গাজীপুর সিটি নির্বাচন-শ্রমিকদের হাতেই প্রার্থীদের ভাগ্য by শরীফ আহমেদ শামীম
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ‘স্থানীয়
নাগরিক সমস্যা ও উন্নয়ন’ ইস্যুটিই মেয়র পদপ্রার্থীদের জয়-পরাজয় নির্ধারণে
বেশি ভূমিকা রাখবে। আর শিল্পনগরীর শ্রমিক, বিশেষ করে গার্মেন্ট শ্রমিকদের
বসবাস ও যাতায়াতের ভালো-মন্দের বিষয়টিই নির্বাচনে সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর হয়ে
দাঁড়িয়েছে।
এলাকার ভোটার, সাধারণ মানুষ এবং নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে এ রকম তথ্যই পাওয়া গেছে।
৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর খাইলকুরের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘এলাকার গুরুত্বপূর্ণ বটতলা সড়কটি পাঁচ বছর ধরে ভাঙা অবস্থায় আছে। কোথাও কোথাও বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। বাসাবাড়ির নোংরা পানি সড়কে গড়িয়ে পড়ছে। এই সড়ক দিয়ে দিনরাত লাখ লাখ গার্মেন্ট শ্রমিক কর্মস্থলে যাতায়াত করে। দুই কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের দুই পাশে কয়েক শ দোকান, তিনটি সরকারি প্রাইমারি স্কুল ও একটি হাই স্কুল আছে। পাঁচ গুণ টাকা দিলেও রিকশাওয়ালা যাত্রী নিয়ে যেতে চায় না। ১০ মিনিট বৃষ্টি হলে সড়কটি দুই ঘণ্টা পানিতে তলিয়ে থাকে। তখন আমাদের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। পথচারীদের নোংরা হাঁটুপানি ভেঙে যাতায়াত করতে হয়।’ তিনি আরো বলেন, “ভোট চাইতে এলে রাস্তার দুরবস্থার কথা প্রার্থীদের বলেছি। তাঁরাও দেখে নানা আশ্বাস দিয়ে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা করছেন। আমরা ‘সড়কের চিত্র ও দুর্ভোগ’ মনে রেখেই ভোট দেব।”
কুনিয়ার এলিট ফ্যাশনের শ্রমিক হাজেরা বেগম, সখিনা বিবি, বিলকিছ আক্তার তাঁদের পা দেখিয়ে বলেন, দুই বেলা সড়কের নোংরা পানি মাড়িয়ে যাতায়াত করায় পায়ে চর্মরোগ দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি নামলেই মনে দুশ্চিন্তা ভর করে। কারণ ভারি বৃষ্টি হলে কয়েক মিনিটে ঘরে পানি ঢুকে পড়ে। বিছানাপত্র ভিজে নষ্ট হয়। জলাবদ্ধতার জন্য ঘর স্যাঁতসেঁতে হয়ে থাকে। এলাকার নেতাদের বহুবার সমস্যার কথা বলেছি। কেউ কিছু করেননি। তাঁরা বলেন, ‘দল-টল বুঝি না, এসব সমস্যা সমাধানের লক্ষণ যে প্রার্থীর মধ্যে দেখব, আমরা তাঁকেই ভোট দেব।’
টঙ্গীর সাতাইশ এলাকার ভোটার ও স্থানীয় একটি সোয়েটার কারখানার শ্রমিক ওসমান আলী, আলী হোসেন, মজিবুল হক এবং জয়দেবপুরের দীঘির চালা এলাকার ভোটার নয়ন, আশরাফুল ও বিলকিছ বলেন, ‘এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বলতে কিছু নেই। নেশার টাকার জন্য সন্ধ্যার পর বখাটে ছেলেরা রাস্তায় ছুরি-চাকু হাতে নিয়ে ছিনতাই করে। শ্রমিকদের মারধর করে টাকা, মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়। প্রায়ই মেয়েদের তুলে নিয়ে নির্যাতন করে। ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারে না। আবার কোনো সময় বেতন পেয়ে সন্ত্রাসীদের নিয়মিত চাঁদা দিতে হয়। নির্যাতনের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারি না। যিনি মেয়র হবেন তিনি এসব দূর করতে পারবেন কি না, ভেবেই আমরা ভোট দিতে যাব।’
