এ দেশেই আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা সম্ভব- বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন!
জিন বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলম ও তাঁর সহকর্মী গবেষক দলকে প্রাণঢালা অভিনন্দন: উদ্ভিদবিজ্ঞান গবেষণার ক্ষেত্রে তাঁরা অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন।
এক বছরের নিরলস অধ্যবসায় ও পরিশ্রমের পর তাঁরা ম্যাক্রোফমিনা ফাসিওলিনা নামের একজাতীয় ছত্রাকের জীবনরহস্য উন্মোচন করেছেন, যা এখন কৃষি গবেষণার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।
বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের অনেকে ইতিপূর্বে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক ও কারিগরি সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় সাফল্য অর্জন করেছেন। কিন্তু এই গবেষণাটি সম্পন্ন হয়েছে বাংলাদেশের মাটিতেই এবং তা পরিচালিত হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি গবেষণা প্রকল্পের আওতায়। বাংলাদেশে নানা কারণে বৈজ্ঞানিক গবেষণার সংস্কৃতি পিছিয়ে রয়েছে। এ রকম একটি উন্নয়নশীল দেশে সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সরকারি অর্থায়ন, ব্যবস্থাপনা ও লোকবল দিয়েই যে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা সম্ভব—এটা প্রমাণিত হলো এই ঘটনার মধ্য দিয়ে। মাকসুদুল আলম এর আগে পাটের জিনগত বৈশিষ্ট্য নিরূপণ ও বিশ্লেষণে যে সাফল্য দেখিয়েছেন, সরকার সেটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে পাটবিষয়ক অধিকতর মৌলিক ও ফলিত গবেষণার উদ্যোগ নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দায়িত্ব পালন করেছে। কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর ভূমিকা এ ক্ষেত্রে বিশেষভাগে উল্লেখযোগ্য। বৈজ্ঞানিক গবেষণা সরকারি প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে আন্তরিকতা, উদ্যম, সততা ও নিষ্ঠার একটি উজ্জ্বল, অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে এই উদ্যোগ।
ছত্রাকের কারণে ফসল উৎপাদন কী প্রক্রিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তা পদ্ধতিগতভাবে নিরূপণের লক্ষ্যে উন্নত বিশ্বের বিজ্ঞানীরা দীর্ঘ সময় ধরে গবেষণা করেছেন, কিন্তু সফল হননি। সে বিবেচনায় বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদের এই সাফল্যের মাত্রা বৈশ্বিক। আরও একটি কারণে এটি একটি আন্তর্জাতিক সাফল্য; তা হলো, ম্যাক্রোফমিনা ফাসিওলিনা নামের ছত্রাক শুধু আমাদের অঞ্চলের ফসলের জন্য ক্ষতিকর নয়, বরং পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে থাকা প্রায় ৫০০ প্রজাতির উদ্ভিদের জন্য ক্ষতিকর। আমাদের মনোযোগ এর প্রতি বিশেষভাবে নিবদ্ধ এ কারণে যে এ দেশের সোনালি আঁশ হিসেবে পরিচিত পাট এই ছত্রাকের আক্রমণে ৩০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত উৎপাদনশীলতা হারায়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের পাটবিষয়ক মৌলিক ও ফলিত গবেষণা প্রকল্পের আওতায় এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে বটে; কিন্তু এটা আমাদের ও বিশ্বের অনেক দেশের মানুষের অনেক কাজে লাগবে। কারণ, এই ছত্রাক ধান, গম, ভুট্টা, সয়াবিন, তুলা, যবসহ আরও অনেক প্রধান ফসলের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
