তাজরীন গার্মেন্টে আগুন-তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি চায় যুক্তরাষ্ট্র by মেহেদী হাসান
ঢাকার অদূরে সাভারের আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় ভয়াবহ আগুনের ঘটনার তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির শ্রমমন্ত্রী হিলডা এল সলিস এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান। যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বিভাগ গতকাল শুক্রবার ওই বিবৃতি প্রকাশ করে।
যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমমন্ত্রী হিলডা এল সলিস তাঁর বিবৃতিতে বলেন, 'গত শনিবার বাংলাদেশ তার ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ শিল্প দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। তাজরীন ফ্যাশনস গার্মেন্ট কারখানায় বিধ্বংসী আগুনে শতাধিক নিহত ও আরো অনেকে আহত হয়েছেন। রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনার সঙ্গে আমিও বাংলাদেশের জনগণ ও প্রিয়জন হারানো পরিবারগুলোকে আন্তরিক সমবেদনা জানাই।'
হিলডা এল সলিস বলেন, 'এক শতকেরও বেশি বছর আগে ১৯১১ সালের মার্চ মাসে নিউ ইয়র্ক সিটির ট্রায়াঙ্গাল শার্টওয়েস্ট কারখানায় আগুনে ১৪৬ জন নিহত হয়েছিলেন। নিহতদের বেশির ভাগই ছিলেন তরুণী। ওই আগুন ছিল আমাদের সতর্ক হওয়ার বার্তা।'
হিলডা এল সলিস আরো বলেন, শার্টওয়েস্ট কারখানায় ওই আগুনের পর কর্মীদের রক্ষা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি, কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাজনিত অধিকার থেকে শুরু করে সংগঠিত হওয়ার ও দরকষাকষি করার অধিকারকে জোরদার করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমমন্ত্রী বলেন, 'তাজরীন ফ্যাশনস কারখানায় আগুন বাংলাদেশকে এবং এ দেশের পোশাক কারখানা থেকে সরবরাহ করা আন্তর্জাতিক অনেক ক্রেতার জন্যও জেগে ওঠার বার্তা।'
তাজরীন ফ্যাশনস গার্মেন্ট কারখানার আগুন প্রসঙ্গে শ্রমমন্ত্রী বলেন, 'এর তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তি হওয়া উচিত।'
হিলডা এল সলিস বলেন, তাজরীনের ওই মর্মান্তিক ঘটনা বাংলাদেশি কর্মীদের অধিকার আদায়ের পথে যাতে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয় তা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম দপ্তর কারিগরি দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা দিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ ও সহায়তা করতে প্রস্তুত।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, গত শনিবার আশুলিয়ায় পোশাক শিল্পকারখানায় ভয়াবহ আগুনের ঘটনা বিশ্বজুড়ে সংবাদ শিরোনাম হয়েছে। ফলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প খাত সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নও বাংলাদেশে আগুনের ঘটনায় শোক প্রকাশ করে তৈরি পোশাক শিল্প খাতে নিরাপত্তা ও কর্মপরিবেশ উন্নয়নের তাগিদ দিয়েছে।
হিলডা এল সলিস বলেন, 'এক শতকেরও বেশি বছর আগে ১৯১১ সালের মার্চ মাসে নিউ ইয়র্ক সিটির ট্রায়াঙ্গাল শার্টওয়েস্ট কারখানায় আগুনে ১৪৬ জন নিহত হয়েছিলেন। নিহতদের বেশির ভাগই ছিলেন তরুণী। ওই আগুন ছিল আমাদের সতর্ক হওয়ার বার্তা।'
হিলডা এল সলিস আরো বলেন, শার্টওয়েস্ট কারখানায় ওই আগুনের পর কর্মীদের রক্ষা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি, কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাজনিত অধিকার থেকে শুরু করে সংগঠিত হওয়ার ও দরকষাকষি করার অধিকারকে জোরদার করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমমন্ত্রী বলেন, 'তাজরীন ফ্যাশনস কারখানায় আগুন বাংলাদেশকে এবং এ দেশের পোশাক কারখানা থেকে সরবরাহ করা আন্তর্জাতিক অনেক ক্রেতার জন্যও জেগে ওঠার বার্তা।'
তাজরীন ফ্যাশনস গার্মেন্ট কারখানার আগুন প্রসঙ্গে শ্রমমন্ত্রী বলেন, 'এর তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তি হওয়া উচিত।'
হিলডা এল সলিস বলেন, তাজরীনের ওই মর্মান্তিক ঘটনা বাংলাদেশি কর্মীদের অধিকার আদায়ের পথে যাতে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয় তা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম দপ্তর কারিগরি দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা দিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ ও সহায়তা করতে প্রস্তুত।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, গত শনিবার আশুলিয়ায় পোশাক শিল্পকারখানায় ভয়াবহ আগুনের ঘটনা বিশ্বজুড়ে সংবাদ শিরোনাম হয়েছে। ফলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প খাত সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নও বাংলাদেশে আগুনের ঘটনায় শোক প্রকাশ করে তৈরি পোশাক শিল্প খাতে নিরাপত্তা ও কর্মপরিবেশ উন্নয়নের তাগিদ দিয়েছে।
No comments