ময়না তোমরা ঢাকাত থাকেন না, অটে মানুষ পুড়ি মারে by ইসমাইল হোসেন
জন্মের মাস দুয়েক পর নানা-নানীর কাছে রতনকে রেখে জীবিকার সন্ধানে মা আমেনা
পাড়ি জমিয়েছিলেন নিশ্চিন্তপুরে। মাসে মাসে ছেলের জন্য কিছু টাকাও পাঠাতেন
তিনি। বাকি টাকা সঞ্চয় রাখতেন গ্রামে ফিরে জমি কিনে ঘর তৈরি ও ছেলেকে মানুষ
করবেন বলে।
কিন্তু আমেনার সেই স্বপ্ন পুড়ে গেছে আগুনে।
নিশ্চিন্তপুরের আগুনে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে শিশু রতনের ভবিষ্যত। মায়ের মৃত
দেহটাও না পেয়ে ষাটোর্ধ নানার কাঁধে মাথা রেখে কাঁদছে আট বছরের রতন।
সাভারের
আশুলিয়ায় নিশ্চিন্তপুরের মনোসন্তোষপুর ট্রাজেডিতে নিহতদের একজন আমেনা
খাতুন (৪০)। গত ২১ নভেম্বর ভয়াবহ আগুনে পুড়ে যাওয়া ১১৪ জনের লাশ উদ্ধার করা
গেলেও আমেনাসহ নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে।
এদের মধ্যে মিঠাপুকুরের লতিফপুর বড়বাড়ির আমেনার স্বামী নজরুল ইসলাম (৪৫), ছেলে নয়ন (২০) ও নয়নের স্ত্রী মনিরা খাতুন (১৮)। আগুন এতোটাই তীব্র ছিল যে, কেবল প্রাণ কেড়ে নিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, আগ্রাসী আগুনে ছাই হয়ে গেছে মৃতদেহও। তাই রতন পায়নি তার বাবা, মা, ভাই ও ভাবীকে।
লতিফপুরের বিভিন্ন গ্রামে নিখোঁজ রয়েছেন আরও নয়জন।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের নিহত, আহত ও নিখোঁজের সংখ্যা ৪৫ জন। এর মধ্যে ১৩ জনের লাশ দাফন হয়েছেন, ২০ জন নিখোঁজ রয়েছেন ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে আহতাবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন ১২ জন।
স্থানীয়রা জানায়, প্রায় এক যুগ আগে লতিফপুর বড়বাড়ির রতনের বড় খালা রাহেনা ঢাকায় যায়। এর পরে দশ বছর আগে বাবা নজরুল, সাত বছর আগে মা আমেনা ও ছয় বছর আগে ভাই নয়ন গিয়েছিল ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করতে। দুই বছর আগে ভাইয়ের বিয়ে হয়েছে মিঠাপুকুরের রুপসীতে, ভাবীও চাকরি নিয়েছেন তাজরীন ফ্যাশনে। নজরুল কাটিং, আমেনা ও নয়ন সুইং অপারেটর এবং মনিরা হেলপারের কাজ করতেন। চারজনই ছিলেন তিনতলায়। কিন্তু কারখানার কলাপসিবল গেট বন্ধ থাকায় বের হতে পারেননি কেউই।
নয়নদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, জটলা করছে শ’শ’ মানুষ। নয়নের নানা আহমদ হোসেন, নানী সোবেরা খাতুন (৫৫) ও আহমদ হোসেনের মা শতোর্ধ অপিতন নেসা নির্বাক বসে আছেন ভাঙা দু’টি ঘরের সামনে।
আহমদ হোসেনের অল্প কিছু জায়গা-জমি থাকলেও দুই মেয়ের বিয়ের পর আর অবশিষ্ট কিছু নেই। দুই মেয়ে রেহেনা ও আমেনা থাকেন আশুলিয়ায়। বয়স ষাট পেরুলেও এখনও কায়িক শ্রম দিয়ে সংসার চালান। পরের জমির এক কোণে দু’টি ভাঙা ঘরে থাকছেন স্ত্রী ও মা অপিতন এবং আমেনার ছেলে রতন ও রেহেনার ছেলে লিয়নকে নিয়ে।
“ময়না ঢাকাত থাকেন না, অটে মানুষ পুড়ি মারে”