মাকসুদুল আলমের সর্বশেষ এই গবেষণার ফল এ দেশের কৃষিবিজ্ঞানীদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এখন তাঁরা চেষ্টা করবেন এমন জাতের ফসল উদ্ভাবনের, যেগুলো ম্যাক্রোফমিনা ফাসিওলিনা ছত্রাকের আক্রমণ সহ্য করে টিকে থাকতে সক্ষম হবে। এ ক্ষেত্রেও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। এই গবেষণার ফলাফলের মালিকানা বা পেটেন্ট যেন বাংলাদেশের হয়, সেটাও নিশ্চিত করা জরুরি।
বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের অনেকে ইতিপূর্বে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক ও কারিগরি সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় সাফল্য অর্জন করেছেন। কিন্তু এই গবেষণাটি সম্পন্ন হয়েছে বাংলাদেশের মাটিতেই এবং তা পরিচালিত হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি গবেষণা প্রকল্পের আওতায়। বাংলাদেশে নানা কারণে বৈজ্ঞানিক গবেষণার সংস্কৃতি পিছিয়ে রয়েছে। এ রকম একটি উন্নয়নশীল দেশে সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সরকারি অর্থায়ন, ব্যবস্থাপনা ও লোকবল দিয়েই যে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা সম্ভব—এটা প্রমাণিত হলো এই ঘটনার মধ্য দিয়ে। মাকসুদুল আলম এর আগে পাটের জিনগত বৈশিষ্ট্য নিরূপণ ও বিশ্লেষণে যে সাফল্য দেখিয়েছেন, সরকার সেটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে পাটবিষয়ক অধিকতর মৌলিক ও ফলিত গবেষণার উদ্যোগ নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দায়িত্ব পালন করেছে। কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর ভূমিকা এ ক্ষেত্রে বিশেষভাগে উল্লেখযোগ্য। বৈজ্ঞানিক গবেষণা সরকারি প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে আন্তরিকতা, উদ্যম, সততা ও নিষ্ঠার একটি উজ্জ্বল, অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে এই উদ্যোগ।
ছত্রাকের কারণে ফসল উৎপাদন কী প্রক্রিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তা পদ্ধতিগতভাবে নিরূপণের লক্ষ্যে উন্নত বিশ্বের বিজ্ঞানীরা দীর্ঘ সময় ধরে গবেষণা করেছেন, কিন্তু সফল হননি। সে বিবেচনায় বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদের এই সাফল্যের মাত্রা বৈশ্বিক। আরও একটি কারণে এটি একটি আন্তর্জাতিক সাফল্য; তা হলো, ম্যাক্রোফমিনা ফাসিওলিনা নামের ছত্রাক শুধু আমাদের অঞ্চলের ফসলের জন্য ক্ষতিকর নয়, বরং পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে থাকা প্রায় ৫০০ প্রজাতির উদ্ভিদের জন্য ক্ষতিকর। আমাদের মনোযোগ এর প্রতি বিশেষভাবে নিবদ্ধ এ কারণে যে এ দেশের সোনালি আঁশ হিসেবে পরিচিত পাট এই ছত্রাকের আক্রমণে ৩০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত উৎপাদনশীলতা হারায়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের পাটবিষয়ক মৌলিক ও ফলিত গবেষণা প্রকল্পের আওতায় এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে বটে; কিন্তু এটা আমাদের ও বিশ্বের অনেক দেশের মানুষের অনেক কাজে লাগবে। কারণ, এই ছত্রাক ধান, গম, ভুট্টা, সয়াবিন, তুলা, যবসহ আরও অনেক প্রধান ফসলের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
মাকসুদুল আলমের সর্বশেষ এই গবেষণার ফল এ দেশের কৃষিবিজ্ঞানীদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এখন তাঁরা চেষ্টা করবেন এমন জাতের ফসল উদ্ভাবনের, যেগুলো ম্যাক্রোফমিনা ফাসিওলিনা ছত্রাকের আক্রমণ সহ্য করে টিকে থাকতে সক্ষম হবে। এ ক্ষেত্রেও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। এই গবেষণার ফলাফলের মালিকানা বা পেটেন্ট যেন বাংলাদেশের হয়, সেটাও নিশ্চিত করা জরুরি।
No comments