গুম ও অপহরণের বিরুদ্ধে চাই কঠোর পদক্ষেপ- মানবাধিকার পরিস্থিতি
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বিক পর্যালোচনা প্রতিবেদনে দেশে গুমের ঘটনা নিয়ে উত্থাপিত অভিযোগের সংখ্যা বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের যেসব কথা সরকার বলে, প্রতিবেদনটি কিন্তু তার বিপরীত চিত্রই তুলে ধরছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি যখন মানবাধিকার মানদণ্ডের কোনো কোনো ক্ষেত্রে ঘাটতির কথা উল্লেখ করে হতাশা ব্যক্ত করেন, তখন বলতে হয় সরকার এসব ব্যাপারে বেশ ভালোভাবেই অবহিত, কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেনি।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) ও অন্য কয়েকটি দূতাবাসের সহায়তায় অনুষ্ঠিত মানবাধিকার কমিশনের জাতীয় আলোচনা সভায় কমিশনের উত্থাপিত খসড়া প্রতিবেদনটি গুরুত্বপূর্ণ এ জন্য যে এতে বিদ্যমান পরিস্থিতির একটি বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। কমিশন স্বাধীন হলেও অনেক ক্ষেত্রে এর অনুশীলন দেখা যায় না।
সাম্প্রতিককালে গুম হয়েছেন ইলিয়াস। তাঁর কোনো হদিস, এমনকি লাশও পাওয়া গেল না। তিনি ছিলেন প্রধান বিরোধী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা। এ রকম একটি মানুষ গুম হয়ে গেলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? লিমনের পায়ে গুলি করে তাকে পঙ্গু করে ফেলা হয়েছে। সারা দেশে তোলপাড় হলেও সরকারের টনক নড়েনি। আজও তাকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। সাংবাদিক সাগর-রুনির নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সুরাহা করতে না পারাও সরকারের এক লজ্জাজনক ব্যর্থতা। আশুলিয়ায় পোশাকশিল্প শ্রমিকদের নেতা আমিনুল ইসলামকে গুম-খুনের কোনো সুরাহা এখনো করতে পারল না সরকার। অথচ তাঁর গুম-খুনের ঘটনা শুধু দেশে নয়, বিদেশেও আলোচিত। তাঁর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের মাধ্যমে উপযুক্ত শাস্তি দিতে না পারলে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশের অনেক বড় বড় ক্রেতা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কিনতে নিরুৎসাহী হয়ে পড়তে পারে।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক হলো, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ হয়নি। কয়েক মাস ধরে ভৈরবে মেঘনা সেতুর ওপর থেকে গভীর রাতে হাত-পা বাঁধা, গুলিবিদ্ধ লাশ বস্তায় ভরে নদীতে ফেলা হচ্ছে। কে বা কারা গোপনে এই অপরাধ করে যাচ্ছে, তা কি পুলিশ বের করতে পারে না? খবরটি কিছুদিন আগে প্রথম আলোয় প্রকাশের পরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে রহস্য উদ্ঘাটনে তাগিদ দেখা যায়নি।
এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত, গ্রেপ্তার ও বিচার করা জরুরি। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে বিচারবহির্ভূত হত্যা-গুমের ঘটনা না ঘটে, সে ব্যাপারে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) ও অন্য কয়েকটি দূতাবাসের সহায়তায় অনুষ্ঠিত মানবাধিকার কমিশনের জাতীয় আলোচনা সভায় কমিশনের উত্থাপিত খসড়া প্রতিবেদনটি গুরুত্বপূর্ণ এ জন্য যে এতে বিদ্যমান পরিস্থিতির একটি বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। কমিশন স্বাধীন হলেও অনেক ক্ষেত্রে এর অনুশীলন দেখা যায় না।
সাম্প্রতিককালে গুম হয়েছেন ইলিয়াস। তাঁর কোনো হদিস, এমনকি লাশও পাওয়া গেল না। তিনি ছিলেন প্রধান বিরোধী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা। এ রকম একটি মানুষ গুম হয়ে গেলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? লিমনের পায়ে গুলি করে তাকে পঙ্গু করে ফেলা হয়েছে। সারা দেশে তোলপাড় হলেও সরকারের টনক নড়েনি। আজও তাকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। সাংবাদিক সাগর-রুনির নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সুরাহা করতে না পারাও সরকারের এক লজ্জাজনক ব্যর্থতা। আশুলিয়ায় পোশাকশিল্প শ্রমিকদের নেতা আমিনুল ইসলামকে গুম-খুনের কোনো সুরাহা এখনো করতে পারল না সরকার। অথচ তাঁর গুম-খুনের ঘটনা শুধু দেশে নয়, বিদেশেও আলোচিত। তাঁর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের মাধ্যমে উপযুক্ত শাস্তি দিতে না পারলে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশের অনেক বড় বড় ক্রেতা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কিনতে নিরুৎসাহী হয়ে পড়তে পারে।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক হলো, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ হয়নি। কয়েক মাস ধরে ভৈরবে মেঘনা সেতুর ওপর থেকে গভীর রাতে হাত-পা বাঁধা, গুলিবিদ্ধ লাশ বস্তায় ভরে নদীতে ফেলা হচ্ছে। কে বা কারা গোপনে এই অপরাধ করে যাচ্ছে, তা কি পুলিশ বের করতে পারে না? খবরটি কিছুদিন আগে প্রথম আলোয় প্রকাশের পরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে রহস্য উদ্ঘাটনে তাগিদ দেখা যায়নি।
এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত, গ্রেপ্তার ও বিচার করা জরুরি। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে বিচারবহির্ভূত হত্যা-গুমের ঘটনা না ঘটে, সে ব্যাপারে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
No comments