রকৌশলী লাঞ্ছিত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'কয়েকদিন আগে এ ধরনের একটি মৌখিক অভিযোগ পেয়েছিলাম। পরে ওই প্রকৌশলী বলেছেন, বিষয়টি তাঁরা মীমাংসা করেছেন; এ কারণে অভিযোগ দেননি।'
গণপূর্ত বিভাগে টেন্ডারবাজির বিষয়ে জানতে আদনান হোসেন তমালকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
তিন লীগের দাপটে অস্থির চট্টগ্রাম : এদিকে চট্টগ্রামে সরকারি দলের চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজিতে অস্থিরতা বিষয় গতকালও সারা দিন নগরবাসীর মুখে প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে সরকারি দলের নাম ভাঙিয়ে যারা দলের ক্ষতি করতে তাদের শাস্তির দাবিও করেছেন অনেক নেতা-কর্মী। তাদের দলের সিনিয়র নেতাদের বিষয়ে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে বক্তব্য দেননি। তাঁরা বলেন, কয়েকজন সন্ত্রাসী চাঁদাবাজের জন্য একটি গণতান্ত্রিক দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে- এটা হতে দেওয়া যায় না। নির্বাচনের আগে দলের ভাবমূর্তি এসব চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
No comments