‘গার্মেন্ট শ্রমিকদের ভোট যেদিকে যাইব, বিজয় হেই প্রার্থীর অইব’- কথাটি গাজীপুরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের চান্দনার রওশন সড়কের মুদি দোকানি ইয়াকুব আলীর। তিনি বলেন, চান্দনা এলাকায় কয়েক লাখ শ্রমিক বাস করে। চার বছর ভাঙাচোরা অবস্থায় থাকার পর গত বছর রওশন সড়কটি মেরামত করা হয়। ড্রেন না থাকায় ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার বাড়িঘরের ব্যবহৃত পানি সড়কে জমে তিন মাসেই সড়কটি নষ্ট হয়ে যায়। বৃষ্টি হলে সড়কে হাঁটুপানি থাকে। তখন পয়োনিষ্কাশন লাইনের ও বৃষ্টির পানি মিশে দুর্গন্ধে টেকা কঠিন হয়ে পড়ে। এ বছর দীর্ঘ জলাবদ্ধতায় মানুষের ঘরেও পানি উঠে পড়ে। মহল্লার বাসিন্দারা চাঁদা তুলে পাইপ বসিয়ে পানি সরিয়ে এবং বালি ফেলে গর্ত ভরাট করেছে। শ্রমিকরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এসে গাজীপুর এলাকায় জমি কিনে বাসাবাড়ি করেছে। আবার কেউ ভাড়া থাকছে। কিন্তু রাস্তা, ড্রেন পয়োলাইন ও জলবদ্ধতার দুর্ভোগ তাদের জীবন বিষিয়ে তুলেছে। ভোট উপলক্ষে তারা প্রকাশ্যেই বলছে, যেসব জনপ্রতিনিধি এসব দেখেও সমাধান করেননি, তাঁরা ভোট পাবেন না।
ইয়াকুব আলীর এ হিসাব সব মহলেই গুরুত্বের সঙ্গে আলোচিত হচ্ছে। জানা গেছে, নগরের ৫৭টির মধ্যে ৩০টি ওয়ার্ডে ছোট-বড় গার্মেন্টসহ নানা ধরেনের তিন হাজারের ওপর শিল্প-কারখানা রয়েছে। টঙ্গী, গাছা, বাসন, কোনাবাড়ী ও কাশিমপুরে কলকারখানার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ওই সব এলাকায় লাখ লাখ শ্রমিক বাস করে, যাদের প্রায় তিন লাখই ভোটার। শ্রমিক অধ্যুষিত হওয়ার কারণে এলাকায় যত্রতত্র গড়ে উঠেছে বাসাবাড়ি, বাজার, স্কুল ও মার্কেট, যার প্রায় সবই অপরিকল্পিত। এলাকায় ড্রেন, রাস্তা, পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা ও জলবদ্ধতার সমস্যা প্রকট। কোনো কোনো এলাকার রাস্তা সারা বছর পানিতে তলিয়ে থাকে। রাস্তা বা উম্মুক্ত স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে ময়লা-আবর্জনা। সামান্য বৃষ্টি হলে বহু এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে এমনকি ঘরের ভেতর পানি উঠে যায়। নির্বাচনে এসব সমস্যা ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভোটাররা এবার এসব সমস্যাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাই এখানকার শ্রমিক ভোটাররাও পাল্টে দিতে পারেন ভোটের হিসাব-নিকাশ।
গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন সবুজ বলেন, ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশনটি নতুন। এর বেশির ভাগ এলাকা আগে ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় ছিল। ব্যাপক উন্নয়নের জন্যই আমাদের সরকার এটিকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করেছে। তাই আমাদের প্রার্থী উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করবেন।’
