প্রকল্পের গাড়ি অপব্যবহার-রাজনৈতিক প্রভাব বন্ধ করতে হবে
সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের সুবিধার জন্য বেশ মোটা অঙ্কের অর্থ খরচ করে গাড়ি কেনা হয়ে থাকে। নিয়ম অনুযায়ী প্রকল্প সমাপ্ত হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে এসব গাড়ি সরকারের পরিবহন পুলে জমা দেওয়ার কথা।
কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে দেশবাসী দেখে আসছে, এসব প্রকল্পের গাড়ি পুলে জমা না হয়ে বরং রাজনৈতিক প্রভাবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ ব্যাপারে সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ছাড়িয়ে গেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অনিয়ম। শুধু তা-ই নয়, প্রকল্প চলাকালে প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত গাড়িই সরকারের বিভিন্ন মহলকে খুশি রাখতে ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে এই বিভাগ থেকে। এ ধরনের বরাদ্দ দেওয়া যায় কি না বা কতটা যুক্তিসংগত, তা খতিয়ে দেখছে না কেউ। উল্লেখ্য, প্রকল্পের ব্যবহারের জন্য সর্বাধিক গাড়ি এলজিইডিতেই কেনা হয়ে থাকে। রবিবার কালের কণ্ঠের এক বিশেষ প্রতিবেদনে এই অনিয়মের বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। সব চেয়ে লক্ষণীয় বিষয় হলো, যাঁরা এই গাড়িগুলো ব্যবহার করছেন বা ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছেন, তাঁদের প্রকল্প বা অধিদপ্তরের সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতাই নেই। আছে শুধু রাজনৈতিক প্রভাব। তা না হলে গোপালগঞ্জ পৌরসভার মেয়রের সঙ্গে স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকল্পের সম্পর্ক কোথায়? এই প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, প্রকল্পের দামি গাড়ি ব্যবহার করছেন মন্ত্রী, আওয়ামী লীগ নেতা থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী পর্যন্ত অনেকেই। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার সচিব কালের কণ্ঠকে বলেছেন, 'সরকারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে গাড়ি দিয়েছে এলজিইডি। এটা এলজিইডির কাজ নয়, তবু দিতে হয়েছে। এতে এলজিইডির কর্মকর্তাদের একটু কষ্ট হয়, কিন্তু উন্নয়নকাজে কোনো প্রভাব পড়বে না।'
এই যুক্তি কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। একটু কষ্ট করে চলাফেরা করে এবং ক্ষতি হবে না নিশ্চিত হলেও এভাবে গাড়ি ব্যবহার করতে দেওয়া সরকারি বিধিবহির্ভূত কাজ। এভাবে রাজনৈতিক প্রভাবে প্রকল্পের গাড়ি নিয়ে লুটপাট হলে প্রকল্পের অর্থসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে কী ধরনের অনিয়ম হতে পারে, তা অনুমেয়। জানা গেছে, প্রকল্প শেষে গাড়িগুলো কোথায় যায়, তা জানতে চেয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। তাঁর নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২৭ নভেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের গাড়ির হিসাব সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠাতে অনুরোধ জানায়। কিন্তু তাতেও খুব সন্তোষজনক সাড়া পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নতুন নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। আমরা মনে করি, দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে বিধি-বিধান মেনে চলা একান্ত প্রয়োজন। অন্যদিকে এলজিইডিসহ সব বিভাগের কর্মকর্তাদের অবাধে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। সরকারের রাজনৈতিক ইচ্ছা-অনিচ্ছা অথবা রাজনৈতিক প্রভাব প্রশাসনে পড়লে নির্বাহী কাজ ও উন্নয়ন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়ে থাকে। এই প্রকল্পগুলোর গাড়ি থেকে শুরু করে সরকারের সম্পদের অপব্যবহার রুখতে না পারলে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে না।
এই যুক্তি কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। একটু কষ্ট করে চলাফেরা করে এবং ক্ষতি হবে না নিশ্চিত হলেও এভাবে গাড়ি ব্যবহার করতে দেওয়া সরকারি বিধিবহির্ভূত কাজ। এভাবে রাজনৈতিক প্রভাবে প্রকল্পের গাড়ি নিয়ে লুটপাট হলে প্রকল্পের অর্থসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে কী ধরনের অনিয়ম হতে পারে, তা অনুমেয়। জানা গেছে, প্রকল্প শেষে গাড়িগুলো কোথায় যায়, তা জানতে চেয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। তাঁর নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২৭ নভেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের গাড়ির হিসাব সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠাতে অনুরোধ জানায়। কিন্তু তাতেও খুব সন্তোষজনক সাড়া পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নতুন নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। আমরা মনে করি, দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে বিধি-বিধান মেনে চলা একান্ত প্রয়োজন। অন্যদিকে এলজিইডিসহ সব বিভাগের কর্মকর্তাদের অবাধে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। সরকারের রাজনৈতিক ইচ্ছা-অনিচ্ছা অথবা রাজনৈতিক প্রভাব প্রশাসনে পড়লে নির্বাহী কাজ ও উন্নয়ন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়ে থাকে। এই প্রকল্পগুলোর গাড়ি থেকে শুরু করে সরকারের সম্পদের অপব্যবহার রুখতে না পারলে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে না।
No comments