বিজয়ের মাস শুরু
আজ শুরু হলো বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের মার্চে শুরু হওয়া মুক্তিযুদ্ধ সে বছর ডিসেম্বরেই চলে আসে বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে। মাসের শুরু থেকেই ধীরে ধীরে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে কোণঠাসা করতে শুরু করেন মুক্তিযোদ্ধারা। একের পর এক মুক্ত হতে থাকে দেশের বিভিন্ন এলাকা।
অবশেষে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। দীর্ঘ ৯ মাসের সম্মুখযুদ্ধ শেষে চূড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে আনে বাংলার দামাল ছেলেরা। সেই থেকে গৌরবের মাস এ ডিসেম্বর। বিজয়ের এ মাসেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রায় হতে পারে কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় স্বাধীনতাবিরোধী ব্যক্তির মামলার।
সরকারি উদ্যোগের বাইরেও দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন পক্ষকাল ধরে নানা কর্মসূচি পালন শেষে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর উদ্যাপন করবে বিজয় দিবস। মাসজুড়ে থাকবে নানা কর্মসূচি। মুক্তিযুদ্ধে বিদেশি বন্ধুদের সম্মাননা দেওয়া হবে সরকারি উদ্যোগে।
'মহান বিজয় দিবস-২০১২' উদ্যাপন উপলক্ষে এরই মধ্যে জাতীয় কর্মসূচি চূড়ান্ত করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এবারই প্রথম মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যৌথভাবে বিজয় দিবস উদ্যাপন করবে। এরই মধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও প্রতিষ্ঠান তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
এ প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে জানান, বড় পরিসরে এবং ভিন্নধারায় এবারের মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করতে যাচ্ছে সরকার।
গত ২৬ নভেম্বর ঢাকা সেনানিবাসে অফিসার্স মেসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর 'জেনারেলস কনফারেন্স'-এ মন্ত্রণালয় ও সেনাবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে 'বিজয় থেকে বিজয়ে' প্রতিপাদ্য নিয়ে বিজয় দিবস উদ্যাপনের কথা জানানো হয়। এর আগে ১৭ জুলাই মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এক আন্তমন্ত্রণালয় সভায় 'মহান বিজয় দিবস-২০১২' যথাযথভাবে উদ্যাপনের জাতীয় কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় মাসজুড়ে কর্মসূচি পালন করবে। কর্মসূচি অনুযায়ী আজ ১ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হবে। একই দিন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের একটি প্রতিনিধিদল টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। 'যুদ্ধাপরাধীদের' বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার দাবিতে ৩ থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ হবে। কর্মসূচিতে আরো আছে ফেনী হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে ৬ ডিসেম্বর ফেনীতে বিজয় শোভাযাত্রা ও সমাবেশ; নোয়াখালী হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে ৭ ডিসেম্বর নোয়াখালীতে বিজয় মেলা উদ্বোধন এবং গাইবান্ধায় মুক্তিযোদ্ধা-জনতা সমাবেশ; ৮ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের ভালুকায় মুক্তিযোদ্ধা-জনতা সমাবেশ; ৯ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মুক্তিযোদ্ধা-জনতা সমাবেশ; ১০ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে বিজয় মেলা উদ্বোধন; টাঙ্গাইল হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে ১১ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলে বিজয় শোভাযাত্রা; ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ভোরে প্রভাতফেরি; একই দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ ময়দানে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা-জনতা সমাবেশ; ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান; ১৮ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জে বিজয় মেলা উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা-জনতা সমাবেশ।
এ ছাড়া মহান বিজয় দিবস ও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
আওয়ামী লীগের কর্মসূচি : বিজয় দিবস উদ্যাপন কমিটির উদ্যোগে সারা দেশে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা ১ মিনিটে শিখা চিরন্তনে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়। ওই সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া একই সময়ে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে মোমবাতি প্রজ্বালন করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
আওয়ামী লীগ ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে আরো রয়েছে ৩ ডিসেম্বর সকাল ৭টায় ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন; একই দিন বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ।
