টেন্ডার সন্ত্রাসযুবলীগ নেতা বাবর পাঁচ সহযোগীসহ ঢাকায় গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে
টেন্ডারবাজি নিয়ে সংঘর্ষ ও গুলিতে শিশুসহ দুজন নিহত হওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার
অভিযোগে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরসহ ছয়জনকে
গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় গুলশানের
একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া যুবলীগের
অন্য সদস্যরা হলো- প্রেমাশীষ মুৎসুদ্দি ওরফে ছোটন বড়ুয়া, মাজহারুল ইসলাম,
পলাশ দাশ, শাহ আলম ও রবি দে।
চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার পুলিশ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা ও গুলশান থানার পুলিশের একটি যৌথ টিম মঙ্গলবার রাতের ওই গ্রেপ্তার অভিযানে নেতৃত্ব দেয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান গতকাল বুধবার কালের কণ্ঠকে এ তথ্য জানান।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সোমবারের ওই টেন্ডার সন্ত্রাসের পর থেকে যুবলীগ নেতা বাবর তাঁর পাঁচ সহযোগীকে নিয়ে ঢাকার গুলশানে নিজ ফ্ল্যাটে আত্মগোপন করেন। ঘটনার পর থেকেই তাঁদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছিল। তাঁদের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর ঢাকা মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই ফ্ল্যাটে অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে শাহ আলম ঘটনার অন্যতম হোতা বাবরের দেহরক্ষী। গতকাল ভোরেই তাদের চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, টেন্ডার নিয়ে সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে প্রাণহানির ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে বাবরসহ অন্যদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম নগরীর সিআরবি সাত রাস্তার মোড়ে ঘটনার সময় সাইফুল আলম লিমন ও হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের নির্দেশেই সন্ত্রাসীরা আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। তবে মামলার এজাহারে গ্রেপ্তার হওয়া ছয়জনের মধ্যে শুধু বাবর, শাহ আলম ও প্রেমাশীষের নাম রয়েছে। তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে। তাদের ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
ডিবি সূত্র জানায়, মামলা দায়েরের পর থেকেই পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়। এর আগে সংঘর্ষের পর চট্টগ্রাম নগরীর সিআরবি, নন্দনকাননসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার এড়াতে অনেকেই ঢাকায় আত্মগোপন করলেও তাদের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি ছিল। এরই অংশ হিসেবে গুলশানে অভিযান চালিয়ে উল্লিখিত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিএমপির কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মহিউদ্দীন সেলিম কালের কণ্ঠকে বলেন, খুনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী বাবরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।
রিমান্ডের আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়নি : গ্রেপ্তার হওয়া যুবলীগ-ছাত্রলীগের ৫২ নেতা-কর্মীর মধ্যে ৪৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। অন্য আটজনকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে পুলিশ গতকাল রাত ৮টা পর্যন্ত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা উৎফল বড়ুয়া কালের কণ্ঠকে গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ঢাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী বাবরকে গ্রেপ্তার অভিযানে রয়েছেন। তিনি ঢাকায় থাকায় কারাগার থেকে আসামিদের থানায় আনা হয়নি। তদন্ত কর্মকর্তা ফিরে এলে আসামিদের পর্যায়ক্রমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
আরো এক ক্যাডারের তিন দিন রিমান্ড মঞ্জুর : টেন্ডারবাজির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ছাত্রলীগ ক্যাডার আনোয়ার হোসেন ওরফে আনু মিয়ার তিন তিদের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম ফরিদুল আলম। গতকাল শুনানি শেষে আদালত এই আদেশ দেন। আনোয়ারকে মঙ্গলবার রাতে নগরীর বিআরটিসি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত ফেনী রেলওয়ে স্টেশন সংস্কার কাজের ৪৮ লাখ টাকার টেন্ডার জমা দেওয়া নিয়ে সোমবার দুপুরে চট্টগ্রামের সিআরবি সাত রাস্তার মোড়ে রেলের পূর্বাঞ্চলীয় সদর দপ্তরে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এক পর্যায়ে দুই দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় আরমান নামে আট বছর বয়সী এক শিশু ও সাজু পালিত নামে এক যুবলীগ কর্মী মারা যায়। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক মহিবুর রহমান বাদী হয়ে ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৩০-৪০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় লিমনকে এক নম্বর ও বাবরকে ৫৩ নম্বর আসামি করা হয়।
চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার পুলিশ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা ও গুলশান থানার পুলিশের একটি যৌথ টিম মঙ্গলবার রাতের ওই গ্রেপ্তার অভিযানে নেতৃত্ব দেয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান গতকাল বুধবার কালের কণ্ঠকে এ তথ্য জানান।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সোমবারের ওই টেন্ডার সন্ত্রাসের পর থেকে যুবলীগ নেতা বাবর তাঁর পাঁচ সহযোগীকে নিয়ে ঢাকার গুলশানে নিজ ফ্ল্যাটে আত্মগোপন করেন। ঘটনার পর থেকেই তাঁদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছিল। তাঁদের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর ঢাকা মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই ফ্ল্যাটে অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে শাহ আলম ঘটনার অন্যতম হোতা বাবরের দেহরক্ষী। গতকাল ভোরেই তাদের চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, টেন্ডার নিয়ে সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে প্রাণহানির ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে বাবরসহ অন্যদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম নগরীর সিআরবি সাত রাস্তার মোড়ে ঘটনার সময় সাইফুল আলম লিমন ও হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের নির্দেশেই সন্ত্রাসীরা আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। তবে মামলার এজাহারে গ্রেপ্তার হওয়া ছয়জনের মধ্যে শুধু বাবর, শাহ আলম ও প্রেমাশীষের নাম রয়েছে। তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে। তাদের ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
ডিবি সূত্র জানায়, মামলা দায়েরের পর থেকেই পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়। এর আগে সংঘর্ষের পর চট্টগ্রাম নগরীর সিআরবি, নন্দনকাননসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার এড়াতে অনেকেই ঢাকায় আত্মগোপন করলেও তাদের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি ছিল। এরই অংশ হিসেবে গুলশানে অভিযান চালিয়ে উল্লিখিত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিএমপির কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মহিউদ্দীন সেলিম কালের কণ্ঠকে বলেন, খুনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী বাবরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।
রিমান্ডের আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়নি : গ্রেপ্তার হওয়া যুবলীগ-ছাত্রলীগের ৫২ নেতা-কর্মীর মধ্যে ৪৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। অন্য আটজনকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে পুলিশ গতকাল রাত ৮টা পর্যন্ত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা উৎফল বড়ুয়া কালের কণ্ঠকে গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ঢাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী বাবরকে গ্রেপ্তার অভিযানে রয়েছেন। তিনি ঢাকায় থাকায় কারাগার থেকে আসামিদের থানায় আনা হয়নি। তদন্ত কর্মকর্তা ফিরে এলে আসামিদের পর্যায়ক্রমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
আরো এক ক্যাডারের তিন দিন রিমান্ড মঞ্জুর : টেন্ডারবাজির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ছাত্রলীগ ক্যাডার আনোয়ার হোসেন ওরফে আনু মিয়ার তিন তিদের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম ফরিদুল আলম। গতকাল শুনানি শেষে আদালত এই আদেশ দেন। আনোয়ারকে মঙ্গলবার রাতে নগরীর বিআরটিসি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত ফেনী রেলওয়ে স্টেশন সংস্কার কাজের ৪৮ লাখ টাকার টেন্ডার জমা দেওয়া নিয়ে সোমবার দুপুরে চট্টগ্রামের সিআরবি সাত রাস্তার মোড়ে রেলের পূর্বাঞ্চলীয় সদর দপ্তরে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এক পর্যায়ে দুই দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় আরমান নামে আট বছর বয়সী এক শিশু ও সাজু পালিত নামে এক যুবলীগ কর্মী মারা যায়। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক মহিবুর রহমান বাদী হয়ে ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৩০-৪০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় লিমনকে এক নম্বর ও বাবরকে ৫৩ নম্বর আসামি করা হয়।
No comments