দেখতে সুন্দর, মূল খাদ্য ফল- গাছে গর্ত খুঁড়ে বাসা বানায় নীলগলা বসন্তবৌরি পাখির ছানা by শরীফ খান ও ইরফান জাহিদ শালুক
বসবাস যশোর শহরে। পেশায় ব্যাংকার। গত মে
মাসের দিকে ভদ্র মহিলা ফোন করে জানালেন ঝড়ে মোটা একখানা ডাল ভেঙ্গে পড়তে
পারে ভেবে তার বাসার কাছের একটি বয়সী রাজ শিরীষ গাছের সেই মোটা ডালখানা
কেটে ফেলা হয়।
ডালের কোটরে ছিল ৩টি সদ্য ফুল পালক গজানো
পাখির ছানা। তার ছেলে রিদুয়ান জুনাঈদুল ছানা তিনটিকে তুলে বাসায় নিয়ে
এসেছে। ভদ্র মহিলার প্রশ্ন কী খাওয়ালে ছানাগুলোকে বাঁচিয়ে রাখা যাবে, উড়তে
শিখলে পরে উড়িয়ে দেবেন তিনি। ছানাগুলো যে খুবই ক্ষুধার্ত, তা বুঝতে পারছেন
ভদ্র মহিলা। তার বুকের ভেতরে জমেছে অসীম মমতা অসহায় ছানা তিনটির জন্য। ভদ্র
মহিলার প্রশ্নের জবাব দিতে হলে অবশ্যই আমাকে জানতে হবে কোন্ পাখির ছানা
ওগুলো। অনেকটা সময় নিয়ে প্রশ্ন করে আমি নিশ্চিত হলাম বসন্তবৌরির ছানা
ওগুলো। কোন্ প্রজাতি, তা নিশ্চিত না হলেও আন্দাজ করে নিলাম এবং ভদ্র
মহিলাকে খাদ্য তালিকা দিলাম।
পাখিপ্রেমী ওই ভদ্র মহিলা ও তার ছেলে পরম যতেœ রেখেছিলেন ছানা তিনটিকে। একটি ছানা চোট পেয়ে বেশ কাহিল হয়ে পড়লেও দিব্বি ছিল সে। টানা ২৪ টা দিন তিনটি ছানাই সুস্থ ছিল, নিয়মিত খাবার খাচ্ছিল এবং যথানিযমে বেড়েও উঠছিল। ২৫তম রাতে তিনটি
ছানাই আকস্মিকভাবে মারা যায়। ভদ্র মহিলা ব্যথাতুর কণ্ঠে ফোন করে সংবাদটি আমাকে জানালে আমিও কষ্ট পাই খুব। আবারও কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি হই সুস্থ ছানাগুলো কেন এভাবে মারা গেল? জবাবটা আমার জন্য খুবই কঠিন। আসলে মরার তো কারণ ছিল না!
ভদ্র মহিলা বলে পাখির ছানাদের ছবি পাঠাতে। পাওয়ার প্রথম দিকে ও ২২/২৩ দিন বয়সে ছবি তুলেছিলেন তার ছেলে, ওরকম দুটি ইমেইলে পাঠালেন তিনি আমাকে। নীলগলা বসন্তবৌরির ছানা ওগুলো।
ঝড়ে ভেঙ্গেপড়া বৃক্ষ ও ডাল, কর্তিত বৃক্ষের কোটরে এরকম কত ছানাইনা থাকে, তিন প্রজাতির শালিক, তিন-চার প্রজাতির বসন্তবৌরি, কয়েক প্রজাতির কাঠঠোকরা, রামগাংরা, কোটরে পেঁচা, নীলকণ্ঠ টিয়াসহ অন্যান্য পাখির। কত রকম পাখিরই বাসা থাকে সরু ডালপালায়! পাখিদের বাসা বাঁধার মৌসুমেই আমাদের দেশে ঝড় বেশি হয় তখন গাছপালা ভেঙ্গে পড়ে, নষ্ট হয় পাখিদের ডিম-ছানা। বৃক্ষ কর্তনের আগে ও ঝড়ে গাছপালা ভেঙ্গে পড়ার পরে পাখিদের দিকটা ভেবে দেখা জরুরি।
