দুই সপ্তাহের মধ্যে গণভোট হবে-মিসরে খসড়া সংবিধান অনুমোদিত বিরোধীদের প্রত্যাখ্যান
মিসরের সাংবিধানিক পরিষদ গতকাল শুক্রবার খসড়া সংবিধান অনুমোদন করেছে। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য খসড়াটি এখন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির কাছে পাঠানো হবে। তিনি অনুমোদন দিলে দুই সপ্তাহের মধ্যে এর ওপর গণভাট নেওয়া হবে।
তবে বাক ও ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং নারীর অধিকার রক্ষিত হয়নি_এ অভিযোগে বিরোধীরা খসড়া সংবিধান প্রত্যাখ্যান করেছে। বাম ও উদারপন্থী এবং খ্রিস্টানরা খসড়া সংবিধানে ভোটদানেও বিরত ছিল। মুরসির একচ্ছত্র ক্ষমতার ঘোষণার পর 'বিতর্কিত' সংবিধান অনুমোদন করায় দেশজুড়ে বড় ধরনের বিক্ষোভের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতভর সাংবিধানিক পরিষদের অধিবেশন চলে। শেষে গতকাল সকালে খসড়া সংবিধান অনুমোদন পায়। সাংবিধানিক পরিষদের চেয়ারম্যান হোসসাম আল গিরানি এ তথ্য জানান। উদার, বামপন্থী ও খ্রিস্টান সদস্যরা বাদে সাংবিধানিক পরিষদে উপস্থিত সব সদস্য খসড়া সংবিধানের পক্ষে ভোট দেন। বিরোধীদের অভিযোগ, সংবিধানের খসড়ায় বাক ও ধর্মীয় স্বাধীনতাকে দণ্ডবিধির আওতায় আনা হয়েছে। এতে নারী ও পুরুষের সমঅধিকারবিষয়ক কোনো ধারাও সংযোজিত হয়নি।
সাংবিধানিক পরিষদ খসড়া সংবিধানের ২৩৪টি ধারার সবই অনুমোদন করেছে। মিসরের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায়, খসড়ায় ইসলামকে মিসরের রাষ্ট্রীয় ধর্ম এবং ইসলামী শরিয়া আইনকে 'আইনের প্রধান ভিত্তি' ধরা হয়েছে। মিসরের সাবেক স্বৈরশাসক হোসনি মুবারকের সময়কার সংবিধানেও এ বিষয়গুলো ছিল। খ্রিস্ট ও ইহুদি ধর্মের অনুসারীদের জন্যও তাদের ধর্মীয় বিধিবিধানকেই আইনের ভিত্তি ধরা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট চার বছর করে দুই মেয়াদে আট বছর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন বলেও বিধান রাখা হয়েছে। পারিবারিক মূল্যবোধকে প্রাধান্য দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। তবে নারীর অধিকার বা নারী-পুরুষ সমঅধিকারবিষয়ক সুস্পষ্ট কোনো ধারা নেই খসড়া সংবিধানে। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মিসর শাখার পরিচালক হেবা মোরায়েফ বলেন, 'খসড়ার কিছু কিছু ধারার সঙ্গে দণ্ডবিধির মিল আছে। কী কী করা যাবে না, তা আপনি নির্দিষ্ট করতে পারেন না। কেবল অধিকার ও সীমাবদ্ধতাই চিহ্নিত করা যাবে।'
গত ২২ নভেম্বর মুরসির নতুন অধ্যাদেশের ঘোষণা আসার পর থেকেই মিসরে বিক্ষোভ চলছে। এখন পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে মুসরির সমর্থকদের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছে। এরই মধ্যে খসড়া সংবিধান অনুমোদিত হওয়ায় সহিংসতা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিরোধীরা অভিযোগ করছে, দ্রুত গণভোটের আয়োজন করার জন্যই খসড়ার কাজ তড়িঘড়ি করে শেষ করে ফেলা হয়েছে। গতকাল জুমার নামাজের পর বড় ধরনের বিক্ষোভের ডাক দেয় তারা। আজ শনিবারও বিক্ষোভের কথা রয়েছে। মিসরের বেসরকারি টেলিভিশনগুলো আগামী বুধবার বাকস্বাধীনতা খর্ব হওয়ার অভিযোগ তুলে মামলা করতে পারে। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
গত বৃহস্পতিবার রাতভর সাংবিধানিক পরিষদের অধিবেশন চলে। শেষে গতকাল সকালে খসড়া সংবিধান অনুমোদন পায়। সাংবিধানিক পরিষদের চেয়ারম্যান হোসসাম আল গিরানি এ তথ্য জানান। উদার, বামপন্থী ও খ্রিস্টান সদস্যরা বাদে সাংবিধানিক পরিষদে উপস্থিত সব সদস্য খসড়া সংবিধানের পক্ষে ভোট দেন। বিরোধীদের অভিযোগ, সংবিধানের খসড়ায় বাক ও ধর্মীয় স্বাধীনতাকে দণ্ডবিধির আওতায় আনা হয়েছে। এতে নারী ও পুরুষের সমঅধিকারবিষয়ক কোনো ধারাও সংযোজিত হয়নি।
সাংবিধানিক পরিষদ খসড়া সংবিধানের ২৩৪টি ধারার সবই অনুমোদন করেছে। মিসরের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায়, খসড়ায় ইসলামকে মিসরের রাষ্ট্রীয় ধর্ম এবং ইসলামী শরিয়া আইনকে 'আইনের প্রধান ভিত্তি' ধরা হয়েছে। মিসরের সাবেক স্বৈরশাসক হোসনি মুবারকের সময়কার সংবিধানেও এ বিষয়গুলো ছিল। খ্রিস্ট ও ইহুদি ধর্মের অনুসারীদের জন্যও তাদের ধর্মীয় বিধিবিধানকেই আইনের ভিত্তি ধরা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট চার বছর করে দুই মেয়াদে আট বছর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন বলেও বিধান রাখা হয়েছে। পারিবারিক মূল্যবোধকে প্রাধান্য দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। তবে নারীর অধিকার বা নারী-পুরুষ সমঅধিকারবিষয়ক সুস্পষ্ট কোনো ধারা নেই খসড়া সংবিধানে। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মিসর শাখার পরিচালক হেবা মোরায়েফ বলেন, 'খসড়ার কিছু কিছু ধারার সঙ্গে দণ্ডবিধির মিল আছে। কী কী করা যাবে না, তা আপনি নির্দিষ্ট করতে পারেন না। কেবল অধিকার ও সীমাবদ্ধতাই চিহ্নিত করা যাবে।'
গত ২২ নভেম্বর মুরসির নতুন অধ্যাদেশের ঘোষণা আসার পর থেকেই মিসরে বিক্ষোভ চলছে। এখন পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে মুসরির সমর্থকদের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছে। এরই মধ্যে খসড়া সংবিধান অনুমোদিত হওয়ায় সহিংসতা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিরোধীরা অভিযোগ করছে, দ্রুত গণভোটের আয়োজন করার জন্যই খসড়ার কাজ তড়িঘড়ি করে শেষ করে ফেলা হয়েছে। গতকাল জুমার নামাজের পর বড় ধরনের বিক্ষোভের ডাক দেয় তারা। আজ শনিবারও বিক্ষোভের কথা রয়েছে। মিসরের বেসরকারি টেলিভিশনগুলো আগামী বুধবার বাকস্বাধীনতা খর্ব হওয়ার অভিযোগ তুলে মামলা করতে পারে। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments