অন্য রকম ফল উৎসব by শিহাব জিশান
বিকেল থেকেই শিশুদের কোলাহল। কেউ ব্যস্ত
নিজেদের মধ্যে খুনসুটিতে, কেউ খেলায়। মহা আনন্দে কাটছে তাদের সময়। অবশেষে
ডাক পড়ল ফল খাওয়ার। সারিবদ্ধভাবে বসে সবাই মেতে ওঠে ফল উৎসবে।
২১
জুন পূর্ব নাসিরাবাদ এ জলিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম আলো
চট্টগ্রাম বন্ধুসভার বন্ধুরা আয়োজন করে ব্যতিক্রমী এই উৎসবের। এতে অংশ নেয়
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিদ্যালয় চারুলতা, এডু আলো ও ইরা-এর শিক্ষার্থীরা।
এই উৎসব শুরু হয় শিশুদের আনন্দ আড্ডার মাধ্যমে। প্রথমে পরিচয় পর্ব। এরপর বন্ধুসভার বন্ধুদের সঙ্গে নাচে-গানে মেতে ওঠে শিশুরা। শিশুরা একে একে গান ও ছড়া পাঠ করে শোনায় আনন্দ আড্ডায়। পাশাপাশি তাদের ভিন্নধর্মী নাচ আনন্দ দেয় সবাইকে। আর অন্যদিকে ফল কাটাকুটিতে ব্যস্ত বন্ধুরা। ধীরে ধীরে সময় বয়ে যায়। শেষ হয় ফল কাটার আয়োজন এবং আনন্দ আড্ডা।
শিশুদের মধ্যে ফল বিতরণের আগে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রথম আলোর সহকারী বার্তা সম্পাদক ওমর কায়সার ও চট্টগ্রাম বন্ধুসভার সভাপতি সঞ্জয় বিশ্বাস। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বন্ধুসভার সহসভাপতি জয়শ্রী দাশ ও পূর্ব নাসিরাবাদ এ জলিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রীনা শওকত। ওমর কায়সার বলেন, ‘ফল খেলে বল বাড়ে। তাই তোমাদের বেশি বেশি ফল খাওয়া উচিত।’ তাঁর সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে শিশুরাও সমস্বরে বলে ওঠে ‘ফল খেলে বল বাড়ে, তাই আমরা ফল খাব।’ এরপর শুরু হয় ফল বিতরণ কার্যক্রম। প্লেটে করে শিশুদের মধ্যে দেওয়া হয় আম, জাম, কাঁঠাল, জামরুল, পেয়ারা ও আনারস। বিতরণে অংশ নেন বন্ধু ফাহিম উদ্দিন, নুসরাত জাহান, মিজান খান, কামরুল হাসান, সুইটি আক্তার, হোসেন সাঈদ, মিজান বোখারী, মাহিনুর আক্তার ও কামাল উদ্দিন। এরপর বন্ধুরাও প্লেট হাতে যোগ দেন শিশুদের সঙ্গে।
নগরের বায়েজিদের এডু আলো বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আকলিমা আক্তার প্লেট হাতে নিয়ে হাসছিল। কিছু ফল খাওয়ার পর বাকি ফলগুলো সে ঝটপট পলিথিনে নিয়ে নিল। জিজ্ঞেস করতেই জানাল, বছরের প্রথম মৌসুমি ফল খাওয়ার আনন্দ থেকে মাকে বঞ্চিত করতে চায় না। তাই একা না খেয়ে নিয়ে যাচ্ছে মায়ের জন্য। ইরা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শাকিল তাড়াতাড়ি খেয়ে শেষ করল ফল। এরপর বলে উঠল, ‘ভাইজান, নাইচ্চা (নেচে) ক্লান্ত আছিলাম তাই তাড়াতাড়ি খাইছি।’ চারুলতা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মামুনের মন ভালো হয়ে গেল ফল খাওয়ার পর। এভাবেই হাসি-আনন্দে শিশুদের সঙ্গে কেটে গেল একটি বিকেল। সব শেষে শিশুরা সবাই মিলে গলা ফাটিয়ে বলল ‘ধন্যবাদ’। এই ফলাহার উৎসবের সমন্বয়কারী ছিলেন মোহাম্মদ রুবেল, রাহাত আলী ও হাবিব খান।