নীলগলা বসন্তবৌরির ইংরেজি নাম ইষঁব ঃযৎড়ধঃবফ নধৎনবঃ. মাপ ২২ সেমি। বাগেরহাট অঞ্চলে এটি নীল আমতোতা নামে পরিচিত। সুন্দরবনের গভীরতম এলাকা ছাড়া ঢাকা শহরসহ এটিকে প্রায় সারা দেশেই দেখা যায়। খুব সুন্দর পাখি। মূল খাদ্য ফল। নিজেরাই গাছের গায়ে গর্ত খুঁড়ে বাসা বানায়, ছানাদের দেখতে খুব সুন্দর লাগে। ওই ভদ্র মহিলা হয়তবা সুন্দর এই ছানা তিনটির কথা মনে রাখবেন আজীবন। কেননা, সন্তান স্নেহে তিনি লালন করেছিলেন ছানা তিনটিকে। উড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন মুক্ত আকাশে।
পাখিপ্রেমী ওই ভদ্র মহিলা ও তার ছেলে পরম যতেœ রেখেছিলেন ছানা তিনটিকে। একটি ছানা চোট পেয়ে বেশ কাহিল হয়ে পড়লেও দিব্বি ছিল সে। টানা ২৪ টা দিন তিনটি ছানাই সুস্থ ছিল, নিয়মিত খাবার খাচ্ছিল এবং যথানিযমে বেড়েও উঠছিল। ২৫তম রাতে তিনটি
ছানাই আকস্মিকভাবে মারা যায়। ভদ্র মহিলা ব্যথাতুর কণ্ঠে ফোন করে সংবাদটি আমাকে জানালে আমিও কষ্ট পাই খুব। আবারও কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি হই সুস্থ ছানাগুলো কেন এভাবে মারা গেল? জবাবটা আমার জন্য খুবই কঠিন। আসলে মরার তো কারণ ছিল না!
ভদ্র মহিলা বলে পাখির ছানাদের ছবি পাঠাতে। পাওয়ার প্রথম দিকে ও ২২/২৩ দিন বয়সে ছবি তুলেছিলেন তার ছেলে, ওরকম দুটি ইমেইলে পাঠালেন তিনি আমাকে। নীলগলা বসন্তবৌরির ছানা ওগুলো।
ঝড়ে ভেঙ্গেপড়া বৃক্ষ ও ডাল, কর্তিত বৃক্ষের কোটরে এরকম কত ছানাইনা থাকে, তিন প্রজাতির শালিক, তিন-চার প্রজাতির বসন্তবৌরি, কয়েক প্রজাতির কাঠঠোকরা, রামগাংরা, কোটরে পেঁচা, নীলকণ্ঠ টিয়াসহ অন্যান্য পাখির। কত রকম পাখিরই বাসা থাকে সরু ডালপালায়! পাখিদের বাসা বাঁধার মৌসুমেই আমাদের দেশে ঝড় বেশি হয় তখন গাছপালা ভেঙ্গে পড়ে, নষ্ট হয় পাখিদের ডিম-ছানা। বৃক্ষ কর্তনের আগে ও ঝড়ে গাছপালা ভেঙ্গে পড়ার পরে পাখিদের দিকটা ভেবে দেখা জরুরি।
নীলগলা বসন্তবৌরির ইংরেজি নাম ইষঁব ঃযৎড়ধঃবফ নধৎনবঃ. মাপ ২২ সেমি। বাগেরহাট অঞ্চলে এটি নীল আমতোতা নামে পরিচিত। সুন্দরবনের গভীরতম এলাকা ছাড়া ঢাকা শহরসহ এটিকে প্রায় সারা দেশেই দেখা যায়। খুব সুন্দর পাখি। মূল খাদ্য ফল। নিজেরাই গাছের গায়ে গর্ত খুঁড়ে বাসা বানায়, ছানাদের দেখতে খুব সুন্দর লাগে। ওই ভদ্র মহিলা হয়তবা সুন্দর এই ছানা তিনটির কথা মনে রাখবেন আজীবন। কেননা, সন্তান স্নেহে তিনি লালন করেছিলেন ছানা তিনটিকে। উড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন মুক্ত আকাশে।
No comments