দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেই পদ্মায় অর্থায়ন
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করলেই পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হবে- বিশ্বব্যাংকের বিশেষজ্ঞ দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ কথা বলেন। একই ধরনের কথা বলেছেন বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি অ্যালেন গোল্ডস্টেইনও।
দুদকের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি বলেন, দুদকের নেওয়া ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করবে পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের বিষয়টি। এ প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দুদককে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।
তবে মামলা করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে দুদকের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেছেন, 'আমাদের কাছে যে তথ্য আছে, সেই তথ্যগুলো কতটুকু সঠিক, তা যাচাই হচ্ছে। মামলা করতে হলে মূলত সাক্ষীসাবুদ প্রয়োজন কিংবা দালিলিক প্রমাণ লাগে। সেই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছে দুদকের অনুসন্ধানী দল।
গতকাল রবিবার বিশ্বব্যাংকের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে দুদক কর্মকর্তাদের বৈঠকের পর সরকার ও বিশ্বব্যাংক উভয় পক্ষ থেকেই পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। শনিবার দ্বিতীয়বারের মতো ঢাকায় আসে বিশ্বব্যাংকের তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ প্যানেল। এ প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সাবেক প্রধান আইনজীবী লুই গাব্রিয়েল মোরেনো ওকাম্পো। গতকাল বিকেলে দুদকের সঙ্গে বিশেষজ্ঞ দলের বৈঠকের পর বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি অ্যালেন গোল্ডস্টেইন বলেন, 'যদি তদন্তে পর্যাপ্ত অগ্রগতি থাকে, তাহলে পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের বিষয়ে আমরা আশাবাদী।' দুদকের তদন্তে অগ্রগতির বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা জানতে চেয়েছেন। এ নিয়ে দুদকের অনুসন্ধান দলের সঙ্গে আরো বৈঠক হবে বলেও তিনি জানান।
দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, 'আমাদের অনুসন্ধান দল কী কাজ করেছে, সেই বর্ণনা আমরা বিশেষজ্ঞ প্যানেলকে দিয়েছি, আমাদের বর্ণনায় মোটামুটি তারা সন্তুষ্ট। তবে তাদের বলেছি, আমাদের অনুসন্ধান কাজ চলছে।'
গোলাম রহমান জানান, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীর সাক্ষাৎকারের পর অনুসন্ধান দল তাদের তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করে কমিশনে জমা দেবে। তার ভিত্তিতেই কমিশন আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।'
জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে গোলাম রহমান বলেন, মামলা নির্ভর করছে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ওপর, প্রতিবেদন বিচার বিশ্লেষণ করেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
দুদকের আইন উপদেষ্টা আনিসুল হক বলেন, বিশ্বব্যাংকের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সঙ্গে দুদকের দ্বিতীয় দফায় করা তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দুদকের তদন্তকাজ আরো জোরালো করতে বলেছে বিশেষজ্ঞ প্যানেল। তিনি বলেন, আগামীকাল (আজ) সোমবার আরো দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এই প্যানেলের সঙ্গে আগামীকাল বিকেল ৩টায় বৈঠক রয়েছে।
তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ দলে রয়েছেন হংকংয়ের দুর্নীতিবিরোধী স্বাধীন কমিশনের সাবেক কমিশনার টিমোথি টং এবং যুক্তরাজ্যের দুর্নীতি দমন কার্যালয়ের সাবেক পরিচালক রিচার্ড অল্ডারম্যান। তাঁদের আগামীকাল পর্যন্ত ঢাকায় থাকার কথা।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করছেন দুদকের ঊর্ধ্বতন উপপরিচালক আবদুল্লা-আল-জাহিদ, মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী, গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী ও উপপরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম।
অভিযুক্ত হলেই মামলা: অর্থমন্ত্রী
দুদকের সঙ্গে বিকেলে এক ঘণ্টার বৈঠক শেষে বিশেষজ্ঞরা অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। পরে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, 'কেউ অভিযুক্ত হলেই মামলা শুরু হবে। একই সঙ্গে পদ্মা সেতুর কার্যক্রমও শুরু হবে। এতে আমরা দুই পক্ষই একমত হয়েছি।'
অর্থমন্ত্রী বলেন, 'আশা করছি ভালো কোনো সংবাদ দ্রুতই পাওয়া যাবে। যখন বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর অর্থায়নে দ্বিতীয় দফায় ফিরল, তখন আমরা ভেবেছিলাম তদন্তকাজ ও পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ একই সঙ্গে চলবে। কিন্তু বিশ্বব্যাংক বলল, তাদের দুটি প্রতিনিধিদল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, কোন প্রক্রিয়ায় তদন্তকাজ করা হচ্ছে- সেটা খতিয়ে দেখবে দুর্নীতি দমন কমিশনে। এরপরই কার্যক্রমের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।'
পদ্মা সেতুর অর্থায়নে দুর্নীতি প্রমাণিত হয়েছে কি না জানতে চাইলে মুহিত বলেন, 'এটা বলতে পারব না। দুদকই এটা ভালো বলতে পারে। তবে অভিযুক্ত হলেই মামলা শুরু হবে একই সঙ্গে পদ্মা সেতুর কার্যক্রমও শুরু হবে।'