১৮ দলীয় জোট সমর্থিত প্রার্থী অধ্যাপক মান্নানের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী সাবেক এমপি হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, আয়তনে দেশের সবচেয়ে ছোট পৌরসভা টঙ্গীর রাস্তাঘাট, ড্রেনের দিকে তাকালেই বোঝা যায়, আজমত উল্লা গাজীপুর সিটির কী উন্নয়ন করবেন। অধ্যাপক মান্নান ১৯৯১-৯৬ সালে প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে যেসব উন্নয়ন করেছেন, আওয়ামী লীগ এখনো এর ধারেকাছেও যেতে পারেনি। তাই ভোটাররা মান্নানকেই ভোট দেবেন।
৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর খাইলকুরের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘এলাকার গুরুত্বপূর্ণ বটতলা সড়কটি পাঁচ বছর ধরে ভাঙা অবস্থায় আছে। কোথাও কোথাও বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। বাসাবাড়ির নোংরা পানি সড়কে গড়িয়ে পড়ছে। এই সড়ক দিয়ে দিনরাত লাখ লাখ গার্মেন্ট শ্রমিক কর্মস্থলে যাতায়াত করে। দুই কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের দুই পাশে কয়েক শ দোকান, তিনটি সরকারি প্রাইমারি স্কুল ও একটি হাই স্কুল আছে। পাঁচ গুণ টাকা দিলেও রিকশাওয়ালা যাত্রী নিয়ে যেতে চায় না। ১০ মিনিট বৃষ্টি হলে সড়কটি দুই ঘণ্টা পানিতে তলিয়ে থাকে। তখন আমাদের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। পথচারীদের নোংরা হাঁটুপানি ভেঙে যাতায়াত করতে হয়।’ তিনি আরো বলেন, “ভোট চাইতে এলে রাস্তার দুরবস্থার কথা প্রার্থীদের বলেছি। তাঁরাও দেখে নানা আশ্বাস দিয়ে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা করছেন। আমরা ‘সড়কের চিত্র ও দুর্ভোগ’ মনে রেখেই ভোট দেব।”
কুনিয়ার এলিট ফ্যাশনের শ্রমিক হাজেরা বেগম, সখিনা বিবি, বিলকিছ আক্তার তাঁদের পা দেখিয়ে বলেন, দুই বেলা সড়কের নোংরা পানি মাড়িয়ে যাতায়াত করায় পায়ে চর্মরোগ দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি নামলেই মনে দুশ্চিন্তা ভর করে। কারণ ভারি বৃষ্টি হলে কয়েক মিনিটে ঘরে পানি ঢুকে পড়ে। বিছানাপত্র ভিজে নষ্ট হয়। জলাবদ্ধতার জন্য ঘর স্যাঁতসেঁতে হয়ে থাকে। এলাকার নেতাদের বহুবার সমস্যার কথা বলেছি। কেউ কিছু করেননি। তাঁরা বলেন, ‘দল-টল বুঝি না, এসব সমস্যা সমাধানের লক্ষণ যে প্রার্থীর মধ্যে দেখব, আমরা তাঁকেই ভোট দেব।’
টঙ্গীর সাতাইশ এলাকার ভোটার ও স্থানীয় একটি সোয়েটার কারখানার শ্রমিক ওসমান আলী, আলী হোসেন, মজিবুল হক এবং জয়দেবপুরের দীঘির চালা এলাকার ভোটার নয়ন, আশরাফুল ও বিলকিছ বলেন, ‘এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বলতে কিছু নেই। নেশার টাকার জন্য সন্ধ্যার পর বখাটে ছেলেরা রাস্তায় ছুরি-চাকু হাতে নিয়ে ছিনতাই করে। শ্রমিকদের মারধর করে টাকা, মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়। প্রায়ই মেয়েদের তুলে নিয়ে নির্যাতন করে। ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারে না। আবার কোনো সময় বেতন পেয়ে সন্ত্রাসীদের নিয়মিত চাঁদা দিতে হয়। নির্যাতনের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারি না। যিনি মেয়র হবেন তিনি এসব দূর করতে পারবেন কি না, ভেবেই আমরা ভোট দিতে যাব।’
