আল-জাজিরার বিশ্লেষণ- ফিলিস্তিন সাহস নিয়ে কি আইসিসিতে যাবে?
দীর্ঘ ১৮ মাসের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পর সফল হলেন ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ গত বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনকে ‘পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র’র মর্যাদা দিয়েছে।
ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের সদস্যপদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন আব্বাস। তবে সেটা পেতে হলে শুধু সাধারণ পরিষদের সম্মতি আদায় করলে চলবে না, নিরাপত্তা পরিষদেরও সায় লাগবে। নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্যের মধ্যে আছে যুক্তরাষ্ট্র। আর নিরাপত্তা পরিষদে কোনো প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়ার জন্য এই পাঁচ স্থায়ী সদস্যের যেকোনো একটির ভেটোই যথেষ্ট। ইসরায়েলকে রক্ষায় প্রায়ই ভেটো প্রয়োগ করে ওয়াশিংটন। ইসরায়েলের এই ঘনিষ্ঠ মিত্র যে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের সদস্যপদ দিতে চায় না, সে কথা তারা প্রকাশ্যে জানিয়েও দিয়েছে।
তাহলে এখন ফিলিস্তিনের ভবিষ্যৎ করণীয় কী। পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা পেলেও তারা এখনো স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র নয়। সে জন্য প্রয়োজন হবে পূর্ণ সদস্যপদ।
তবে পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদাবলেই জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার সদস্য হতে পারবে ফিলিস্তিন। এর মধ্যে অন্যতম আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। আইসিসির প্রতিষ্ঠা-চুক্তি ‘রোম সংবিধি’ অনুসমর্থন করলে ফিলিস্তিন তাদের ভূখণ্ডে ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে ওই আদালতে অভিযোগ দায়ের করতে পারবে। এর আগে ২০০৯ সালে আইসিসিতে এ ধরনের অভিযোগ তুলে সুবিধা করতে পারেনি ফিলিস্তিন। কেননা, তখন রাষ্ট্রের মর্যাদা ফিলিস্তিনের ছিল না।
তবে ফিলিস্তিন যাতে আইসিসিতে যোগ না দেয়, সে জন্য আগাম হুমকি দিয়ে রেখেছে ইসরায়েল। দেশটির অনেক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তখন ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবেন তাঁরা।
ফিলিস্তিন আইসিসিতে যাবে কি না, তা এখনো প্রকাশ্যে বলছেন না প্যালেস্টানই লিবারেশন অর্গানাইজেশন বা পিএলও নেতারা। কেননা, পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদার প্রশ্নে ভোটাভুটির আগে ইউরোপীয় অনেক দেশ বিশেষ করে যুক্তরাজ্য প্রস্তাব দিয়েছিল, তারা সমর্থন দিতে রাজি আছে, তবে ফিলিস্তিনকে কথা দিতে হবে যে তারা আইসিতিতে যোগ দেবে না।
এখন আইসিসি ছাড়াও জাতিসংঘের আরও অনেক সংস্থার সদস্যপদ পেতে পারবে ফিলিস্তিন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা যুক্তরাষ্ট্র। তাদের আইন অনুযায়ী, জাতিসংঘের কোনো সংস্থা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলে ওয়াশিংটন ওই সংস্থাকে অর্থায়ন বন্ধ করে দেবে।
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোকে বছরে আট কোটি মার্কিন ডলার দিত যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ফিলিস্তিনকে সদস্যপদ দেওয়ায় সংস্থাটিকে সেই অর্থ বাতিল করেছে ওয়াশিংটন।
তাহলে এখন ফিলিস্তিনের ভবিষ্যৎ করণীয় কী। পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা পেলেও তারা এখনো স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র নয়। সে জন্য প্রয়োজন হবে পূর্ণ সদস্যপদ।
তবে পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদাবলেই জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার সদস্য হতে পারবে ফিলিস্তিন। এর মধ্যে অন্যতম আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। আইসিসির প্রতিষ্ঠা-চুক্তি ‘রোম সংবিধি’ অনুসমর্থন করলে ফিলিস্তিন তাদের ভূখণ্ডে ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে ওই আদালতে অভিযোগ দায়ের করতে পারবে। এর আগে ২০০৯ সালে আইসিসিতে এ ধরনের অভিযোগ তুলে সুবিধা করতে পারেনি ফিলিস্তিন। কেননা, তখন রাষ্ট্রের মর্যাদা ফিলিস্তিনের ছিল না।
তবে ফিলিস্তিন যাতে আইসিসিতে যোগ না দেয়, সে জন্য আগাম হুমকি দিয়ে রেখেছে ইসরায়েল। দেশটির অনেক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তখন ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবেন তাঁরা।
ফিলিস্তিন আইসিসিতে যাবে কি না, তা এখনো প্রকাশ্যে বলছেন না প্যালেস্টানই লিবারেশন অর্গানাইজেশন বা পিএলও নেতারা। কেননা, পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদার প্রশ্নে ভোটাভুটির আগে ইউরোপীয় অনেক দেশ বিশেষ করে যুক্তরাজ্য প্রস্তাব দিয়েছিল, তারা সমর্থন দিতে রাজি আছে, তবে ফিলিস্তিনকে কথা দিতে হবে যে তারা আইসিতিতে যোগ দেবে না।
এখন আইসিসি ছাড়াও জাতিসংঘের আরও অনেক সংস্থার সদস্যপদ পেতে পারবে ফিলিস্তিন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা যুক্তরাষ্ট্র। তাদের আইন অনুযায়ী, জাতিসংঘের কোনো সংস্থা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলে ওয়াশিংটন ওই সংস্থাকে অর্থায়ন বন্ধ করে দেবে।
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোকে বছরে আট কোটি মার্কিন ডলার দিত যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ফিলিস্তিনকে সদস্যপদ দেওয়ায় সংস্থাটিকে সেই অর্থ বাতিল করেছে ওয়াশিংটন।
No comments