খসড়া সংবিধানের ওপর গণভোট ১৫ ডিসেম্বর
মিসরে খসড়া সংবিধানের ওপর আগামী ১৫ ডিসেম্বর গণভোট হবে। প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি গত শনিবার দেশবাসীকে এতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান। এর মধ্য দিয়ে চলমান রাজনৈতিক সংকটের অবসান হবে বলেও আশা করেন তিনি।
এ দিন মুরসির সমর্থনে রাজধানী কায়রোয় বড় ধরনের সমাবেশের আয়োজন করে ইসলামপন্থীরা।
এদিকে মুরসির সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে গতকাল রবিবার কায়রোয় সাংবিধানিক আদালতের কার্যক্রম শুরুই হতে পারেনি। পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী, সাংবিধানিক পরিষদের বৈধতার প্রশ্নে গতকাল আদালতের বসার কথা ছিল। কবে নাগাদ আদালত আবার বসতে পারে_বিচার বিভাগ এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এ ব্যাপারে কিছু জানায়নি। এই সাংবিধানিক পরিষদ গত বৃহস্পতিবার রাতভর অধিবেশন শেষে শুক্রবার সকালে খসড়া সংবিধান অনুমোদন করে। তবে পরিষদের বাম, উদারপন্থী ও খ্রিস্টান সদস্যরা ভোটদানে বিরত ছিলেন। বিরোধীদের দাবি, ২৩৪টি অনুচ্ছেদ-সংবলিত সংবিধানের এ খসড়ায় মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি চালু রাখার ঘোষণা দিয়েছে তাঁরা। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশলের মতো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোও খসড়া সংবিধানের সমালোচনা করেছে।
খসড়া সংবিধানের বিষয়ে মতামত জানাতে 'সব মিসরবাসীকে' গণভোটে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মুরসি বলেন, 'গণতান্ত্রিকব্যবস্থা প্রণয়নের লক্ষ্যে মিসরবাসী কিভাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরাই গড়ে তুলবে_তা দেখতে বিশ্ববাসী অপেক্ষা করছে।' গত ২২ নভেম্বর নিজের হাতে একচ্ছত্র ক্ষমতা রেখে অধ্যাদেশ জারির পর সংবিধানের খসড়া অনুমোদন করে এর ওপর গণভোটের তারিখ ঘোষণা করলেন মুরসি।
অন্যতম বিরোধী নেতা মোহামেদ এলবারাদি শনিবার এক টুইটার-বার্তায় বলেন, 'যে সংবিধানের ওপর ভিত্তি করে গণভোটের ডাক দিয়েছেন মুরসি, তাতে মৌলিক স্বাধীনতা এবং আন্তর্জাতিকাভাবে স্বীকৃত মূল্যবোধগুলো লঙ্ঘন করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে।'
মুরসির অধ্যাদেশ জারির পর থেকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। এখন পর্যন্ত মুরসির সমর্থকদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে দুই জন নিহত হয়। আহত হয়েছে কয়েক শ লোক। চলমান পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন ইসলামপন্থী শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে বিরোধীদের রাজনৈতিক বিভক্তি আরো তীব্র হয়ে উঠছে।
গণভোটের রায় নতুন সংবিধানের পক্ষে গেলে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন পার্লামেন্ট গঠন করতে হবে। এর মধ্য দিয়ে মিসরের সরকারব্যবস্থায় 'ঐতিহাসিক' পরিবর্তন ঘটবে। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
এদিকে মুরসির সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে গতকাল রবিবার কায়রোয় সাংবিধানিক আদালতের কার্যক্রম শুরুই হতে পারেনি। পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী, সাংবিধানিক পরিষদের বৈধতার প্রশ্নে গতকাল আদালতের বসার কথা ছিল। কবে নাগাদ আদালত আবার বসতে পারে_বিচার বিভাগ এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এ ব্যাপারে কিছু জানায়নি। এই সাংবিধানিক পরিষদ গত বৃহস্পতিবার রাতভর অধিবেশন শেষে শুক্রবার সকালে খসড়া সংবিধান অনুমোদন করে। তবে পরিষদের বাম, উদারপন্থী ও খ্রিস্টান সদস্যরা ভোটদানে বিরত ছিলেন। বিরোধীদের দাবি, ২৩৪টি অনুচ্ছেদ-সংবলিত সংবিধানের এ খসড়ায় মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি চালু রাখার ঘোষণা দিয়েছে তাঁরা। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশলের মতো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোও খসড়া সংবিধানের সমালোচনা করেছে।
খসড়া সংবিধানের বিষয়ে মতামত জানাতে 'সব মিসরবাসীকে' গণভোটে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মুরসি বলেন, 'গণতান্ত্রিকব্যবস্থা প্রণয়নের লক্ষ্যে মিসরবাসী কিভাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরাই গড়ে তুলবে_তা দেখতে বিশ্ববাসী অপেক্ষা করছে।' গত ২২ নভেম্বর নিজের হাতে একচ্ছত্র ক্ষমতা রেখে অধ্যাদেশ জারির পর সংবিধানের খসড়া অনুমোদন করে এর ওপর গণভোটের তারিখ ঘোষণা করলেন মুরসি।
অন্যতম বিরোধী নেতা মোহামেদ এলবারাদি শনিবার এক টুইটার-বার্তায় বলেন, 'যে সংবিধানের ওপর ভিত্তি করে গণভোটের ডাক দিয়েছেন মুরসি, তাতে মৌলিক স্বাধীনতা এবং আন্তর্জাতিকাভাবে স্বীকৃত মূল্যবোধগুলো লঙ্ঘন করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে।'
মুরসির অধ্যাদেশ জারির পর থেকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। এখন পর্যন্ত মুরসির সমর্থকদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে দুই জন নিহত হয়। আহত হয়েছে কয়েক শ লোক। চলমান পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন ইসলামপন্থী শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে বিরোধীদের রাজনৈতিক বিভক্তি আরো তীব্র হয়ে উঠছে।
গণভোটের রায় নতুন সংবিধানের পক্ষে গেলে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন পার্লামেন্ট গঠন করতে হবে। এর মধ্য দিয়ে মিসরের সরকারব্যবস্থায় 'ঐতিহাসিক' পরিবর্তন ঘটবে। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments