গির্জার সম্পত্তি দখলমুক্ত করতে আদালতের নির্দেশ
বরিশাল নগরে গির্জার দুই একর ৫৩ শতাংশ সম্পত্তি বিক্রি ও সেখানে স্থাপনা নির্মাণ অবৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত। অবৈধ ওই সব স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে ক্রেতা হিসেবে দখলদার অলিম্পিক প্রোপার্টিজ লিমিটেডকে গির্জার ওই সম্পত্তি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দেন আদালত।
বরিশাল প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিচারক আলমগীর কবির গত বুধবার এ আদেশ দেন। এ আদেশের ৪৫ দিনের মধ্যে সব স্থাপনা সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
জানা যায়, ১৯৬৯ সালে খ্রিষ্টানদের পক্ষে থাকা সব সম্পত্তি একটি ট্রাস্টি দলিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। একই সঙ্গে বাংলাদেশ চার্চ অ্যাসোসিয়েশনকে ট্রাস্টি নিযুক্ত করা হয়। ট্রাস্টি দলিলে উল্লেখ করা হয়, এই সম্পত্তি খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে। কোনোভাবেই কারও কাছে বেচাকেনা বা হস্তান্তর করা যাবে না।
কিন্তু ২০০৯ সালে ট্রাস্টি সম্পত্তির দুই একর ৫৩ শতাংশ সম্পত্তি কিনে নেওয়ার দাবি করে অলিম্পিক প্রোপার্টিজ লিমিটেড। একই সঙ্গে তারা ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি একটি দলিল করে। তখন ওই সম্পত্তিতে বসবাসকারী ৪৪ পরিবারের পক্ষে বাংলাদেশ ব্যাপ্টিস্ট বাস্তুহারা কলোনির জন পিন্টু বালা আদালতে মামলা করেন। ২০১০ সালের ৩ মার্চ আদালত ওই জমি বিক্রির ওপর স্থগিতাদেশ দেন। ২০১২ সালে খ্রিষ্টানদের সম্পত্তি যাতে কেউ দখলে নিতে না পারে, সে জন্য নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আরেকটি মামলা করেন ভুক্তভোগীরা। আদালত গত ২৩ আগস্ট ওই সম্পত্তি দখল ও হস্তান্তরের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকা অবস্থায় অলিম্পিক প্রোপার্টিজ লিমিটেড ওই সম্পত্তি দখলের চেষ্টা চালায়। গত ৮ সেপ্টেম্বর তারা কয়েক শ নারী-পুরুষ ও লাঠিয়াল নিয়ে জমি দখলে নেয় এবং ৪৪টি পরিবারকে উচ্ছেদ করে। এ সময় তারা ওই সম্পত্তিতে থাকা সীমানাপ্রাচীরসহ গাছপালা ভেঙে ও কেটে স্থাপনা নির্মাণ করে। এর বিরুদ্ধে গত ১ অক্টোবর সুবিধাবঞ্চিতদের পক্ষে ব্যাপ্টিস্ট মিশন চার্চের সাধারণ সম্পাদক পল প্রভাকর সাহা আদালতে মামলা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার আদালত ওই নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, বরিশাল নগরের বগুরা-আলেকান্দা মৌজায় ব্যাপ্টিস্ট মতাবলম্বী খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রায় ২২ একর সম্পত্তি রয়েছে। ওই সম্পত্তির মধ্যে একটি গির্জা, একটি বালিকা ও বালক বিদ্যালয় রয়েছে। বাকি সম্পত্তি খ্রিষ্টান নাগরিকেরা ব্যবহার করছে।
বরিশাল প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিচারক আলমগীর কবির গত বুধবার এ আদেশ দেন। এ আদেশের ৪৫ দিনের মধ্যে সব স্থাপনা সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
জানা যায়, ১৯৬৯ সালে খ্রিষ্টানদের পক্ষে থাকা সব সম্পত্তি একটি ট্রাস্টি দলিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। একই সঙ্গে বাংলাদেশ চার্চ অ্যাসোসিয়েশনকে ট্রাস্টি নিযুক্ত করা হয়। ট্রাস্টি দলিলে উল্লেখ করা হয়, এই সম্পত্তি খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে। কোনোভাবেই কারও কাছে বেচাকেনা বা হস্তান্তর করা যাবে না।
কিন্তু ২০০৯ সালে ট্রাস্টি সম্পত্তির দুই একর ৫৩ শতাংশ সম্পত্তি কিনে নেওয়ার দাবি করে অলিম্পিক প্রোপার্টিজ লিমিটেড। একই সঙ্গে তারা ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি একটি দলিল করে। তখন ওই সম্পত্তিতে বসবাসকারী ৪৪ পরিবারের পক্ষে বাংলাদেশ ব্যাপ্টিস্ট বাস্তুহারা কলোনির জন পিন্টু বালা আদালতে মামলা করেন। ২০১০ সালের ৩ মার্চ আদালত ওই জমি বিক্রির ওপর স্থগিতাদেশ দেন। ২০১২ সালে খ্রিষ্টানদের সম্পত্তি যাতে কেউ দখলে নিতে না পারে, সে জন্য নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আরেকটি মামলা করেন ভুক্তভোগীরা। আদালত গত ২৩ আগস্ট ওই সম্পত্তি দখল ও হস্তান্তরের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকা অবস্থায় অলিম্পিক প্রোপার্টিজ লিমিটেড ওই সম্পত্তি দখলের চেষ্টা চালায়। গত ৮ সেপ্টেম্বর তারা কয়েক শ নারী-পুরুষ ও লাঠিয়াল নিয়ে জমি দখলে নেয় এবং ৪৪টি পরিবারকে উচ্ছেদ করে। এ সময় তারা ওই সম্পত্তিতে থাকা সীমানাপ্রাচীরসহ গাছপালা ভেঙে ও কেটে স্থাপনা নির্মাণ করে। এর বিরুদ্ধে গত ১ অক্টোবর সুবিধাবঞ্চিতদের পক্ষে ব্যাপ্টিস্ট মিশন চার্চের সাধারণ সম্পাদক পল প্রভাকর সাহা আদালতে মামলা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার আদালত ওই নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, বরিশাল নগরের বগুরা-আলেকান্দা মৌজায় ব্যাপ্টিস্ট মতাবলম্বী খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রায় ২২ একর সম্পত্তি রয়েছে। ওই সম্পত্তির মধ্যে একটি গির্জা, একটি বালিকা ও বালক বিদ্যালয় রয়েছে। বাকি সম্পত্তি খ্রিষ্টান নাগরিকেরা ব্যবহার করছে।
No comments