গতকাল সন্ধ্যায় সচিবালয়ে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভীও উপস্থিত ছিলেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'কোনো ধারণানির্ভর সংবাদ পরিবেশন করবেন না। আমরা বসে নেই। কাজ করে যাচ্ছি। পদ্মা সেতুর কাজ দ্রুত শুরু করা হবে।'
উপদেষ্টা বলেন, যখন থেকে তারা দুর্নীতির তদন্তকাজ শুরু করেছে, তখন থেকেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। এ সময় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সচিব ড. আরস্ত খান উপস্থিত ছিলেন।
তবে মামলা করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে দুদকের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেছেন, 'আমাদের কাছে যে তথ্য আছে, সেই তথ্যগুলো কতটুকু সঠিক, তা যাচাই হচ্ছে। মামলা করতে হলে মূলত সাক্ষীসাবুদ প্রয়োজন কিংবা দালিলিক প্রমাণ লাগে। সেই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছে দুদকের অনুসন্ধানী দল।
গতকাল রবিবার বিশ্বব্যাংকের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে দুদক কর্মকর্তাদের বৈঠকের পর সরকার ও বিশ্বব্যাংক উভয় পক্ষ থেকেই পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। শনিবার দ্বিতীয়বারের মতো ঢাকায় আসে বিশ্বব্যাংকের তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ প্যানেল। এ প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সাবেক প্রধান আইনজীবী লুই গাব্রিয়েল মোরেনো ওকাম্পো। গতকাল বিকেলে দুদকের সঙ্গে বিশেষজ্ঞ দলের বৈঠকের পর বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি অ্যালেন গোল্ডস্টেইন বলেন, 'যদি তদন্তে পর্যাপ্ত অগ্রগতি থাকে, তাহলে পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের বিষয়ে আমরা আশাবাদী।' দুদকের তদন্তে অগ্রগতির বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা জানতে চেয়েছেন। এ নিয়ে দুদকের অনুসন্ধান দলের সঙ্গে আরো বৈঠক হবে বলেও তিনি জানান।
দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, 'আমাদের অনুসন্ধান দল কী কাজ করেছে, সেই বর্ণনা আমরা বিশেষজ্ঞ প্যানেলকে দিয়েছি, আমাদের বর্ণনায় মোটামুটি তারা সন্তুষ্ট। তবে তাদের বলেছি, আমাদের অনুসন্ধান কাজ চলছে।'
গোলাম রহমান জানান, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীর সাক্ষাৎকারের পর অনুসন্ধান দল তাদের তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করে কমিশনে জমা দেবে। তার ভিত্তিতেই কমিশন আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।'
জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে গোলাম রহমান বলেন, মামলা নির্ভর করছে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ওপর, প্রতিবেদন বিচার বিশ্লেষণ করেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
দুদকের আইন উপদেষ্টা আনিসুল হক বলেন, বিশ্বব্যাংকের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সঙ্গে দুদকের দ্বিতীয় দফায় করা তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দুদকের তদন্তকাজ আরো জোরালো করতে বলেছে বিশেষজ্ঞ প্যানেল। তিনি বলেন, আগামীকাল (আজ) সোমবার আরো দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এই প্যানেলের সঙ্গে আগামীকাল বিকেল ৩টায় বৈঠক রয়েছে।
তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ দলে রয়েছেন হংকংয়ের দুর্নীতিবিরোধী স্বাধীন কমিশনের সাবেক কমিশনার টিমোথি টং এবং যুক্তরাজ্যের দুর্নীতি দমন কার্যালয়ের সাবেক পরিচালক রিচার্ড অল্ডারম্যান। তাঁদের আগামীকাল পর্যন্ত ঢাকায় থাকার কথা।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করছেন দুদকের ঊর্ধ্বতন উপপরিচালক আবদুল্লা-আল-জাহিদ, মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী, গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী ও উপপরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম।
অভিযুক্ত হলেই মামলা: অর্থমন্ত্রী
দুদকের সঙ্গে বিকেলে এক ঘণ্টার বৈঠক শেষে বিশেষজ্ঞরা অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। পরে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, 'কেউ অভিযুক্ত হলেই মামলা শুরু হবে। একই সঙ্গে পদ্মা সেতুর কার্যক্রমও শুরু হবে। এতে আমরা দুই পক্ষই একমত হয়েছি।'
অর্থমন্ত্রী বলেন, 'আশা করছি ভালো কোনো সংবাদ দ্রুতই পাওয়া যাবে। যখন বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর অর্থায়নে দ্বিতীয় দফায় ফিরল, তখন আমরা ভেবেছিলাম তদন্তকাজ ও পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ একই সঙ্গে চলবে। কিন্তু বিশ্বব্যাংক বলল, তাদের দুটি প্রতিনিধিদল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, কোন প্রক্রিয়ায় তদন্তকাজ করা হচ্ছে- সেটা খতিয়ে দেখবে দুর্নীতি দমন কমিশনে। এরপরই কার্যক্রমের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।'
পদ্মা সেতুর অর্থায়নে দুর্নীতি প্রমাণিত হয়েছে কি না জানতে চাইলে মুহিত বলেন, 'এটা বলতে পারব না। দুদকই এটা ভালো বলতে পারে। তবে অভিযুক্ত হলেই মামলা শুরু হবে একই সঙ্গে পদ্মা সেতুর কার্যক্রমও শুরু হবে।'
গতকাল সন্ধ্যায় সচিবালয়ে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভীও উপস্থিত ছিলেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'কোনো ধারণানির্ভর সংবাদ পরিবেশন করবেন না। আমরা বসে নেই। কাজ করে যাচ্ছি। পদ্মা সেতুর কাজ দ্রুত শুরু করা হবে।'
উপদেষ্টা বলেন, যখন থেকে তারা দুর্নীতির তদন্তকাজ শুরু করেছে, তখন থেকেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। এ সময় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সচিব ড. আরস্ত খান উপস্থিত ছিলেন।
No comments