ইতিহাসের প্রত্যাবর্তন
দুটি ছবি। প্রথমটি সাদাকালো, দ্বিতীয়টি রঙিন। ছবির বিষয়বস্তু একই_একদল মানুষের উল্লাস। তবে ফ্রেমের ভেতরের মানুষগুলোর বেশভূষায় পার্থক্য স্পষ্ট। একটিতে ইউরোপীয় কেতায় স্যুট-টাই পরিহিতরা, যাদের যতটা মধ্যপ্রাচ্যে তার চেয়ে বেশি মানায় ভিয়েনার মতো জায়গায়।
অন্যটিতে ঐতিহাসিকভাবেই মধ্যপ্রাচ্যের মানুষ। তবে ছবি দুটির মধ্যে সময়ের পার্থক্য ৬৫ বছর, যার প্রতিটি মুহূর্তে মিশে আছে শোষণ, নির্যাতন, বঞ্চনার দীর্ঘ ইতিহাস। কাকতালীয় হলেও দিনটি একই_২৯ নভেম্বর। ছবি দুটি শতবর্ষ ধরে মধ্যপ্রাচ্যের অশান্ত এলাকা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মানুষের রাজনৈতিক জয়ের।
১৯৪৭ সালের ২৯ নভেম্বর ব্রিটিশ শাসিত ফিলিস্তিনকে দুই ভাগ করে এর এক ভাগে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবে জাতিসংঘে ভোটাভুটি হয়। এ দিন ইসরায়েলের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পড়ে। ভোটে জয়ের পর উল্লসিত ইসরায়েলিদের ওই সাদাকালো ছবিটি তোলা হয়। ফিলিস্তিনিরা জাতিসংঘের ওই ভোটের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছিল। ওই ভোটের ধারাবাহিকতায় ১৯৪৯ সালে পূর্ণ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পায় ইসরায়েল। এরপর বেশ কয়েকটি যুদ্ধে ইসরায়েলের কাছে প্রচুর জমি হারায় আরব দেশগুলো।
৬৫ বছর পর ২০১২ সালে এসে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি দেখল বিশ্ববাসী, তবে ভিন্নরূপে। গত বৃহস্পতিবার ২৯ নভেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে 'পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের' মর্যাদা দিতে ভোটাভুটি হয়। এতে বিপুল ভোট পড়ে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে। ফিলিস্তিনে বয়ে যায় আনন্দের ধারা। তাদের ছবি ধরা পড়ে রঙিন ছবিতে। বৃহস্পতিবার বেশ কিছু রাষ্ট্র ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকলেও ফিলিস্তিনের বিরোধিতা করে ইসরায়েল ও তাদের আজীবন মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। ফলাফল ফিলিস্তিনের জয়, আর ইসরায়েলের তা প্রত্যাখ্যান।
তবে বিশ্লেষকরা ইতিহাসের এই পুনরাবৃত্তিকে কাকতালীয় বলতে নারাজ। এ ব্যাপারে অভিজ্ঞ মানবাধিকার আন্দোলনকারী সাবেক ইসরায়েলি আইনপ্রণেতা মোজি রাজ বলেন, 'তারিখের এই মিল কাকতালীয় নয়। একটি ঐতিহাসিক ভুলকে শুদ্ধ করার লক্ষ্য নিয়েই তারিখটি নির্ধারণ করা হয়েছে। ৬৫ বছর আগে জাতিসংঘ একটি ইহুদি রাষ্ট্র ও একটি আরব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু তা কখনোই হয়নি। আজ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির মাধ্যমে আমরা ইতিহাসের সেই দাবি পূরণ করতে যাচ্ছি।'
জাতিসংঘে 'পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের' স্বীকৃতি পাওয়ায় আগামীতে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়া অনেক সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইসরায়েলের অনেক বাসিন্দাই এখন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অস্তিত্ব স্বীকার করে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত। কারণ নিজেদের সংগ্রামের ইতিহাসই তাদের ফিলিস্তিনিদের সংগ্রামের স্বীকৃতি দিতে উদ্বুদ্ধ করছে। বৃহস্পতিবার একদল শান্তিবাদী ইসরায়েলি তেল আবিব জাদুঘরের কাছে ফিলিস্তিনিদের পক্ষ নিয়ে মিছিল করে। ১৯৪৮ সালে এই জাদুঘরের সামনে থেকেই ইসরায়েল রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়েছিল। ইসরায়েলের ইয়েদিয়ৎ আহরনৎ পত্রিকার প্রবীণ কলামিস্ট ইটান হেবার বলেন, 'ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতা সংগ্রামের সেরা শিক্ষক আমরাই। জায়নবাদী আন্দোলনের ইতিহাস থেকেই তারা সতর্ক পাঠ নিয়েছে।' সূত্র : এপি।