ভারত-পাকিস্তান সৃষ্টির সময় মারা গেছে অপিতনের স্বামী। চার ছেলের মধ্যে বেঁচে আছে দু’জন। এদের একজন আহমদের সংসারের টানপোড়েনের মধ্যে মা অপিতন ভিক্ষা করেন। অপিতনের গায়ের চামড়া কুঁকড়ে গেছে, শরীরটাও ছোট বাচ্চার মতো। ঢাকা থেকে আসা সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে বৃদ্ধা অপিতন এই প্রতিবেদকের হাত চেপে ধরে বলতে থাকেন, “নাতিন (আমেনা) কইছিল কাপড়া (কাপড়), কম্বল কিনি দিম। কিন্তু কেমন করি দেয় বাবা, পুড়ি মরি গেল যে”। অবশ্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে একটি কম্বল পেয়েছেন অপিতন। বাংলানিউজের ফটোগ্রাফার অপিতনের ছবি তুলতে গেলে তিনি বলেন, “কি তোলেন ময়না, হামরা তো এখন চলি যাওচি। ময়না তোমরা ঢাকাত থাকেন না, অটে মানুষ পুড়ি মারে।”
‘মাও ভাল মানুষ বানবার চাইছিল’
মা আমেনা ও ভাই নয়নের ছবি হাতে নিয়ে নির্বাক আট বছরের রতন। দুই মাস বয়সে মায়ের কোল ছেড়ে নানীর দুধ খেয়ে বড় হওয়া রতনের মন টানছে মা-বাবা-ভাই-ভাবীর জন্য। এই চারজনের লাশ না পেলেও মায়ের দেওয়া শেষ স্মৃতিচিহ্ন একটি বেগুনি রঙের শার্ট ও জিন্সের প্যান্ট পরে নানার কাঁধে মুখ লুকিয়ে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছে রতন। মায়ের প্রসঙ্গ তুলতেই বুকফাটা চিৎকার দিয়ে রতন বলে, “মাও হামাক ভাল মানুষ বানবার চাইছিল। কইছিল ভাল করি পড়েন, ট্যাকা-টুক্যা নাগলে ফোন দেন। এখন আর কে ভাল মানুষ হবার কইবে?”
‘মুই যদি হার্ডফেল করি মরো, বাচ্চাগুলাও মরি যাইবে’
মেয়ে-জামাতা, নাতী-নাত বউকে হারিয়ে ষাটোর্ধ আহমেদ হোসেন ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে জড়ো হওয়া মানুষের দিকে। আগুন লাগার খবর পাওয়ার পরেই টাকা ধার করে রওয়ানা দেন ঢাকার উদ্দেশ্যে। সকাল সাতটায় আশুলিয়া পৌঁছেন তিনি।
আহমদ হোসেন বলেন, “ঠ্যাং-ঠুং পুড়ি গেইচে লাশগুলার, যখন স্কুলের ফিল্টোত শোতাইলো, মুই হাডফেল করি মরবার ধরচুনু। হামার কাকো পানু ন্যা। মেডিকেলোতও খুঁজি পাওনাই। পরে চলি আসনু।”
মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্রশাসন এই পরিবারকে এক লাখ টাকা দিয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় লাঠি নিয়ে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট দখল করতে যাওয়া এই মানুষটি বয়সের ভারে নুজ্য হলেও মনের জোরে বলতে থাকেন, “মুই দি হার্ডফেল করি মরো, বাচ্চাগুলাক কে দেখবে, সেগল্যাও মরি যাইবে।”
‘হামার মুক্তাক আনি দেন’
লতিফপুর বউ বাজারের মোক্তারুলের মেয়ে মুক্তাও (১৩) নিখোঁজ রয়েছে। একই কারখানায় মুক্তার মা চাকরি করলেও বিকাল ৫টার দিকে বের হয়ে প্রাণে বেঁচে যায়। মা রোমেনা ও বাবা মোক্তারুল এখনও পোড়া গার্মেন্টসে খুঁজছেন মেয়ে মুক্তাকে। বাড়িতে তার নানী মালেকার (৬৫) আর্তনাদে কেঁপে উঠছে বউবাজারের বাতাস। নাতীর মৃত্যুর পর কেউ খোঁজ নেয়নি মালেকার। মাটি চাপড়ে মালেকার আর্তনাদ, “হাতে ধরি, পায়ে পড়ি হামার দিকে তাকান। হামার মুক্তাক আনি দেন।”
লতিফপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, নিম্ন আয়ের সহায় সম্বলহীন মানুষগুলো জীবিকার সন্ধানে ঢাকায় পাড়ি জমান। পরিবার-পরিজন হারিয়ে তারা এখন নিঃস্ব। প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তা ছাড়া পরিবারের বাকী সদস্যদের বেঁচে থাকা হয়ে উঠবে কঠিন কাজ। স্থানীয় প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে।
