জনভোগান্তিমূলক রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ করুন- রাস্তাঘাট নির্বিঘ্ন থাক
রাস্তাঘাট বন্ধ করে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন ও ক্ষমতার বাইরের দলগুলোর মধ্যে পার্থক্য দেখা যায় না। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তার ঘনিষ্ঠ মিত্র জামায়াতে ইসলামী রাস্তায় মিছিল-সমাবেশ করতে গেলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের যেভাবে বাধা দেয়, তাতে পরিস্থিতি সহিংস হয়ে ওঠে।
আবার অনেক সময় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা-কর্মীদের কিছু অংশ বিনা উসকানিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। এসবের মাশুল দিতে হয় নিরীহ জনসাধারণকে, জীবন-জীবিকার তাগিদে যাদের রাস্তাঘাটে চলাফেরা করতে হয়।
গত বুধবার রাজধানী ঢাকায় ছিল প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সমাবেশ। পরদিন বৃহস্পতিবার রাজধানীর শহীদ নূর হোসেন চত্বর এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ক্ষমতাসীন দলের যুব সংগঠন যুবলীগ। একই দিন ছিল পেশাজীবী চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন। এসব কর্মসূচির কোনোটিতেই জনসাধারণের চলাফেরার অসুবিধার বিষয়টি আমলে নেওয়া হয়নি। বরং রাজধানীর কেন্দ্রীয় এলাকায় অতিশয় ব্যস্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। ফলে যানজট শুধু রাজধানীর কেন্দ্রীয় এলাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, সারা মহানগরেই তা ছড়িয়ে পড়েছিল।
বিএনপি সামনে বৃহত্তর আন্দোলন-সংগ্রামের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, সেসবের মধ্যে অবরোধ আছে। অবরোধ কর্মসূচিতে জনসাধারণের চলাফেরায় বাধাবিঘ্ন সৃষ্টি হয়। আর পুলিশ বাধা দিলে হরতালের হুমকিও দিয়েছেন খোদ বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া। বিএনপির প্রধান শরিক জামায়াতে ইসলামীও কৌশল বদলে প্রকাশ্য মিছিল-সমাবেশ ইত্যাদি তথাকথিত শান্তিপূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছে বলে খবর বেরিয়েছে। তারা ৩ ডিসেম্বর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর দিকে সড়কের ওপর সমাবেশ করবে। সড়কের ওপর সমাবেশ করা যেন রাজনৈতিক দলগুলোর অধিকারে পরিণত হয়েছে। তারা ভুলে গেছে, সড়ক মিছিল-সমাবেশের স্থান নয়, মানুষের চলাচলের পথ।
রাজধানী এমনিতেই যানজটে বিপন্ন। এর সঙ্গে রাস্তাঘাটে রাজনৈতিক কর্মসূচি যোগ হলে পুরো শহর অচল হয়ে পড়ে। যেভাবে এত দিন চলে এসেছে, সেভাবে আর চলতে পারে না। রাজনৈতিক দলগুলোর এখন বিকল্প পন্থা খোঁজা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। যান চলাচলে অচলাবস্থা সৃষ্টি করে রাজনৈতিক কর্মসূচি আর নয়।
গত বুধবার রাজধানী ঢাকায় ছিল প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সমাবেশ। পরদিন বৃহস্পতিবার রাজধানীর শহীদ নূর হোসেন চত্বর এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ক্ষমতাসীন দলের যুব সংগঠন যুবলীগ। একই দিন ছিল পেশাজীবী চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন। এসব কর্মসূচির কোনোটিতেই জনসাধারণের চলাফেরার অসুবিধার বিষয়টি আমলে নেওয়া হয়নি। বরং রাজধানীর কেন্দ্রীয় এলাকায় অতিশয় ব্যস্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। ফলে যানজট শুধু রাজধানীর কেন্দ্রীয় এলাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, সারা মহানগরেই তা ছড়িয়ে পড়েছিল।
বিএনপি সামনে বৃহত্তর আন্দোলন-সংগ্রামের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, সেসবের মধ্যে অবরোধ আছে। অবরোধ কর্মসূচিতে জনসাধারণের চলাফেরায় বাধাবিঘ্ন সৃষ্টি হয়। আর পুলিশ বাধা দিলে হরতালের হুমকিও দিয়েছেন খোদ বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া। বিএনপির প্রধান শরিক জামায়াতে ইসলামীও কৌশল বদলে প্রকাশ্য মিছিল-সমাবেশ ইত্যাদি তথাকথিত শান্তিপূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছে বলে খবর বেরিয়েছে। তারা ৩ ডিসেম্বর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর দিকে সড়কের ওপর সমাবেশ করবে। সড়কের ওপর সমাবেশ করা যেন রাজনৈতিক দলগুলোর অধিকারে পরিণত হয়েছে। তারা ভুলে গেছে, সড়ক মিছিল-সমাবেশের স্থান নয়, মানুষের চলাচলের পথ।
রাজধানী এমনিতেই যানজটে বিপন্ন। এর সঙ্গে রাস্তাঘাটে রাজনৈতিক কর্মসূচি যোগ হলে পুরো শহর অচল হয়ে পড়ে। যেভাবে এত দিন চলে এসেছে, সেভাবে আর চলতে পারে না। রাজনৈতিক দলগুলোর এখন বিকল্প পন্থা খোঁজা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। যান চলাচলে অচলাবস্থা সৃষ্টি করে রাজনৈতিক কর্মসূচি আর নয়।
No comments