গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন আ.লীগের পাশে নেই জাতীয় পার্টি by শরিফুল হাসান ও মাসুদ রানা
অনেক চেষ্টার পরও গাজীপুরের সিটি করপোরেশন
নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে পাশে পাচ্ছে না আওয়ামী লীগ। আর তাই ১৪
দল-সমর্থিত প্রার্থী আজমত উল্লা খানের প্রচারকাজে মহাজোটের শরিক এই দলের
নেতা-কর্মীদের দেখা যাচ্ছে না।
উল্টো তাঁরা
বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী এম এ মান্নানের পক্ষে প্রচারণায় নেমেছেন। তবে
আওয়ামী লীগ দাবি করেছে, জাতীয় পার্টি এখনো মহাজোটেই আছে। খুব শিগগির তাদের
মাঠে দেখা যাবে। আর বিএনপি বলছে, জাতীয় পার্টি তাদের সঙ্গে আছে। দুই দলের
এই টানাটানির মাঝে জাতীয় পার্টির নেতারা আছেন মহানন্দে। তাঁদের দাবি,
গাজীপুরে তাঁদের এক থেকে দেড় লাখ ভোটার রয়েছেন। এ ছাড়া রংপুর, কুড়িগ্রাম ও
গাইবান্ধা এলাকার অনেক শ্রমিক গাজীপুরের বিভিন্ন পোশাক কারখানায় কাজ করেন,
যাঁরা এরশাদের ভক্ত। কাজেই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এই ভোট জয়-পরাজয়ে
ভূমিকা রাখবে।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী কাজী মাহমুদ হাসান মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচন থেকে সরে গেছেন। এ কারণে জাতীয় পার্টির অনেক কাউন্সিলর পদপ্রার্থী এম এ মান্নানের পক্ষে প্রকাশ্যে মাঠে নেমেছেন। বিষয়টি স্বীকার করেছেন জাতীয় পার্টির টঙ্গী থানার সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন শিকদার। তিনি জানান, ৪৭ ও ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের দুজন কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ও একজন মহিলা কাউন্সিলর পদপ্রার্থী বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নেমেছেন। একইভাবে আরও কয়েকজন কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মান্নানের পক্ষে কাজ করছেন। জেলার নেতাদের নির্দেশে তাঁরা বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন বলে জানান। জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলার সভাপতি কাজী মাহমুদ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা কাউকে আনুষ্ঠানিক সমর্থন দিচ্ছি না। তবে আমাদের অনেক নেতা-কর্মী বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় নেমেছেন। আমরা তাঁদের না করছি না।’ ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘গত সাড়ে চার বছরে আমরা কিছুই পাইনি। বরং পদে পদে আমাদের অপমান করা হয়েছে। এরশাদ সাহেবকে বিভিন্ন মামলায় জড়ানো হচ্ছে। এসব কারণে নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ। এরশাদ সাহেব যদি মহাজোট না-ও ছাড়েন, আমি অন্তত মহাজোটে থাকব না।’ বিএনপির প্রার্থী এম এ মান্নানকে সমর্থন দিচ্ছেন কি না, জানতে চাইলে মাহমুদ হাসান বলেন, হজের টাকা মেরে দেওয়া, মার্কেটের দখলসহ নানা বিষয়ে তাঁর দুর্নীতির কথা মানুষ জানে। আর পদ্মা সেতু, হল-মার্ক কেলেঙ্কারি, শেয়ারবাজারসহ নানা ব্যর্থতার কারণে মানুষ আওয়ামী লীগের ওপর ক্ষুব্ধ। চার সিটি নির্বাচনের ফলে অনেক কিছুই স্পষ্ট হয়েছে। তাই কোনো প্রার্থীর পক্ষেই তিনি প্রচারণায় নামছেন না। গাজীপুরের বিএনপির নেতারা জানিয়েছেন, জাহাঙ্গীরকে নিয়ে নাটকের কারণে আওয়ামী লীগের অবস্থা এখানে ভালো নয়। এ অবস্থায় জাতীয় পার্টির অনেক নেতা-কর্মী তাঁদের সঙ্গে যোগ দেওয়ায় বিএনপির অবস্থান আগের চেয়ে ভালো হয়েছে।
