যুদ্ধপরাধীর বিচার ॥ নির্বাচনের আগেই রায় বাস্তবায়ন না হলে হিতে বিপরীত হবে- আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের উদ্দেশে নির্মূল কমিটি
আগামী নির্বাচনের আগে যুদ্ধাপরাধীদের রায়
বাস্তবায়ন না হলে তা আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের জন্য হিতে বিপরীত হয়ে দেখা দেবে।
সামনে নির্বাচনে বিজয়ী হলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ শেষ করবে এমন মুলো
দেখিয়ে নির্বাচনে জেতা যাবে না।
জাতীয় নির্বাচনের আগে
যুদ্ধাপরাধীদের রায় কার্যকর না হলে এর দায়ভার রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান,
আইনমন্ত্রী ও বিচার বিভাগকেই নিতে হবে। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি
আয়োজিত শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। শহীদ জননীর ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ
অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নির্মূল কমিটি ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন জাহানারা
ইমামের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করে।
নির্মূল কমিটির উপদেষ্টাম-লীর সদস্য অধ্যাপক বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ‘পাকিস্তানের সাংবিধানিক সঙ্কট ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়’ শিরোনামে স্মারক বক্তৃতা ২০১৩ উপস্থাপন করেন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক। বক্তৃতায় তিনি পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ঘটনাপ্রবাহ তাৎপর্যসহ তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে প্রতিবছরের মতো এবারও জাহানারা ইমাম স্মৃতিপদক প্রদান করা হয়। ব্যক্তি হিসেবে এ বছর পদক পান এবিএম খায়রুল হক, ব্যরিস্টার আমীর-উল ইসলাম। এছাড়া সংগঠন হিসেবে গণজাগরণ মঞ্চকে এ স্মৃতিপদক প্রদান করা হয়। জাহানারা ইমামের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সূচনা বক্তব্যে নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির বলেন, জামায়াত যদি কোন সময় ক্ষমতায় আসে তবে বাঙালীর বাঙালিত্ব থাকবে না। যদি বর্তমান সরকারের মেয়াদে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ শেষ না হয় তবে তাদের সে মনোবাসনা পূরণ হয়েও যেতে পারে। কেননা এ সরকারের ওপর তাহলে মানুষের আস্থা থাকবে না।
আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের দন্ড কার্যকর করার বিষয়ে অনেক কথা শোনা যাচ্ছে। এমনও শোনা যাচ্ছে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে এ কাজ সম্পন্ন হবে না। কিন্তু এমনটি হলে সরকারের জন্য হিতে বিপরীত হবে। যদি পরবর্তী নির্বাচনের আশায় এ কাজ অসমাপ্ত রয়ে যায় তবে তরুণ প্রজন্মের ভোট, নারীদের ভোট আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের অনেক ভোট মহাজোট হারাবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যদি ভেবে থাকে এ বিষয়টি নিয়ে তারা লাভবান হবে তবে তারা ভুল করবে। যুদ্ধাপরাধীদের প্রধান চরিত্র গোলাম আযমের মামলার রায় এখনও হয়নি। ট্রাইব্যুনাল ২ যেভাবে রায় দিয়ে যাচ্ছে ট্রাইব্যুনাল ১ তা পারছে না। এ বিচার দ্রুত শেষ করতে হবে। কোন ধরনের সমঝোতার চেষ্টা করা হলেও তা সহ্য করা হবে না।
কমিটির সহ-সভাপতি শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী বলেন, সম্প্রতি হয়ে যাওয়া সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন একটি অশনিসঙ্কেত দিয়ে গেছে। বিএনপি-জামায়াত যদি ক্ষমতায় আসে তবে তারা চেঙ্গিস খান-হিটলার-মুসোলিনীর অত্যাচারও হার মেনে যাবে। আমাদের সামনে এখন তিনটি স্বপ্ন। ৭২-এর সংবিধানে ফিরে যাওয়া, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়া আর রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ গড়া। সামনের নির্বাচনী কৌশল সম্পর্কে ভাবনার বাইরে সরকারের আর কিছু থাকতে পারে না। এ জন্যই জাতীয় নির্বাচনের আগে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ শেষ করতে হবে।
ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামের পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন তার মেয়ে ব্যরিস্টার তানিয়া আমীর। তিনি বলেন, জামায়াত একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে কখনই থাকতে পারে না। কেননা তারা জনগণের শাসন মানে না। তারা বিশ্বাস করে তাদের ক্ষমতায় যাওয়া ঐশ্বরিক বিধান। এছাড়াও অন্যান্য অনেক কারণে তারা বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার রাখে না। এ সম্পর্কে একটি মামলা চলমান। আশা করি শীঘ্রই উচ্চ আদালত এ বিষয়ে রায় দেবেন।