১৯৪৭ সালের ২৯ নভেম্বর ব্রিটিশ শাসিত ফিলিস্তিনকে দুই ভাগ করে এর এক ভাগে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবে জাতিসংঘে ভোটাভুটি হয়। এ দিন ইসরায়েলের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পড়ে। ভোটে জয়ের পর উল্লসিত ইসরায়েলিদের ওই সাদাকালো ছবিটি তোলা হয়। ফিলিস্তিনিরা জাতিসংঘের ওই ভোটের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছিল। ওই ভোটের ধারাবাহিকতায় ১৯৪৯ সালে পূর্ণ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পায় ইসরায়েল। এরপর বেশ কয়েকটি যুদ্ধে ইসরায়েলের কাছে প্রচুর জমি হারায় আরব দেশগুলো।
৬৫ বছর পর ২০১২ সালে এসে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি দেখল বিশ্ববাসী, তবে ভিন্নরূপে। গত বৃহস্পতিবার ২৯ নভেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে 'পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের' মর্যাদা দিতে ভোটাভুটি হয়। এতে বিপুল ভোট পড়ে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে। ফিলিস্তিনে বয়ে যায় আনন্দের ধারা। তাদের ছবি ধরা পড়ে রঙিন ছবিতে। বৃহস্পতিবার বেশ কিছু রাষ্ট্র ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকলেও ফিলিস্তিনের বিরোধিতা করে ইসরায়েল ও তাদের আজীবন মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। ফলাফল ফিলিস্তিনের জয়, আর ইসরায়েলের তা প্রত্যাখ্যান।
তবে বিশ্লেষকরা ইতিহাসের এই পুনরাবৃত্তিকে কাকতালীয় বলতে নারাজ। এ ব্যাপারে অভিজ্ঞ মানবাধিকার আন্দোলনকারী সাবেক ইসরায়েলি আইনপ্রণেতা মোজি রাজ বলেন, 'তারিখের এই মিল কাকতালীয় নয়। একটি ঐতিহাসিক ভুলকে শুদ্ধ করার লক্ষ্য নিয়েই তারিখটি নির্ধারণ করা হয়েছে। ৬৫ বছর আগে জাতিসংঘ একটি ইহুদি রাষ্ট্র ও একটি আরব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু তা কখনোই হয়নি। আজ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির মাধ্যমে আমরা ইতিহাসের সেই দাবি পূরণ করতে যাচ্ছি।'
জাতিসংঘে 'পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের' স্বীকৃতি পাওয়ায় আগামীতে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়া অনেক সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইসরায়েলের অনেক বাসিন্দাই এখন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অস্তিত্ব স্বীকার করে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত। কারণ নিজেদের সংগ্রামের ইতিহাসই তাদের ফিলিস্তিনিদের সংগ্রামের স্বীকৃতি দিতে উদ্বুদ্ধ করছে। বৃহস্পতিবার একদল শান্তিবাদী ইসরায়েলি তেল আবিব জাদুঘরের কাছে ফিলিস্তিনিদের পক্ষ নিয়ে মিছিল করে। ১৯৪৮ সালে এই জাদুঘরের সামনে থেকেই ইসরায়েল রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়েছিল। ইসরায়েলের ইয়েদিয়ৎ আহরনৎ পত্রিকার প্রবীণ কলামিস্ট ইটান হেবার বলেন, 'ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতা সংগ্রামের সেরা শিক্ষক আমরাই। জায়নবাদী আন্দোলনের ইতিহাস থেকেই তারা সতর্ক পাঠ নিয়েছে।' সূত্র : এপি।
No comments