ইসরায়েলকে আদালতে নিতে পারবে
সাধারণ পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়ে জাতিসংঘে 'অসদস্য পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের' স্বীকৃতি পাওয়ায় ফিলিস্তিনের আসলে কতটুকু লাভ হলো? এই প্রশ্ন এখন অনেকের মনে। বিষয়টি নিয়ে অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকই ইতিমধ্যে মুখ খুলেছেন।
তাঁরা বলছেন, এতে মূলত স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির পথে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল ফিলিস্তিন। এতে আগামী দিনে জাতিসংঘে তার 'পূর্ণ সদস্য পদ' পাওয়া সহজ হবে। আর ফিলিস্তিনের এই জয় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের 'কূটনৈতিক পরাজয়' বলেও মনে করছেন অনেকে।
ফিলিস্তিনের পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা পাওয়ার বিষয়টি প্রতিপক্ষ ইসরায়েলের জন্য বেশ ক্ষতির কারণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কেননা এবার ফিলিস্তিন আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতে (আইসিসি) সদস্য পদ পাওয়ার আবেদন করতে পারবে। আর এ সদস্য পদ পেলে তারা ইসরায়েল সরকার ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে বিচার চাইতে পারবে। অনেক দিন ধরেই জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ভোটে জয়ী হয়ে আইসিসিতে যোগ দিতে চাইছিল ফিলিস্তিন।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস জাতিসংঘে ভাষণে সুস্পষ্টভাবে বলেছিলেন, ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধ করছে। জবাবে ইসরায়েল বলেছিল, তাদের সশস্ত্র বাহিনী কঠোরভাবে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলছে। ইসরায়েলকে বিচ্ছিন্ন করতেই ফিলিস্তিন এমন অভিযোগ করছে বলেও দাবি করে ইসরায়েল।
এর আগে আইসিসির সাবেক কৌঁসুলি ২০০৯ সালে ফিলিস্তিনের করা একটি বিচারের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন। ২০০৮-০৯ সালে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরুদ্ধে ওই বিচারের আবেদন করা হয়। ওই সময় রাষ্ট্রের দাবিতে ফিলিস্তিনের অবস্থান ছিল আরো নাজুক। সেপ্টেম্বরে নবনিযুক্ত আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি ফাতু বেনসোদা বলেন, সাধারণ পরিষদের ভোটাভুটি ফিলিস্তিনের ব্যাপারে এই সংস্থার অবস্থান পাল্টে দিতে পারে।
আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত নেদারল্যান্ডসের রাজধানী হেগে অবস্থিত। সেখানে যে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা যায়। বিশ্বের ১৭৭টি দেশ ইতালির রাজধানী রোমে এক চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করে। চুক্তি স্বাক্ষরকারী দেশগুলো তাদের সন্দেহভাজন অপরাধীদের আইসিসিতে সোপর্দ করতে বাধ্য থাকবে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল রোম চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি। তবে মামলা করতে এটি ফিলিস্তিনের জন্য কোনো বাধা নয়। কিন্তু প্রভাবশালী রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে আইসিসির আইন তেমন কার্যকর ভূমিকা রাখে না বলে ফিলিস্তিনের সুবিচার পাওয়া নিয়ে সন্দেহও আছে।
বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ বলছেন, এ স্বীকৃতির ফলে ফিলিস্তিনিরা তাদের রাষ্ট্র সীমানার দাবিও জাতিসংঘে তুলতে পারবে। অনেক দিন ধরেই পশ্চিম তীর, গাজা এবং পূর্ব জেরুজালেম মিলিয়ে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি চেয়ে আসছে ফিলিস্তিন। রাষ্ট্র সীমানা নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিনের বিরোধ রয়েছে। এই বিরোধের জের ধরেই দুই পক্ষের মধ্যে অনেকবার যুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি গাজা উপত্যকায় হামলা চালিয়ে বহু ফিলিস্তিন নাগরিককে হত্যা করে ইসরায়েল।