গণজাগরণ মঞ্চের প্রধান সমন্বয়ক ইমরান এইচ সরকার বলেন, আমাদের আক্ষেপ একটাই- যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথা বলে, যারা এজন্য কাজ করে তাদের শহীদ জননী জাহানারা ইমামের মতো রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার খ—গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করতে হয়।
নির্মূল কমিটির উপদেষ্টাম-লীর সদস্য অধ্যাপক বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ‘পাকিস্তানের সাংবিধানিক সঙ্কট ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়’ শিরোনামে স্মারক বক্তৃতা ২০১৩ উপস্থাপন করেন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক। বক্তৃতায় তিনি পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ঘটনাপ্রবাহ তাৎপর্যসহ তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে প্রতিবছরের মতো এবারও জাহানারা ইমাম স্মৃতিপদক প্রদান করা হয়। ব্যক্তি হিসেবে এ বছর পদক পান এবিএম খায়রুল হক, ব্যরিস্টার আমীর-উল ইসলাম। এছাড়া সংগঠন হিসেবে গণজাগরণ মঞ্চকে এ স্মৃতিপদক প্রদান করা হয়। জাহানারা ইমামের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সূচনা বক্তব্যে নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির বলেন, জামায়াত যদি কোন সময় ক্ষমতায় আসে তবে বাঙালীর বাঙালিত্ব থাকবে না। যদি বর্তমান সরকারের মেয়াদে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ শেষ না হয় তবে তাদের সে মনোবাসনা পূরণ হয়েও যেতে পারে। কেননা এ সরকারের ওপর তাহলে মানুষের আস্থা থাকবে না।
আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের দন্ড কার্যকর করার বিষয়ে অনেক কথা শোনা যাচ্ছে। এমনও শোনা যাচ্ছে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে এ কাজ সম্পন্ন হবে না। কিন্তু এমনটি হলে সরকারের জন্য হিতে বিপরীত হবে। যদি পরবর্তী নির্বাচনের আশায় এ কাজ অসমাপ্ত রয়ে যায় তবে তরুণ প্রজন্মের ভোট, নারীদের ভোট আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের অনেক ভোট মহাজোট হারাবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যদি ভেবে থাকে এ বিষয়টি নিয়ে তারা লাভবান হবে তবে তারা ভুল করবে। যুদ্ধাপরাধীদের প্রধান চরিত্র গোলাম আযমের মামলার রায় এখনও হয়নি। ট্রাইব্যুনাল ২ যেভাবে রায় দিয়ে যাচ্ছে ট্রাইব্যুনাল ১ তা পারছে না। এ বিচার দ্রুত শেষ করতে হবে। কোন ধরনের সমঝোতার চেষ্টা করা হলেও তা সহ্য করা হবে না।
কমিটির সহ-সভাপতি শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী বলেন, সম্প্রতি হয়ে যাওয়া সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন একটি অশনিসঙ্কেত দিয়ে গেছে। বিএনপি-জামায়াত যদি ক্ষমতায় আসে তবে তারা চেঙ্গিস খান-হিটলার-মুসোলিনীর অত্যাচারও হার মেনে যাবে। আমাদের সামনে এখন তিনটি স্বপ্ন। ৭২-এর সংবিধানে ফিরে যাওয়া, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়া আর রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ গড়া। সামনের নির্বাচনী কৌশল সম্পর্কে ভাবনার বাইরে সরকারের আর কিছু থাকতে পারে না। এ জন্যই জাতীয় নির্বাচনের আগে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ শেষ করতে হবে।
ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামের পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন তার মেয়ে ব্যরিস্টার তানিয়া আমীর। তিনি বলেন, জামায়াত একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে কখনই থাকতে পারে না। কেননা তারা জনগণের শাসন মানে না। তারা বিশ্বাস করে তাদের ক্ষমতায় যাওয়া ঐশ্বরিক বিধান। এছাড়াও অন্যান্য অনেক কারণে তারা বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার রাখে না। এ সম্পর্কে একটি মামলা চলমান। আশা করি শীঘ্রই উচ্চ আদালত এ বিষয়ে রায় দেবেন।
গণজাগরণ মঞ্চের প্রধান সমন্বয়ক ইমরান এইচ সরকার বলেন, আমাদের আক্ষেপ একটাই- যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথা বলে, যারা এজন্য কাজ করে তাদের শহীদ জননী জাহানারা ইমামের মতো রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার খ—গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করতে হয়।
No comments