রংপুরের জেলা প্রশাসক ফরিদ আহাম্মদ বলেন, “আশুরিয়ায় আহত-নিহতদের মধ্যে মিঠাপুকুরেরই সব চেয়ে বেশি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আহত-নিহত-নিখোঁজদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবেন।”
এদের মধ্যে মিঠাপুকুরের লতিফপুর বড়বাড়ির আমেনার স্বামী নজরুল ইসলাম (৪৫), ছেলে নয়ন (২০) ও নয়নের স্ত্রী মনিরা খাতুন (১৮)। আগুন এতোটাই তীব্র ছিল যে, কেবল প্রাণ কেড়ে নিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, আগ্রাসী আগুনে ছাই হয়ে গেছে মৃতদেহও। তাই রতন পায়নি তার বাবা, মা, ভাই ও ভাবীকে।
লতিফপুরের বিভিন্ন গ্রামে নিখোঁজ রয়েছেন আরও নয়জন।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের নিহত, আহত ও নিখোঁজের সংখ্যা ৪৫ জন। এর মধ্যে ১৩ জনের লাশ দাফন হয়েছেন, ২০ জন নিখোঁজ রয়েছেন ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে আহতাবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন ১২ জন।
স্থানীয়রা জানায়, প্রায় এক যুগ আগে লতিফপুর বড়বাড়ির রতনের বড় খালা রাহেনা ঢাকায় যায়। এর পরে দশ বছর আগে বাবা নজরুল, সাত বছর আগে মা আমেনা ও ছয় বছর আগে ভাই নয়ন গিয়েছিল ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করতে। দুই বছর আগে ভাইয়ের বিয়ে হয়েছে মিঠাপুকুরের রুপসীতে, ভাবীও চাকরি নিয়েছেন তাজরীন ফ্যাশনে। নজরুল কাটিং, আমেনা ও নয়ন সুইং অপারেটর এবং মনিরা হেলপারের কাজ করতেন। চারজনই ছিলেন তিনতলায়। কিন্তু কারখানার কলাপসিবল গেট বন্ধ থাকায় বের হতে পারেননি কেউই।
নয়নদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, জটলা করছে শ’শ’ মানুষ। নয়নের নানা আহমদ হোসেন, নানী সোবেরা খাতুন (৫৫) ও আহমদ হোসেনের মা শতোর্ধ অপিতন নেসা নির্বাক বসে আছেন ভাঙা দু’টি ঘরের সামনে।
আহমদ হোসেনের অল্প কিছু জায়গা-জমি থাকলেও দুই মেয়ের বিয়ের পর আর অবশিষ্ট কিছু নেই। দুই মেয়ে রেহেনা ও আমেনা থাকেন আশুলিয়ায়। বয়স ষাট পেরুলেও এখনও কায়িক শ্রম দিয়ে সংসার চালান। পরের জমির এক কোণে দু’টি ভাঙা ঘরে থাকছেন স্ত্রী ও মা অপিতন এবং আমেনার ছেলে রতন ও রেহেনার ছেলে লিয়নকে নিয়ে।
“ময়না ঢাকাত থাকেন না, অটে মানুষ পুড়ি মারে”
ভারত-পাকিস্তান সৃষ্টির সময় মারা গেছে অপিতনের স্বামী। চার ছেলের মধ্যে বেঁচে আছে দু’জন। এদের একজন আহমদের সংসারের টানপোড়েনের মধ্যে মা অপিতন ভিক্ষা করেন। অপিতনের গায়ের চামড়া কুঁকড়ে গেছে, শরীরটাও ছোট বাচ্চার মতো। ঢাকা থেকে আসা সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে বৃদ্ধা অপিতন এই প্রতিবেদকের হাত চেপে ধরে বলতে থাকেন, “নাতিন (আমেনা) কইছিল কাপড়া (কাপড়), কম্বল কিনি দিম। কিন্তু কেমন করি দেয় বাবা, পুড়ি মরি গেল যে”। অবশ্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে একটি কম্বল পেয়েছেন অপিতন। বাংলানিউজের ফটোগ্রাফার অপিতনের ছবি তুলতে গেলে তিনি বলেন, “কি তোলেন ময়না, হামরা তো এখন চলি যাওচি। ময়না তোমরা ঢাকাত থাকেন না, অটে মানুষ পুড়ি মারে।”