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পাওয়ার বিষয়টিকে বড় পাওয়া বলে মনে করছেন। তিনি বলেছেন, দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমস্যা সমাধানের পথে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। এই স্বীকৃতির ফলে ইউরোপীয় দেশগুলোর বেশির ভাগের সহানুভূতি ও জোরালো সমর্থন এখন থেকে ফিলিস্তিনের দিকে যাবে বলেও মনে করছেন অনেকে। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স ও হাফিংটন পোস্ট (অনলাইন)।
ফিলিস্তিনের পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা পাওয়ার বিষয়টি প্রতিপক্ষ ইসরায়েলের জন্য বেশ ক্ষতির কারণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কেননা এবার ফিলিস্তিন আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতে (আইসিসি) সদস্য পদ পাওয়ার আবেদন করতে পারবে। আর এ সদস্য পদ পেলে তারা ইসরায়েল সরকার ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে বিচার চাইতে পারবে। অনেক দিন ধরেই জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ভোটে জয়ী হয়ে আইসিসিতে যোগ দিতে চাইছিল ফিলিস্তিন।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস জাতিসংঘে ভাষণে সুস্পষ্টভাবে বলেছিলেন, ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধ করছে। জবাবে ইসরায়েল বলেছিল, তাদের সশস্ত্র বাহিনী কঠোরভাবে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলছে। ইসরায়েলকে বিচ্ছিন্ন করতেই ফিলিস্তিন এমন অভিযোগ করছে বলেও দাবি করে ইসরায়েল।
এর আগে আইসিসির সাবেক কৌঁসুলি ২০০৯ সালে ফিলিস্তিনের করা একটি বিচারের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন। ২০০৮-০৯ সালে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরুদ্ধে ওই বিচারের আবেদন করা হয়। ওই সময় রাষ্ট্রের দাবিতে ফিলিস্তিনের অবস্থান ছিল আরো নাজুক। সেপ্টেম্বরে নবনিযুক্ত আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি ফাতু বেনসোদা বলেন, সাধারণ পরিষদের ভোটাভুটি ফিলিস্তিনের ব্যাপারে এই সংস্থার অবস্থান পাল্টে দিতে পারে।
আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত নেদারল্যান্ডসের রাজধানী হেগে অবস্থিত। সেখানে যে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা যায়। বিশ্বের ১৭৭টি দেশ ইতালির রাজধানী রোমে এক চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করে। চুক্তি স্বাক্ষরকারী দেশগুলো তাদের সন্দেহভাজন অপরাধীদের আইসিসিতে সোপর্দ করতে বাধ্য থাকবে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল রোম চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি। তবে মামলা করতে এটি ফিলিস্তিনের জন্য কোনো বাধা নয়। কিন্তু প্রভাবশালী রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে আইসিসির আইন তেমন কার্যকর ভূমিকা রাখে না বলে ফিলিস্তিনের সুবিচার পাওয়া নিয়ে সন্দেহও আছে।
বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ বলছেন, এ স্বীকৃতির ফলে ফিলিস্তিনিরা তাদের রাষ্ট্র সীমানার দাবিও জাতিসংঘে তুলতে পারবে। অনেক দিন ধরেই পশ্চিম তীর, গাজা এবং পূর্ব জেরুজালেম মিলিয়ে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি চেয়ে আসছে ফিলিস্তিন। রাষ্ট্র সীমানা নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিনের বিরোধ রয়েছে। এই বিরোধের জের ধরেই দুই পক্ষের মধ্যে অনেকবার যুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি গাজা উপত্যকায় হামলা চালিয়ে বহু ফিলিস্তিন নাগরিককে হত্যা করে ইসরায়েল।
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পাওয়ার বিষয়টিকে বড় পাওয়া বলে মনে করছেন। তিনি বলেছেন, দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমস্যা সমাধানের পথে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। এই স্বীকৃতির ফলে ইউরোপীয় দেশগুলোর বেশির ভাগের সহানুভূতি ও জোরালো সমর্থন এখন থেকে ফিলিস্তিনের দিকে যাবে বলেও মনে করছেন অনেকে। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স ও হাফিংটন পোস্ট (অনলাইন)।
No comments