‘গার্মেন্ট শ্রমিকদের ভোট যেদিকে যাইব, বিজয় হেই প্রার্থীর অইব’- কথাটি গাজীপুরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের চান্দনার রওশন সড়কের মুদি দোকানি ইয়াকুব আলীর। তিনি বলেন, চান্দনা এলাকায় কয়েক লাখ শ্রমিক বাস করে। চার বছর ভাঙাচোরা অবস্থায় থাকার পর গত বছর রওশন সড়কটি মেরামত করা হয়। ড্রেন না থাকায় ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার বাড়িঘরের ব্যবহৃত পানি সড়কে জমে তিন মাসেই সড়কটি নষ্ট হয়ে যায়। বৃষ্টি হলে সড়কে হাঁটুপানি থাকে। তখন পয়োনিষ্কাশন লাইনের ও বৃষ্টির পানি মিশে দুর্গন্ধে টেকা কঠিন হয়ে পড়ে। এ বছর দীর্ঘ জলাবদ্ধতায় মানুষের ঘরেও পানি উঠে পড়ে। মহল্লার বাসিন্দারা চাঁদা তুলে পাইপ বসিয়ে পানি সরিয়ে এবং বালি ফেলে গর্ত ভরাট করেছে। শ্রমিকরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এসে গাজীপুর এলাকায় জমি কিনে বাসাবাড়ি করেছে। আবার কেউ ভাড়া থাকছে। কিন্তু রাস্তা, ড্রেন পয়োলাইন ও জলবদ্ধতার দুর্ভোগ তাদের জীবন বিষিয়ে তুলেছে। ভোট উপলক্ষে তারা প্রকাশ্যেই বলছে, যেসব জনপ্রতিনিধি এসব দেখেও সমাধান করেননি, তাঁরা ভোট পাবেন না।
ইয়াকুব আলীর এ হিসাব সব মহলেই গুরুত্বের সঙ্গে আলোচিত হচ্ছে। জানা গেছে, নগরের ৫৭টির মধ্যে ৩০টি ওয়ার্ডে ছোট-বড় গার্মেন্টসহ নানা ধরেনের তিন হাজারের ওপর শিল্প-কারখানা রয়েছে। টঙ্গী, গাছা, বাসন, কোনাবাড়ী ও কাশিমপুরে কলকারখানার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ওই সব এলাকায় লাখ লাখ শ্রমিক বাস করে, যাদের প্রায় তিন লাখই ভোটার। শ্রমিক অধ্যুষিত হওয়ার কারণে এলাকায় যত্রতত্র গড়ে উঠেছে বাসাবাড়ি, বাজার, স্কুল ও মার্কেট, যার প্রায় সবই অপরিকল্পিত। এলাকায় ড্রেন, রাস্তা, পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা ও জলবদ্ধতার সমস্যা প্রকট। কোনো কোনো এলাকার রাস্তা সারা বছর পানিতে তলিয়ে থাকে। রাস্তা বা উম্মুক্ত স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে ময়লা-আবর্জনা। সামান্য বৃষ্টি হলে বহু এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে এমনকি ঘরের ভেতর পানি উঠে যায়। নির্বাচনে এসব সমস্যা ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভোটাররা এবার এসব সমস্যাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাই এখানকার শ্রমিক ভোটাররাও পাল্টে দিতে পারেন ভোটের হিসাব-নিকাশ।
গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন সবুজ বলেন, ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশনটি নতুন। এর বেশির ভাগ এলাকা আগে ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় ছিল। ব্যাপক উন্নয়নের জন্যই আমাদের সরকার এটিকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করেছে। তাই আমাদের প্রার্থী উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করবেন।’
১৮ দলীয় জোট সমর্থিত প্রার্থী অধ্যাপক মান্নানের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী সাবেক এমপি হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, আয়তনে দেশের সবচেয়ে ছোট পৌরসভা টঙ্গীর রাস্তাঘাট, ড্রেনের দিকে তাকালেই বোঝা যায়, আজমত উল্লা গাজীপুর সিটির কী উন্নয়ন করবেন। অধ্যাপক মান্নান ১৯৯১-৯৬ সালে প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে যেসব উন্নয়ন করেছেন, আওয়ামী লীগ এখনো এর ধারেকাছেও যেতে পারেনি। তাই ভোটাররা মান্নানকেই ভোট দেবেন।
No comments