এ ছাড়া স্বেচ্ছাসেবক লীগ ১১ ডিসেম্বর, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ১৮ ডিসেম্বর, শ্রমিক লীগ ১৯ ডিসেম্বর, যুব মহিলা লীগ ২২ ডিসেম্বর, তাঁতী লীগ ২৮ ডিসেম্বর, মহিলা আওয়ামী লীগ ৩০ ডিসেম্বর সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। একই কর্মসূচি সারা দেশে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোও পালন করবে।
এদিকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) বিজয়ের মাসের শুরুতে আজ রাজধানীতে জাতীয় পতাকা ও লাল পতাকা মিছিল করবে।
সরকারি উদ্যোগের বাইরেও দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন পক্ষকাল ধরে নানা কর্মসূচি পালন শেষে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর উদ্যাপন করবে বিজয় দিবস। মাসজুড়ে থাকবে নানা কর্মসূচি। মুক্তিযুদ্ধে বিদেশি বন্ধুদের সম্মাননা দেওয়া হবে সরকারি উদ্যোগে।
'মহান বিজয় দিবস-২০১২' উদ্যাপন উপলক্ষে এরই মধ্যে জাতীয় কর্মসূচি চূড়ান্ত করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এবারই প্রথম মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যৌথভাবে বিজয় দিবস উদ্যাপন করবে। এরই মধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও প্রতিষ্ঠান তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
এ প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে জানান, বড় পরিসরে এবং ভিন্নধারায় এবারের মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করতে যাচ্ছে সরকার।
গত ২৬ নভেম্বর ঢাকা সেনানিবাসে অফিসার্স মেসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর 'জেনারেলস কনফারেন্স'-এ মন্ত্রণালয় ও সেনাবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে 'বিজয় থেকে বিজয়ে' প্রতিপাদ্য নিয়ে বিজয় দিবস উদ্যাপনের কথা জানানো হয়। এর আগে ১৭ জুলাই মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এক আন্তমন্ত্রণালয় সভায় 'মহান বিজয় দিবস-২০১২' যথাযথভাবে উদ্যাপনের জাতীয় কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় মাসজুড়ে কর্মসূচি পালন করবে। কর্মসূচি অনুযায়ী আজ ১ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হবে। একই দিন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের একটি প্রতিনিধিদল টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। 'যুদ্ধাপরাধীদের' বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার দাবিতে ৩ থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ হবে। কর্মসূচিতে আরো আছে ফেনী হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে ৬ ডিসেম্বর ফেনীতে বিজয় শোভাযাত্রা ও সমাবেশ; নোয়াখালী হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে ৭ ডিসেম্বর নোয়াখালীতে বিজয় মেলা উদ্বোধন এবং গাইবান্ধায় মুক্তিযোদ্ধা-জনতা সমাবেশ; ৮ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের ভালুকায় মুক্তিযোদ্ধা-জনতা সমাবেশ; ৯ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মুক্তিযোদ্ধা-জনতা সমাবেশ; ১০ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে বিজয় মেলা উদ্বোধন; টাঙ্গাইল হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে ১১ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলে বিজয় শোভাযাত্রা; ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ভোরে প্রভাতফেরি; একই দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ ময়দানে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা-জনতা সমাবেশ; ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান; ১৮ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জে বিজয় মেলা উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা-জনতা সমাবেশ।
এ ছাড়া মহান বিজয় দিবস ও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
আওয়ামী লীগের কর্মসূচি : বিজয় দিবস উদ্যাপন কমিটির উদ্যোগে সারা দেশে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা ১ মিনিটে শিখা চিরন্তনে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়। ওই সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া একই সময়ে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে মোমবাতি প্রজ্বালন করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
আওয়ামী লীগ ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে আরো রয়েছে ৩ ডিসেম্বর সকাল ৭টায় ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন; একই দিন বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ।
এ ছাড়া স্বেচ্ছাসেবক লীগ ১১ ডিসেম্বর, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ১৮ ডিসেম্বর, শ্রমিক লীগ ১৯ ডিসেম্বর, যুব মহিলা লীগ ২২ ডিসেম্বর, তাঁতী লীগ ২৮ ডিসেম্বর, মহিলা আওয়ামী লীগ ৩০ ডিসেম্বর সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। একই কর্মসূচি সারা দেশে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোও পালন করবে।
এদিকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) বিজয়ের মাসের শুরুতে আজ রাজধানীতে জাতীয় পতাকা ও লাল পতাকা মিছিল করবে।
No comments