তবে আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, গাজীপুরে জাতীয় পার্টির মূল নেতা কাজী মাহমুদ হাসান। তাঁকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নামাতে কেন্দ্রীয় নেতারা যোগাযোগ করছেন। ইতিমধ্যে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং মান্নানের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক হাসানউদ্দিন সরকার প্রথম আলোকে বলেন, গাজীপুরে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পর তাঁর সব নেতা-কর্মী বিএনপির পক্ষে মাঠে নেমেছেন। বিএনপির এই দাবিকে ভিত্তিহীন বলেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আজমত উল্লার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমম্বয়ক সাংসদ আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, ‘মহাজোটের শরিক হিসেবে জাতীয় পার্টি আমাদের সঙ্গে আছে। মাহমুদ হাসানের বাসায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তিনি আমাদের পক্ষে মাঠে নামবেন।’
জাতীয় পার্টির প্রার্থী কাজী মাহমুদ হাসান মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচন থেকে সরে গেছেন। এ কারণে জাতীয় পার্টির অনেক কাউন্সিলর পদপ্রার্থী এম এ মান্নানের পক্ষে প্রকাশ্যে মাঠে নেমেছেন। বিষয়টি স্বীকার করেছেন জাতীয় পার্টির টঙ্গী থানার সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন শিকদার। তিনি জানান, ৪৭ ও ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের দুজন কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ও একজন মহিলা কাউন্সিলর পদপ্রার্থী বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নেমেছেন। একইভাবে আরও কয়েকজন কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মান্নানের পক্ষে কাজ করছেন। জেলার নেতাদের নির্দেশে তাঁরা বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন বলে জানান। জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলার সভাপতি কাজী মাহমুদ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা কাউকে আনুষ্ঠানিক সমর্থন দিচ্ছি না। তবে আমাদের অনেক নেতা-কর্মী বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় নেমেছেন। আমরা তাঁদের না করছি না।’ ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘গত সাড়ে চার বছরে আমরা কিছুই পাইনি। বরং পদে পদে আমাদের অপমান করা হয়েছে। এরশাদ সাহেবকে বিভিন্ন মামলায় জড়ানো হচ্ছে। এসব কারণে নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ। এরশাদ সাহেব যদি মহাজোট না-ও ছাড়েন, আমি অন্তত মহাজোটে থাকব না।’ বিএনপির প্রার্থী এম এ মান্নানকে সমর্থন দিচ্ছেন কি না, জানতে চাইলে মাহমুদ হাসান বলেন, হজের টাকা মেরে দেওয়া, মার্কেটের দখলসহ নানা বিষয়ে তাঁর দুর্নীতির কথা মানুষ জানে। আর পদ্মা সেতু, হল-মার্ক কেলেঙ্কারি, শেয়ারবাজারসহ নানা ব্যর্থতার কারণে মানুষ আওয়ামী লীগের ওপর ক্ষুব্ধ। চার সিটি নির্বাচনের ফলে অনেক কিছুই স্পষ্ট হয়েছে। তাই কোনো প্রার্থীর পক্ষেই তিনি প্রচারণায় নামছেন না। গাজীপুরের বিএনপির নেতারা জানিয়েছেন, জাহাঙ্গীরকে নিয়ে নাটকের কারণে আওয়ামী লীগের অবস্থা এখানে ভালো নয়। এ অবস্থায় জাতীয় পার্টির অনেক নেতা-কর্মী তাঁদের সঙ্গে যোগ দেওয়ায় বিএনপির অবস্থান আগের চেয়ে ভালো হয়েছে।
তবে আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, গাজীপুরে জাতীয় পার্টির মূল নেতা কাজী মাহমুদ হাসান। তাঁকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নামাতে কেন্দ্রীয় নেতারা যোগাযোগ করছেন। ইতিমধ্যে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং মান্নানের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক হাসানউদ্দিন সরকার প্রথম আলোকে বলেন, গাজীপুরে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পর তাঁর সব নেতা-কর্মী বিএনপির পক্ষে মাঠে নেমেছেন। বিএনপির এই দাবিকে ভিত্তিহীন বলেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আজমত উল্লার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমম্বয়ক সাংসদ আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, ‘মহাজোটের শরিক হিসেবে জাতীয় পার্টি আমাদের সঙ্গে আছে। মাহমুদ হাসানের বাসায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তিনি আমাদের পক্ষে মাঠে নামবেন।’
No comments