সংলাপে না আসা বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল : সিইসি
ইসির সংলাপে না আসাটা বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল। দলটির আপত্তি নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে। কোন পদ্ধতিতে আগামী নির্বাচন হবে- এই মুখ্য বিষয়ের সমাধান হলেই বিএনপি সংলাপে আসতে পারে। এ মন্তব্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের।
গতকাল রবিবার ইসির সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপের পঞ্চম দিনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সিইসি বলেন, 'আমাদের সঙ্গে বিএনপির কোনো বিরোধ নেই। নির্বাচনের সময় কী ধরনের সরকার থাকবে এর ফয়সালার জন্য সময় দরকার। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের আলোচনা চলছে এ নিয়ে। বিষয়টি মিটে গেলে বিএনপি ইসির সংলাপে আসতে পারে। প্রতিটি দলের নিজস্ব কৌশল থাকে। আমাদের সংলাপে না আসাটা বর্জন নয়। এটা সময় ও কৌশলের বিষয়।'
সিইসি বলেন, 'আমাদের আইন ও সংবিধান মেনে কাজ করতে হবে। এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। বিএনপি তাদের দাবি-আপত্তির বিষয়গুলো সংসদে গিয়েও বলতে পারে।' তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, 'আমরা বিএনপির সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের কোনো টানাপড়েন দেখছি না। আপনারা এটাকে তির্যকভাবে দেখার চেষ্টা করছেন কেন?'
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একটি চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়। চিঠির বাহক দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের জানান, তাঁরা সীমানা নির্ধারণ নিয়ে কমিশন আয়োজিত সংলাপে অংশ নেবেন না।
বিএনপির ওই চিঠিতে বলা হয়, 'বর্তমান দলীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টের এক বিতর্কিত এবং বিভক্ত রায়ের অজুহাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে নিজেরা ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান করেছে। দলীয় সরকার ক্ষমতায় রেখে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, তা জনগণ বিশ্বাস করে না। সাংবিধানিক যত বিধানই নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা ঘোষণা করুক না কেন, ক্ষমতাসীন সরকারের অসীম ক্ষমতার প্রভাব কমিশনের শেষ সাংবিধানিক স্বাধীনতাকে সীমিত করে ফেলে।'
ওই চিঠি সম্পর্কে গতকাল সিইসি বলেন, 'এটি পড়ে বোঝার উপায় নেই যে তাঁরা সংলাপে আসবেন না।' তিনি আরো বলেন, বিএনপি সংলাপে সীমানা পুনর্নির্ধারণ বিষয়ে অন্য কোনোভাবে তাদের মতামত পাঠালে তা গ্রহণ করা হবে। তিনি বিএনপির বিষয়ে এসব কথা বলার সময় 'জাতি একটি অত্যন্ত ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে' মন্তব্য করে গণমাধ্যমে তাঁর বক্তব্য যথাযথভাবে উপস্থাপন করার অনুরোধ জানান।
এর আগে ইসির সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ইসির সংলাপ হয়।
সংলাপে নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ, আবদুল মোবারক, জাবেদ আলী ও মো. শাহ নেওয়াজ, অতিরিক্ত সচিব সিরাজুল ইসলাম ও ইসি সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ধারাবাহিক এই সংলাপ আগামী বুধবার পর্যন্ত চলবে।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপের সময় নির্ধারিত রয়েছে আগামী বুধবার বিকেল ৩টা।
সিইসি বলেন, 'আমাদের সঙ্গে বিএনপির কোনো বিরোধ নেই। নির্বাচনের সময় কী ধরনের সরকার থাকবে এর ফয়সালার জন্য সময় দরকার। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের আলোচনা চলছে এ নিয়ে। বিষয়টি মিটে গেলে বিএনপি ইসির সংলাপে আসতে পারে। প্রতিটি দলের নিজস্ব কৌশল থাকে। আমাদের সংলাপে না আসাটা বর্জন নয়। এটা সময় ও কৌশলের বিষয়।'
সিইসি বলেন, 'আমাদের আইন ও সংবিধান মেনে কাজ করতে হবে। এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। বিএনপি তাদের দাবি-আপত্তির বিষয়গুলো সংসদে গিয়েও বলতে পারে।' তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, 'আমরা বিএনপির সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের কোনো টানাপড়েন দেখছি না। আপনারা এটাকে তির্যকভাবে দেখার চেষ্টা করছেন কেন?'
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একটি চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়। চিঠির বাহক দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের জানান, তাঁরা সীমানা নির্ধারণ নিয়ে কমিশন আয়োজিত সংলাপে অংশ নেবেন না।
বিএনপির ওই চিঠিতে বলা হয়, 'বর্তমান দলীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টের এক বিতর্কিত এবং বিভক্ত রায়ের অজুহাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে নিজেরা ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান করেছে। দলীয় সরকার ক্ষমতায় রেখে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, তা জনগণ বিশ্বাস করে না। সাংবিধানিক যত বিধানই নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা ঘোষণা করুক না কেন, ক্ষমতাসীন সরকারের অসীম ক্ষমতার প্রভাব কমিশনের শেষ সাংবিধানিক স্বাধীনতাকে সীমিত করে ফেলে।'
ওই চিঠি সম্পর্কে গতকাল সিইসি বলেন, 'এটি পড়ে বোঝার উপায় নেই যে তাঁরা সংলাপে আসবেন না।' তিনি আরো বলেন, বিএনপি সংলাপে সীমানা পুনর্নির্ধারণ বিষয়ে অন্য কোনোভাবে তাদের মতামত পাঠালে তা গ্রহণ করা হবে। তিনি বিএনপির বিষয়ে এসব কথা বলার সময় 'জাতি একটি অত্যন্ত ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে' মন্তব্য করে গণমাধ্যমে তাঁর বক্তব্য যথাযথভাবে উপস্থাপন করার অনুরোধ জানান।
এর আগে ইসির সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ইসির সংলাপ হয়।
সংলাপে নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ, আবদুল মোবারক, জাবেদ আলী ও মো. শাহ নেওয়াজ, অতিরিক্ত সচিব সিরাজুল ইসলাম ও ইসি সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ধারাবাহিক এই সংলাপ আগামী বুধবার পর্যন্ত চলবে।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপের সময় নির্ধারিত রয়েছে আগামী বুধবার বিকেল ৩টা।
No comments