উৎসবের এ ধারা টিকবে তো?
১৩৮ দেশের সমর্থন নিয়ে গতকালই ফিলিস্তিনিরা জাতিসংঘের 'সার্বভৌম রাষ্ট্রের' মর্যাদা পেয়েছে। রামাল্লা, গাজা ও অধিকৃত জেরুজালেমের সারা অঞ্চলজুড়ে এখন বইছে উৎসবের ফোয়ারা। শান্তির প্রত্যাশায় সারা দুনিয়ার মানুষও উদ্বেলিত।
কিন্তু খুশির এই ফোয়ারা কত দিন টিকবে? বিশ্লেষকরা খুব আশাবাদী হতে পারছেন না। তাঁদের ভাষ্যমতে, আজকের অর্জন ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে এটি মাইলফলক হলেও, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনার ক্ষেত্রে উল্টো বাধা হয়ে দাঁড়াবে এ অর্জন।
নতুন স্বীকৃতি লাভের ফলে ফিলিস্তিনিরা জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার সদস্য হতে পারবে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্যপদ ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা ঠেকাতে তাদের জন্য রক্ষাকবচ হয়ে দাঁড়াতে পারে। ইসরায়েলি দখলদারি, হামলা, হত্যা ও নির্যাতনের বিপক্ষে বিশ্ব জনমতের সমর্থনকে এবার আইনিভাবে কাজে লাগাতে পারবে তারা।
যদিও ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র এত সহজে স্বাধীন ফিলিস্তিন ভূখণ্ড মেনে নেবে, এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। ইসরায়েল আগেই হুমকি দিয়েছিল, নতুন স্বীকৃতি আদায়ের সঙ্গে সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের জন্য বরাদ্দ কর ও ভাতা বন্ধ করে দেবে তারা। অধিকৃত অঞ্চলে বসতি আরো বাড়ানোর ঘোষণাও দিয়ে রেখেছে তারা। এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ভয়েও মোটেই ভীত নয় তারা। তাদের কূটনীতিকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক আদালতের সদস্য নয়, এমন রাষ্ট্রের বিপক্ষে সিদ্ধান্ত কার্যকরের এখতিয়ার সে আদালতের নেই। প্রসঙ্গত, ইসরায়েল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্য নয়। যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতার কারণে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোও ফিলিস্তিনকে সদস্য হিসেবে নেওয়ার ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহ দেখাবে না। যুক্তরাষ্ট্র আগেই বলে রেখেছে, ফিলিস্তিনিরা যে আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য হবে, সেই সংস্থায় পয়সা দেবে না তারা। গত বছর ফিলিস্তিন ইউনেসকোর সদস্যপদ পাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র তাদের আট কোটি ডলার সাহায্য বন্ধ করে দেয়। ইসরায়েল বলছে, ফিলিস্তিনিরা নিজেদের পথে হাঁটার যে প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হচ্ছে, তা তারা মোটেও মেনে নেবে না। বরং শান্তি আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে ইসরায়েলের আগ্রহে ঘাটতি দেখা দেবে।
কূটনৈতিক এ বিশাল পরাজয়ের পর ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটতে পারে। উগ্রপন্থী ইহুদিবাদের বিপক্ষে শান্তিকামী মধ্যপন্থীরা আবারও ইসরায়েল রাষ্ট্রের চালিকাশক্তিতে পরিণত হতে পারে। নিজ দেশেও ফিলিস্তিনে আগ্রাসনের কঠোর সমালোচনার মুখে রয়েছেন এখনকার শাসকরা।
তবে যে চারটি বিষয়ের ওপর ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সম্পর্ক নির্ভর করছে সেসব অমীমাংসিত ইস্যুর তেমন কোনো পরিবর্তন ঘটবে না বলেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন। অনেকে বলছেন, দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সদিচ্ছাও ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের শান্তি আলোচনা অগ্রসরের ক্ষেত্রে অনেকাংশ নির্ভর করবে। নির্বাচিত হওয়ার সময় নিজ দেশের জনগণের কাছে এ অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। তবে 'স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র' প্রতিষ্ঠায় বিশ্ববাসীকে যে আরো প্রতীক্ষা করতেই হচ্ছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সূত্র : টেলিগ্রাফ, রয়টার্স।
নতুন স্বীকৃতি লাভের ফলে ফিলিস্তিনিরা জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার সদস্য হতে পারবে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্যপদ ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা ঠেকাতে তাদের জন্য রক্ষাকবচ হয়ে দাঁড়াতে পারে। ইসরায়েলি দখলদারি, হামলা, হত্যা ও নির্যাতনের বিপক্ষে বিশ্ব জনমতের সমর্থনকে এবার আইনিভাবে কাজে লাগাতে পারবে তারা।
যদিও ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র এত সহজে স্বাধীন ফিলিস্তিন ভূখণ্ড মেনে নেবে, এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। ইসরায়েল আগেই হুমকি দিয়েছিল, নতুন স্বীকৃতি আদায়ের সঙ্গে সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের জন্য বরাদ্দ কর ও ভাতা বন্ধ করে দেবে তারা। অধিকৃত অঞ্চলে বসতি আরো বাড়ানোর ঘোষণাও দিয়ে রেখেছে তারা। এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ভয়েও মোটেই ভীত নয় তারা। তাদের কূটনীতিকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক আদালতের সদস্য নয়, এমন রাষ্ট্রের বিপক্ষে সিদ্ধান্ত কার্যকরের এখতিয়ার সে আদালতের নেই। প্রসঙ্গত, ইসরায়েল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্য নয়। যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতার কারণে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোও ফিলিস্তিনকে সদস্য হিসেবে নেওয়ার ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহ দেখাবে না। যুক্তরাষ্ট্র আগেই বলে রেখেছে, ফিলিস্তিনিরা যে আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য হবে, সেই সংস্থায় পয়সা দেবে না তারা। গত বছর ফিলিস্তিন ইউনেসকোর সদস্যপদ পাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র তাদের আট কোটি ডলার সাহায্য বন্ধ করে দেয়। ইসরায়েল বলছে, ফিলিস্তিনিরা নিজেদের পথে হাঁটার যে প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হচ্ছে, তা তারা মোটেও মেনে নেবে না। বরং শান্তি আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে ইসরায়েলের আগ্রহে ঘাটতি দেখা দেবে।
কূটনৈতিক এ বিশাল পরাজয়ের পর ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটতে পারে। উগ্রপন্থী ইহুদিবাদের বিপক্ষে শান্তিকামী মধ্যপন্থীরা আবারও ইসরায়েল রাষ্ট্রের চালিকাশক্তিতে পরিণত হতে পারে। নিজ দেশেও ফিলিস্তিনে আগ্রাসনের কঠোর সমালোচনার মুখে রয়েছেন এখনকার শাসকরা।
তবে যে চারটি বিষয়ের ওপর ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সম্পর্ক নির্ভর করছে সেসব অমীমাংসিত ইস্যুর তেমন কোনো পরিবর্তন ঘটবে না বলেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন। অনেকে বলছেন, দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সদিচ্ছাও ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের শান্তি আলোচনা অগ্রসরের ক্ষেত্রে অনেকাংশ নির্ভর করবে। নির্বাচিত হওয়ার সময় নিজ দেশের জনগণের কাছে এ অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। তবে 'স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র' প্রতিষ্ঠায় বিশ্ববাসীকে যে আরো প্রতীক্ষা করতেই হচ্ছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সূত্র : টেলিগ্রাফ, রয়টার্স।
No comments