অনিশ্চিত গন্তব্যে রাজনীতি-প্রধান দুই নেত্রীর গঠনমূলক ভূমিকা প্রয়োজন
ক্ষণ গণনা শুরু হয়ে গেল। এখন বোধ হয় নিশ্চিত করেই বলে দেওয়া যায়, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মেরুকরণ হতে যাচ্ছে। প্রধান বিরোধী দল যখন এক দফা দাবিতে অনড়, শুরু করতে যাচ্ছে সরকার পতনের আন্দোলন- তখনই সংসদে আগামী নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার সময় জানালেন প্রধানমন্ত্রী।
তাঁর এই ঘোষণার পর দেশের নির্বাচনমুখী রাজনীতিতে নতুন হাওয়া বইতে শুরু করাটাই স্বাভাবিক। কাজেই রাজনৈতিক দল ও নেতৃত্বকে এখন নতুন সমীকরণে হিসাব মেলাতে হবে।
বাংলাদেশের রাজনীতি মূলত প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের নিয়ন্ত্রণে। এই দুই দলের বাইরে তৃতীয় কোনো রাজনৈতিক দল নিজেদের শক্ত ভিত্তি এখনো তৈরি করতে পারেনি। দুটি দলের নিয়ন্ত্রণে যেমন দেশের রাজনীতি, তেমনি দল দুটির কোনোটিই পরমতসহিষ্ণু নয়। দুই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মুখ দেখাদেখি বন্ধ। কুশলাদি বিনিময়ের স্বাভাবিক সৌজন্যও উপেক্ষিত। দল দুটি পুরোপুরি শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশনির্ভর হওয়ায় প্রথম সারির নেতাদেরও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ নেই। একটি ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরও সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কোনো উদাহরণ নেই। প্রধান দুই দলের একগুঁয়েমি দেশের রাজনীতিকে সংকটের মুখে ঠেলে দেয়। সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
প্রধান দুই দলের মতবিরোধ এখন নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি নিয়ে। বিএনপির চাওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কোনোভাবেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রত্যাবর্তন মেনে নিতে পারছে না। এই একটি প্রশ্নে এখন দুই প্রধান দলের অবস্থান দুই মেরুতে। অথচ সরকারের মেয়াদ শেষের দিকে। নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে, রাজনৈতিক সংকট ততই ঘনীভূত হচ্ছে। একদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথা পুনর্বহালের দাবিতে বিএনপির, অন্যদিকে সেই ব্যবস্থায় না ফেরার পক্ষে আওয়ামী লীগের অনড় অবস্থান দেশের রাজনীতিকে একটি অনিশ্চিত অবস্থার দিকে যে ঠেলে দিচ্ছে, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এ অবস্থায় উভয় দলের মধ্যে একটি অর্থপূর্ণ সংলাপই যে সমাধানসূত্র হতে পারে, এমনটি মনে করেন অনেকেই। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সেই সংলাপ অনুষ্ঠানের সুনির্দিষ্ট কোনো সম্ভাবনা এখন পর্যন্ত নেই।
দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জনগণের চাওয়া দায়িত্বশীল আচরণ। রাজনৈতিক দলগুলো কতটুকু দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারছে তার ওপর নির্ভর করে দেশের পরিবেশ-পরিস্থিতি। নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণসহ বিভিন্ন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছে নির্বাচন কমিশন। বিএনপি নির্বাচন কমিশনের সংলাপ বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংলাপ বর্জনের কারণ হিসেবে বিএনপির পক্ষ থেকে যে কথা বলা হয়েছে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের নেই। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির যে বিষয়ে মতবিরোধ বা মতপার্থক্য, সে বিষয়ে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হতে হবে। কাজেই রাজনৈতিক দলগুলোকেই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, রাজনৈতিক দলগুলো দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে ব্যর্থ হলে তার পরিণাম শুভ হয় না। যেহেতু দেশের বেশির ভাগ মানুষের আবেগ প্রধান দুই দল ও দল দুটির শীর্ষ নেতৃত্বকে কেন্দ্র করে, তাই তাঁদেরই পালন করতে হবে প্রধান ভূমিকা। জনগণই প্রধান- এই বিশ্বাসে আস্থা রেখে দেশের স্বার্থে আগামী দিনের রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বকে। এখানে কোনো ভুল হলে তার পরিণাম কী হবে, তা সহজেই অনুমান করা যায়। অর্থাৎ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি সমঝোতা এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। দুই প্রধান রাজনৈতিক শক্তির বাইরের একটি পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, 'একটি হস্তক্ষেপ অবশ্যম্ভাবী'। সেই হাত কতটা লম্বা হতে পারে, সেটা আগে থেকে ভাবতে হবে। হাতের সীমাবদ্ধতা থাকাও আবশ্যক।
গণতন্ত্রের বাইরে অন্য কিছু ভাবার অবকাশ নেই। গণতান্ত্রিক ধারা ব্যাহত হতে দেওয়া যাবে না। গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে রাজনৈতিক দলগুলোকে ইতিবাচক ও গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে সেই দায়িত্বশীল আচরণ দেখতে চাই আমরা।
বাংলাদেশের রাজনীতি মূলত প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের নিয়ন্ত্রণে। এই দুই দলের বাইরে তৃতীয় কোনো রাজনৈতিক দল নিজেদের শক্ত ভিত্তি এখনো তৈরি করতে পারেনি। দুটি দলের নিয়ন্ত্রণে যেমন দেশের রাজনীতি, তেমনি দল দুটির কোনোটিই পরমতসহিষ্ণু নয়। দুই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মুখ দেখাদেখি বন্ধ। কুশলাদি বিনিময়ের স্বাভাবিক সৌজন্যও উপেক্ষিত। দল দুটি পুরোপুরি শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশনির্ভর হওয়ায় প্রথম সারির নেতাদেরও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ নেই। একটি ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরও সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কোনো উদাহরণ নেই। প্রধান দুই দলের একগুঁয়েমি দেশের রাজনীতিকে সংকটের মুখে ঠেলে দেয়। সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
প্রধান দুই দলের মতবিরোধ এখন নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি নিয়ে। বিএনপির চাওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কোনোভাবেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রত্যাবর্তন মেনে নিতে পারছে না। এই একটি প্রশ্নে এখন দুই প্রধান দলের অবস্থান দুই মেরুতে। অথচ সরকারের মেয়াদ শেষের দিকে। নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে, রাজনৈতিক সংকট ততই ঘনীভূত হচ্ছে। একদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথা পুনর্বহালের দাবিতে বিএনপির, অন্যদিকে সেই ব্যবস্থায় না ফেরার পক্ষে আওয়ামী লীগের অনড় অবস্থান দেশের রাজনীতিকে একটি অনিশ্চিত অবস্থার দিকে যে ঠেলে দিচ্ছে, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এ অবস্থায় উভয় দলের মধ্যে একটি অর্থপূর্ণ সংলাপই যে সমাধানসূত্র হতে পারে, এমনটি মনে করেন অনেকেই। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সেই সংলাপ অনুষ্ঠানের সুনির্দিষ্ট কোনো সম্ভাবনা এখন পর্যন্ত নেই।
দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জনগণের চাওয়া দায়িত্বশীল আচরণ। রাজনৈতিক দলগুলো কতটুকু দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারছে তার ওপর নির্ভর করে দেশের পরিবেশ-পরিস্থিতি। নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণসহ বিভিন্ন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছে নির্বাচন কমিশন। বিএনপি নির্বাচন কমিশনের সংলাপ বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংলাপ বর্জনের কারণ হিসেবে বিএনপির পক্ষ থেকে যে কথা বলা হয়েছে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের নেই। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির যে বিষয়ে মতবিরোধ বা মতপার্থক্য, সে বিষয়ে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হতে হবে। কাজেই রাজনৈতিক দলগুলোকেই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, রাজনৈতিক দলগুলো দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে ব্যর্থ হলে তার পরিণাম শুভ হয় না। যেহেতু দেশের বেশির ভাগ মানুষের আবেগ প্রধান দুই দল ও দল দুটির শীর্ষ নেতৃত্বকে কেন্দ্র করে, তাই তাঁদেরই পালন করতে হবে প্রধান ভূমিকা। জনগণই প্রধান- এই বিশ্বাসে আস্থা রেখে দেশের স্বার্থে আগামী দিনের রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বকে। এখানে কোনো ভুল হলে তার পরিণাম কী হবে, তা সহজেই অনুমান করা যায়। অর্থাৎ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি সমঝোতা এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। দুই প্রধান রাজনৈতিক শক্তির বাইরের একটি পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, 'একটি হস্তক্ষেপ অবশ্যম্ভাবী'। সেই হাত কতটা লম্বা হতে পারে, সেটা আগে থেকে ভাবতে হবে। হাতের সীমাবদ্ধতা থাকাও আবশ্যক।
গণতন্ত্রের বাইরে অন্য কিছু ভাবার অবকাশ নেই। গণতান্ত্রিক ধারা ব্যাহত হতে দেওয়া যাবে না। গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে রাজনৈতিক দলগুলোকে ইতিবাচক ও গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে সেই দায়িত্বশীল আচরণ দেখতে চাই আমরা।
No comments