ভণ্ড পীর-ফকিরের উৎপাত-কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে
প্রতারণার সব অভিনব কৌশল বের করছে তথাকথিত পীর-ফকিররা। বৃহস্পতিবার কালের কণ্ঠে দুজন ভণ্ড সাধকের কর্মকাণ্ড নিয়ে একটি দীর্ঘ প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছে, যা দেশের অসংখ্য মানুষের দৃষ্টি কেড়েছে। কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার কথিত এক সাধক ফকির স্বেচ্ছায় কবরবাস নিয়েছেন।
মুক্তু ফকির নামের তথাকথিত ওই সাধক অস্বাভাবিক সব আচরণ করে মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার জন্যই বসতঘরে কবর খুঁড়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছেন বলে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন দাবি করেছে। অন্যদিকে হবিগঞ্জে কয়েক মাস আগে এক 'জিনের বাদশাহ' আবির্ভূত হয়েছে। সে বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে সহজ-সরল মহিলাদের কাছে নিজেকে কামরূপ-কামাখ্যার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, তান্ত্রিকজগতের শিরোমণি ও জিনের বাদশাহ এবং কালীসাধক বলে পরিচয় দিতে থাকে এবং সেই সুবাদে বেশ কিছু মানুষের কাছ থেকে প্রতারণা করে অর্থ ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেয়। গত মঙ্গলবার রাতে এক দম্পতিকে সোনার খনি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অজ্ঞান করে সর্বস্ব নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতার কাছে সে ধরা পড়ে। দেখা যায়, সরল বিশ্বাসী অনেক মানুষ এই কথিত তান্ত্রিকের কাছে নিজেদের অর্থ-স্বর্ণালংকার খুইয়েছে।
এসব ভণ্ড পীর-সাধক-তান্ত্রিকের দ্বারা প্রতারিত হওয়ার ঘটনা বাংলাদেশে নতুন নয়। হামেশাই সরল বিশ্বাসী মানুষের বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণীর প্রতারক মানুষের মাথায় বাড়ি দিচ্ছে। কখনো অধিক সম্পত্তি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন, কখনো অদৃশ্য শক্তির দ্বারা চিকিৎসা করে রোগবালাই দূর করে দেওয়া, কখনো স্বামী বা ছেলেকে বিদেশ থেকে সুস্থ শরীরে ফিরিয়ে এনে দেওয়ার নাম করে প্রতারণা চলছে। জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সভ্যতার বিকাশের সঙ্গে কোথায় এদের উৎপাত কমবে, তা না হয়ে বাংলাদেশে এদের উৎপাত যেন ক্রমে বেড়েই চলেছে। এসব ভণ্ড-প্রতারকের বিরুদ্ধে এখন কঠিন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। এসব ভণ্ড পীর-ফকির সাধারণত তাদের অপতৎপরতায় ধর্মকে ব্যবহার করে থাকে। তাই সমাজের সচেতন অংশ এবং সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে। প্রকৃতপক্ষে সব ধর্মে বিশ্বাসী লোকজন এ ধরনের পীর-ফকিরদের সমর্থন করে বলে আমরা বিশ্বাস করি না। বাংলা সাহিত্যে কবি-লেখকরা এসব পীর-ফকিরের বিরুদ্ধে বহুকাল ধরে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপের মধ্য দিয়ে প্রতিবাদ করে আসছেন। কিন্তু বিশাল এই জনপদে কবি-সাহিত্যিকদের সেই ডাক খুব কম মানুষের কানে গিয়ে পৌঁছেছে। তাই এখন আইনগত বল প্রয়োগ করে এদের উচ্ছেদ করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে জনগণ যেন এসব ভণ্ডের প্রতি যুক্তিহীন বিশ্বাস ও আবেগতাড়িত হয়ে প্রতারিত না হয়, সে জন্য ব্যাপক প্রচার চালানো দরকার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উচিত, যেখানেই পীর-ফকির বা সাধু-সন্ন্যাসীর সন্ধান পাওয়া যাবে, সেখানেই দ্রুত একটি তদন্তের ব্যবস্থা করা।
এসব ভণ্ড পীর-সাধক-তান্ত্রিকের দ্বারা প্রতারিত হওয়ার ঘটনা বাংলাদেশে নতুন নয়। হামেশাই সরল বিশ্বাসী মানুষের বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণীর প্রতারক মানুষের মাথায় বাড়ি দিচ্ছে। কখনো অধিক সম্পত্তি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন, কখনো অদৃশ্য শক্তির দ্বারা চিকিৎসা করে রোগবালাই দূর করে দেওয়া, কখনো স্বামী বা ছেলেকে বিদেশ থেকে সুস্থ শরীরে ফিরিয়ে এনে দেওয়ার নাম করে প্রতারণা চলছে। জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সভ্যতার বিকাশের সঙ্গে কোথায় এদের উৎপাত কমবে, তা না হয়ে বাংলাদেশে এদের উৎপাত যেন ক্রমে বেড়েই চলেছে। এসব ভণ্ড-প্রতারকের বিরুদ্ধে এখন কঠিন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। এসব ভণ্ড পীর-ফকির সাধারণত তাদের অপতৎপরতায় ধর্মকে ব্যবহার করে থাকে। তাই সমাজের সচেতন অংশ এবং সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে। প্রকৃতপক্ষে সব ধর্মে বিশ্বাসী লোকজন এ ধরনের পীর-ফকিরদের সমর্থন করে বলে আমরা বিশ্বাস করি না। বাংলা সাহিত্যে কবি-লেখকরা এসব পীর-ফকিরের বিরুদ্ধে বহুকাল ধরে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপের মধ্য দিয়ে প্রতিবাদ করে আসছেন। কিন্তু বিশাল এই জনপদে কবি-সাহিত্যিকদের সেই ডাক খুব কম মানুষের কানে গিয়ে পৌঁছেছে। তাই এখন আইনগত বল প্রয়োগ করে এদের উচ্ছেদ করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে জনগণ যেন এসব ভণ্ডের প্রতি যুক্তিহীন বিশ্বাস ও আবেগতাড়িত হয়ে প্রতারিত না হয়, সে জন্য ব্যাপক প্রচার চালানো দরকার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উচিত, যেখানেই পীর-ফকির বা সাধু-সন্ন্যাসীর সন্ধান পাওয়া যাবে, সেখানেই দ্রুত একটি তদন্তের ব্যবস্থা করা।
No comments