ফিলিস্তিনজুড়ে উল্লাস ‘সুড়ঙ্গের শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি’
স্বাধীন একটি রাষ্ট্র পাওয়ার স্বপ্ন ফিলিস্তিনিদের বহু দিনের। তাদের এই স্বপ্নপূরণের পথ সুগম করেছে জাতিসংঘ। ফিলিস্তিনকে দিয়েছে পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের স্বীকৃতি। এই খবর শুনে গত বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনজুড়ে উল্লাসে ফেটে পড়ে লাখো ফিলিস্তিনি।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে চলছিল ফিলিস্তিনের ভাগ্য নির্ধারণের জন্য ভোট গ্রহণ। পশ্চিম তীরের রামাল্লায় ইয়াসির আরাফাত স্কয়ারে বিশাল পর্দায় সরাসরি দেখানো হচ্ছিল তা। স্কয়ারে তখন হাজারো ফিলিস্তিনি উদ্গ্রীব। এত এত মানুষ জড়ো হয়েছে, তবু বিরাজ করছিল সুনসান নীরবতা। সবার মধ্যে চাপা উৎকণ্ঠা। একপর্যায়ে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ঘোষণা করা হয়, ফিলিস্তিনকে ১৩৮-৯ ভোটে পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের অনুমোদন দেওয়া হলো। সঙ্গে সঙ্গে চত্বরে আনন্দের ফোয়ারা বয়ে চলে। ফিলিস্তিনিরা লাফিয়ে ওঠে। এ সময় ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে গোটা চত্বর। একজন আরেকজনকে বুকে জড়িয়ে ধরে। পোড়ায় আতশবাজি।
রশিদ আল-কর নামের (৩৯) এক ব্যক্তি এএফপিকে বলেন, ‘আমরা আনন্দিত। কারণ, আমরা নৈতিক বিজয় লাভ করেছি। জানি যে, স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পেতে আরও কাঠখড় পোড়াতে হবে। যেতে হবে বহু দূর। এটা ভেবেই বেশ ভালো লাগছে, আমাদের যাত্রা সুগম করবে জাতিসংঘের এই স্বীকৃতি।’
ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক লায়লা জামান নামের এক নারী তাঁর হাতে থাকা ফিলিস্তিনের পতাকা সজোরে নাড়ছিলেন। তিনি প্রায় এক নিঃশ্বাসে বলেন, ‘কী যে খুশি লাগছে। মন আমার উতলা। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। মনে হচ্ছে, আমরা অন্ধকার সুড়ঙ্গের শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি।’
এতহার আল-আসমার নামের এক নারী শিক্ষক বলেন, ‘এমন একটা ঐতিহাসিক মুহূর্তের জন্য কত দিন প্রতীক্ষায় ছিলাম। ভেবেছিলাম, এমন দিন হয়তো সত্যি আসবে না আমাদের জীবনে। কিন্তু না, শেষমেশ সেই মুহূর্ত এসেছে।’
বাসাম বারাহ নামের এক ফিলিস্তিনি টেলিভিশন দেখছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি সাধারণত রাত জাগি না। কিন্তু আজ আমি ঘুমাতে যাইনি। টেলিভিশনের পর্দার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। দেখতে চেয়েছিলাম, কারা আমাদের পক্ষে আছে, আর কারা বিপক্ষে।’
ইবাল ইয়াসিন নামের একজন বলেন, ‘এটা ভেবে ভালো লাগছে যে, একদিন অন্তত আমাদের সন্তানেরা স্বাধীন ফিলিস্তিনে বসবাস করবে।’ এএফপি।
রশিদ আল-কর নামের (৩৯) এক ব্যক্তি এএফপিকে বলেন, ‘আমরা আনন্দিত। কারণ, আমরা নৈতিক বিজয় লাভ করেছি। জানি যে, স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পেতে আরও কাঠখড় পোড়াতে হবে। যেতে হবে বহু দূর। এটা ভেবেই বেশ ভালো লাগছে, আমাদের যাত্রা সুগম করবে জাতিসংঘের এই স্বীকৃতি।’
ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক লায়লা জামান নামের এক নারী তাঁর হাতে থাকা ফিলিস্তিনের পতাকা সজোরে নাড়ছিলেন। তিনি প্রায় এক নিঃশ্বাসে বলেন, ‘কী যে খুশি লাগছে। মন আমার উতলা। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। মনে হচ্ছে, আমরা অন্ধকার সুড়ঙ্গের শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি।’
এতহার আল-আসমার নামের এক নারী শিক্ষক বলেন, ‘এমন একটা ঐতিহাসিক মুহূর্তের জন্য কত দিন প্রতীক্ষায় ছিলাম। ভেবেছিলাম, এমন দিন হয়তো সত্যি আসবে না আমাদের জীবনে। কিন্তু না, শেষমেশ সেই মুহূর্ত এসেছে।’
বাসাম বারাহ নামের এক ফিলিস্তিনি টেলিভিশন দেখছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি সাধারণত রাত জাগি না। কিন্তু আজ আমি ঘুমাতে যাইনি। টেলিভিশনের পর্দার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। দেখতে চেয়েছিলাম, কারা আমাদের পক্ষে আছে, আর কারা বিপক্ষে।’
ইবাল ইয়াসিন নামের একজন বলেন, ‘এটা ভেবে ভালো লাগছে যে, একদিন অন্তত আমাদের সন্তানেরা স্বাধীন ফিলিস্তিনে বসবাস করবে।’ এএফপি।
No comments