রাজধানীতে সমাবেশ আহবান-করতে দেব না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করবই : জামায়াত
সমাবেশ করার জন্য পুলিশের অনুমতি নেওয়া হয়নি জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেছেন, আজ সোমবার রাজধানীতে জামায়াতে ইসলামীকে সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। অন্যদিকে জামায়াত বলেছে, তারা সমাবেশ করার জন্য অনুমতি চেয়েও পায়নি।
এ সত্ত্বেও তারা বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে পূর্বনির্ধারিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করবেই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর গতকাল রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'ঢাকায় জামায়াতের সমাবেশের জন্য এখনো কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। তাই এ সমাবেশ বেআইনি। বেআইনি কোনো সমাবেশ আমরা হতে দেব না।' জাতীয় চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, 'ঢাকা মহানগরীর পুলিশ অধ্যাদেশ অনুযায়ী মহানগরীতে কোনো সমাবেশ করতে হলে পুলিশ কমিশনারের অনুমতি নিতে হয়। আমার জানামতে জামায়াত এখনো এ বিষয়ে কোনো আবেদন করেনি।'
উল্লেখ্য, শীর্ষ নেতারাসহ অন্য সব নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা 'মিথ্যা' মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার ও তাদের নিঃশর্ত মুক্তিসহ আরো কয়েকটি দাবিতে আজ বিকেল ৩টায় বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে জামায়াতের ঢাকা মহানগর শাখা। আজ সারা দেশেও সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে দলটি।
গতকাল জামায়াতের মহানগর প্রচার সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে অনুমতি নেওয়ার আবেদন করা হয়নি বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রাখা বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে মহানগরীতে সমাবেশ সফল করার জন্য নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান জানানো হয়। জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিথ্যাচার করেছেন। সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং করা জনগণের মৌলিক, রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক অধিকার। তিনি বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে মহানগরী জামায়াত আহূত বিক্ষোভ সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে সফল করতে সরকার ও প্রশাসনের সার্বিক সহায়তা কামনা করেন এবং নগরবাসীকে কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে সফল করার আহবান জানান।
আজকের সমাবেশ-মিছিল ও মাইক ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে গত ২৯ নভেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে জামায়াতের মহানগরীর অফিস সেক্রেটারি স্বাক্ষরিত আবেদনের একটি ফটোকপিও গতকাল গণমাধ্যমে পাঠায় দলটি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি জামায়াতের এক নেতার বক্তব্যের সূত্র ধরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, "প্রধানমন্ত্রীর জীবননাশের যে 'হুমকি' দেওয়া হচ্ছে, তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারো জীবননাশের হুমকি দেওয়া ফৌজদারি অপরাধ। এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"
গত বুধবার নয়াপল্টনে ১৮ দলীয় জোটের জনসভায় জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে সিঁড়ি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন, তা সরিয়ে নিলে আপনি নিজেই নামতে পারবেন না। এতে আপনার জীবনাবসান পর্যন্ত হতে পারে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, 'আমরা এসব অর্বাচীনদের সাবধান করে দিচ্ছি- তারা প্রধানমন্ত্রী কেন, বাংলাদেশের কোনো নাগরিকেরই যেন জীবননাশের হুমকি না দেয়। আমরা হুমকিতে ভীত নই। সব নাগরিকের জীবন ও সম্মান রক্ষা করা আমাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব।'
জাতীয় চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির সভা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, 'সভায় চোরাচালান বন্ধে গ্রহণ করা পদক্ষেপগুলো পর্যালোচনা করা হয়েছে। প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদার করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এতে আমরা কার্যকরভাবে চোরাচালান বন্ধ করতে সমর্থ হব।'
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর গতকাল রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'ঢাকায় জামায়াতের সমাবেশের জন্য এখনো কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। তাই এ সমাবেশ বেআইনি। বেআইনি কোনো সমাবেশ আমরা হতে দেব না।' জাতীয় চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, 'ঢাকা মহানগরীর পুলিশ অধ্যাদেশ অনুযায়ী মহানগরীতে কোনো সমাবেশ করতে হলে পুলিশ কমিশনারের অনুমতি নিতে হয়। আমার জানামতে জামায়াত এখনো এ বিষয়ে কোনো আবেদন করেনি।'
উল্লেখ্য, শীর্ষ নেতারাসহ অন্য সব নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা 'মিথ্যা' মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার ও তাদের নিঃশর্ত মুক্তিসহ আরো কয়েকটি দাবিতে আজ বিকেল ৩টায় বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে জামায়াতের ঢাকা মহানগর শাখা। আজ সারা দেশেও সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে দলটি।
গতকাল জামায়াতের মহানগর প্রচার সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে অনুমতি নেওয়ার আবেদন করা হয়নি বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রাখা বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে মহানগরীতে সমাবেশ সফল করার জন্য নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান জানানো হয়। জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিথ্যাচার করেছেন। সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং করা জনগণের মৌলিক, রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক অধিকার। তিনি বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে মহানগরী জামায়াত আহূত বিক্ষোভ সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে সফল করতে সরকার ও প্রশাসনের সার্বিক সহায়তা কামনা করেন এবং নগরবাসীকে কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে সফল করার আহবান জানান।
আজকের সমাবেশ-মিছিল ও মাইক ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে গত ২৯ নভেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে জামায়াতের মহানগরীর অফিস সেক্রেটারি স্বাক্ষরিত আবেদনের একটি ফটোকপিও গতকাল গণমাধ্যমে পাঠায় দলটি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি জামায়াতের এক নেতার বক্তব্যের সূত্র ধরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, "প্রধানমন্ত্রীর জীবননাশের যে 'হুমকি' দেওয়া হচ্ছে, তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারো জীবননাশের হুমকি দেওয়া ফৌজদারি অপরাধ। এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"
গত বুধবার নয়াপল্টনে ১৮ দলীয় জোটের জনসভায় জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে সিঁড়ি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন, তা সরিয়ে নিলে আপনি নিজেই নামতে পারবেন না। এতে আপনার জীবনাবসান পর্যন্ত হতে পারে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, 'আমরা এসব অর্বাচীনদের সাবধান করে দিচ্ছি- তারা প্রধানমন্ত্রী কেন, বাংলাদেশের কোনো নাগরিকেরই যেন জীবননাশের হুমকি না দেয়। আমরা হুমকিতে ভীত নই। সব নাগরিকের জীবন ও সম্মান রক্ষা করা আমাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব।'
জাতীয় চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির সভা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, 'সভায় চোরাচালান বন্ধে গ্রহণ করা পদক্ষেপগুলো পর্যালোচনা করা হয়েছে। প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদার করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এতে আমরা কার্যকরভাবে চোরাচালান বন্ধ করতে সমর্থ হব।'
No comments