এই উৎসব শুরু হয় শিশুদের আনন্দ আড্ডার মাধ্যমে। প্রথমে পরিচয় পর্ব। এরপর বন্ধুসভার বন্ধুদের সঙ্গে নাচে-গানে মেতে ওঠে শিশুরা। শিশুরা একে একে গান ও ছড়া পাঠ করে শোনায় আনন্দ আড্ডায়। পাশাপাশি তাদের ভিন্নধর্মী নাচ আনন্দ দেয় সবাইকে। আর অন্যদিকে ফল কাটাকুটিতে ব্যস্ত বন্ধুরা। ধীরে ধীরে সময় বয়ে যায়। শেষ হয় ফল কাটার আয়োজন এবং আনন্দ আড্ডা।
শিশুদের মধ্যে ফল বিতরণের আগে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রথম আলোর সহকারী বার্তা সম্পাদক ওমর কায়সার ও চট্টগ্রাম বন্ধুসভার সভাপতি সঞ্জয় বিশ্বাস। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বন্ধুসভার সহসভাপতি জয়শ্রী দাশ ও পূর্ব নাসিরাবাদ এ জলিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রীনা শওকত। ওমর কায়সার বলেন, ‘ফল খেলে বল বাড়ে। তাই তোমাদের বেশি বেশি ফল খাওয়া উচিত।’ তাঁর সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে শিশুরাও সমস্বরে বলে ওঠে ‘ফল খেলে বল বাড়ে, তাই আমরা ফল খাব।’ এরপর শুরু হয় ফল বিতরণ কার্যক্রম। প্লেটে করে শিশুদের মধ্যে দেওয়া হয় আম, জাম, কাঁঠাল, জামরুল, পেয়ারা ও আনারস। বিতরণে অংশ নেন বন্ধু ফাহিম উদ্দিন, নুসরাত জাহান, মিজান খান, কামরুল হাসান, সুইটি আক্তার, হোসেন সাঈদ, মিজান বোখারী, মাহিনুর আক্তার ও কামাল উদ্দিন। এরপর বন্ধুরাও প্লেট হাতে যোগ দেন শিশুদের সঙ্গে।
নগরের বায়েজিদের এডু আলো বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আকলিমা আক্তার প্লেট হাতে নিয়ে হাসছিল। কিছু ফল খাওয়ার পর বাকি ফলগুলো সে ঝটপট পলিথিনে নিয়ে নিল। জিজ্ঞেস করতেই জানাল, বছরের প্রথম মৌসুমি ফল খাওয়ার আনন্দ থেকে মাকে বঞ্চিত করতে চায় না। তাই একা না খেয়ে নিয়ে যাচ্ছে মায়ের জন্য। ইরা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শাকিল তাড়াতাড়ি খেয়ে শেষ করল ফল। এরপর বলে উঠল, ‘ভাইজান, নাইচ্চা (নেচে) ক্লান্ত আছিলাম তাই তাড়াতাড়ি খাইছি।’ চারুলতা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মামুনের মন ভালো হয়ে গেল ফল খাওয়ার পর। এভাবেই হাসি-আনন্দে শিশুদের সঙ্গে কেটে গেল একটি বিকেল। সব শেষে শিশুরা সবাই মিলে গলা ফাটিয়ে বলল ‘ধন্যবাদ’। এই ফলাহার উৎসবের সমন্বয়কারী ছিলেন মোহাম্মদ রুবেল, রাহাত আলী ও হাবিব খান।
No comments