‘মাও ভাল মানুষ বানবার চাইছিল’
মা আমেনা ও ভাই নয়নের ছবি হাতে নিয়ে নির্বাক আট বছরের রতন। দুই মাস বয়সে মায়ের কোল ছেড়ে নানীর দুধ খেয়ে বড় হওয়া রতনের মন টানছে মা-বাবা-ভাই-ভাবীর জন্য। এই চারজনের লাশ না পেলেও মায়ের দেওয়া শেষ স্মৃতিচিহ্ন একটি বেগুনি রঙের শার্ট ও জিন্সের প্যান্ট পরে নানার কাঁধে মুখ লুকিয়ে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছে রতন। মায়ের প্রসঙ্গ তুলতেই বুকফাটা চিৎকার দিয়ে রতন বলে, “মাও হামাক ভাল মানুষ বানবার চাইছিল। কইছিল ভাল করি পড়েন, ট্যাকা-টুক্যা নাগলে ফোন দেন। এখন আর কে ভাল মানুষ হবার কইবে?”
‘মুই যদি হার্ডফেল করি মরো, বাচ্চাগুলাও মরি যাইবে’
মেয়ে-জামাতা, নাতী-নাত বউকে হারিয়ে ষাটোর্ধ আহমেদ হোসেন ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে জড়ো হওয়া মানুষের দিকে। আগুন লাগার খবর পাওয়ার পরেই টাকা ধার করে রওয়ানা দেন ঢাকার উদ্দেশ্যে। সকাল সাতটায় আশুলিয়া পৌঁছেন তিনি।
আহমদ হোসেন বলেন, “ঠ্যাং-ঠুং পুড়ি গেইচে লাশগুলার, যখন স্কুলের ফিল্টোত শোতাইলো, মুই হাডফেল করি মরবার ধরচুনু। হামার কাকো পানু ন্যা। মেডিকেলোতও খুঁজি পাওনাই। পরে চলি আসনু।”
মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্রশাসন এই পরিবারকে এক লাখ টাকা দিয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় লাঠি নিয়ে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট দখল করতে যাওয়া এই মানুষটি বয়সের ভারে নুজ্য হলেও মনের জোরে বলতে থাকেন, “মুই দি হার্ডফেল করি মরো, বাচ্চাগুলাক কে দেখবে, সেগল্যাও মরি যাইবে।”
‘হামার মুক্তাক আনি দেন’
লতিফপুর বউ বাজারের মোক্তারুলের মেয়ে মুক্তাও (১৩) নিখোঁজ রয়েছে। একই কারখানায় মুক্তার মা চাকরি করলেও বিকাল ৫টার দিকে বের হয়ে প্রাণে বেঁচে যায়। মা রোমেনা ও বাবা মোক্তারুল এখনও পোড়া গার্মেন্টসে খুঁজছেন মেয়ে মুক্তাকে। বাড়িতে তার নানী মালেকার (৬৫) আর্তনাদে কেঁপে উঠছে বউবাজারের বাতাস। নাতীর মৃত্যুর পর কেউ খোঁজ নেয়নি মালেকার। মাটি চাপড়ে মালেকার আর্তনাদ, “হাতে ধরি, পায়ে পড়ি হামার দিকে তাকান। হামার মুক্তাক আনি দেন।”
লতিফপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, নিম্ন আয়ের সহায় সম্বলহীন মানুষগুলো জীবিকার সন্ধানে ঢাকায় পাড়ি জমান। পরিবার-পরিজন হারিয়ে তারা এখন নিঃস্ব। প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তা ছাড়া পরিবারের বাকী সদস্যদের বেঁচে থাকা হয়ে উঠবে কঠিন কাজ। স্থানীয় প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে।
রংপুরের জেলা প্রশাসক ফরিদ আহাম্মদ বলেন, “আশুরিয়ায় আহত-নিহতদের মধ্যে মিঠাপুকুরেরই সব চেয়ে বেশি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আহত-নিহত-নিখোঁজদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবেন।”
No comments