বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করেই খেলা দেখলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল রবিবার কেরানীগঞ্জের আবদুল্লাহপুরে ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন করে গণভবনে এসেই বসে পড়েন টেলিভিশনের সামনে। খেলা তখন শেষ পর্যায়ে। প্রধানমন্ত্রীর হাতে মোবাইল ফোন, চোখ টেলিভিশনের পর্দায়।
বাংলাদেশ দলের জয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে যেতেই প্রধানমন্ত্রী ফোন করেন বিসিবি সভাপতিকে। ফোনে 'জয় বাংলা' বলে উল্লাস ব্যক্ত করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী (মিডিয়া) মাহবুবুল হক শাকিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় জয়ের সময়কার গণভবনের ঘটনা এভাবেই বর্ণনা করেন কালের কণ্ঠের কাছে।
মাহবুবুল হক জানান, ফোন রেখেই প্রধানমন্ত্রী মিষ্টি আনার নির্দেশ দেন। মিষ্টি এলে গণভবনের সবাইকে তিনি মিষ্টিমুখ করান। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বলেন, বিসিবি সভাপতির মাধ্যমে শেখ হাসিনা ক্রিকেট দলের প্রত্যেক সদস্য এবং ক্রিকেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাফল্যের এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান, বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া, জাতীয় সংসদের স্পিকার অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ ও ডেপুটি স্পিকার এম. শওকত আলী বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন : এর আগে প্রধানমন্ত্রী চরগলগলিয়ার আবদুল্লাহপুরে পাওয়ারপ্যাক-মুতিয়ারা ১০০ মেগাওয়াট কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ ব্যবহারে কৃচ্ছ্র সাধনে জনগণের প্রতি তাঁর আহবান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, 'বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারকে প্রতিবছর প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়। তাই বিদ্যুতের যথেচ্ছ ব্যবহার কাম্য নয়।'
সিকদার গ্রুপের প্রতিষ্ঠান পাওয়ারপ্যাক হোল্ডিং ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের পাশে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ধলেশ্বরী নদীতীরবর্তী চরগলগলিয়ায় ৭ দশমিক ১১ একর জমিতে 'বিওও' পদ্ধতিতে এই কেন্দ্রটি নির্মাণ করে। প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এম এনামুল হক, আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভঁূইয়া, নসরুল হামিদ বিপু এমপি, কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শামিম আহমেদ ও সিকদার গ্রুপের চেয়ারম্যান জায়নুল হক সিকদার অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
এতে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব এম আবুল কালাম আজাদ স্বাগত বক্তব্য দেন এবং বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াহাব খান ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার পুরনো বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো সংস্কারের পাশাপাশি দ্রুত চাহিদা পূরণে রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকে অগ্রাধিকার দেয়। এতে বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট এবং বড় বড় বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়। এরই মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি খাতে প্রায় আট বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগও হয়েছে। ইতিমধ্যে ৫২টি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে প্রায় ৩,৬৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে।
শেখ হাসিনা স্কুল, মাদ্রাসা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে সৌর প্যানেল স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, সরকার কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, গ্রামীণ উন্নয়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাসহ আর্থ-সামাজিক প্রতিটি খাতে ব্যাপক উন্নতি করেছে।
প্রধানমন্ত্রী কেরানীগঞ্জবাসীর উদ্দেশে বলেন, ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে কেরানীগঞ্জে ৫০ শয্যার হাসপাতাল, মাল্টিপারপাস স্টেডিয়াম, সরকারি উচ্চবিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ ব্যাপক উন্নয়ন করা হবে।
জাতীয় দলকে অভিনন্দন : রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বিজয় অর্জনের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়ে গতকাল এক বার্তায় বলেন, দেশের জন্য ভবিষ্যতে আরো সাফল্য নিয়ে আসতে ক্রিকেটার এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তাঁদের কঠোর পরিশ্রম অব্যাহত রাখবেন।
অভিনন্দনবার্তায় বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া বলেন, 'সারা দেশের জনগণ ক্রিকেট দলের এই অভূতপূর্ব সাফল্যে আনন্দিত ও উদ্বেলিত। দেশবাসীর সঙ্গে আমি নিজেও যারপর নাই আনন্দ ও গৌরব বোধ করছি।'
পৃথক অভিনন্দনবার্তায় স্পিকার অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ ও ডেপুটি স্পিকার এম. শওকত আলী আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ দল সামনের ম্যাচগুলোতেও ভালো করবে।
মাহবুবুল হক জানান, ফোন রেখেই প্রধানমন্ত্রী মিষ্টি আনার নির্দেশ দেন। মিষ্টি এলে গণভবনের সবাইকে তিনি মিষ্টিমুখ করান। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বলেন, বিসিবি সভাপতির মাধ্যমে শেখ হাসিনা ক্রিকেট দলের প্রত্যেক সদস্য এবং ক্রিকেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাফল্যের এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান, বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া, জাতীয় সংসদের স্পিকার অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ ও ডেপুটি স্পিকার এম. শওকত আলী বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন : এর আগে প্রধানমন্ত্রী চরগলগলিয়ার আবদুল্লাহপুরে পাওয়ারপ্যাক-মুতিয়ারা ১০০ মেগাওয়াট কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ ব্যবহারে কৃচ্ছ্র সাধনে জনগণের প্রতি তাঁর আহবান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, 'বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারকে প্রতিবছর প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়। তাই বিদ্যুতের যথেচ্ছ ব্যবহার কাম্য নয়।'
সিকদার গ্রুপের প্রতিষ্ঠান পাওয়ারপ্যাক হোল্ডিং ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের পাশে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ধলেশ্বরী নদীতীরবর্তী চরগলগলিয়ায় ৭ দশমিক ১১ একর জমিতে 'বিওও' পদ্ধতিতে এই কেন্দ্রটি নির্মাণ করে। প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এম এনামুল হক, আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভঁূইয়া, নসরুল হামিদ বিপু এমপি, কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শামিম আহমেদ ও সিকদার গ্রুপের চেয়ারম্যান জায়নুল হক সিকদার অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
এতে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব এম আবুল কালাম আজাদ স্বাগত বক্তব্য দেন এবং বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াহাব খান ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার পুরনো বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো সংস্কারের পাশাপাশি দ্রুত চাহিদা পূরণে রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকে অগ্রাধিকার দেয়। এতে বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট এবং বড় বড় বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়। এরই মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি খাতে প্রায় আট বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগও হয়েছে। ইতিমধ্যে ৫২টি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে প্রায় ৩,৬৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে।
শেখ হাসিনা স্কুল, মাদ্রাসা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে সৌর প্যানেল স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, সরকার কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, গ্রামীণ উন্নয়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাসহ আর্থ-সামাজিক প্রতিটি খাতে ব্যাপক উন্নতি করেছে।
প্রধানমন্ত্রী কেরানীগঞ্জবাসীর উদ্দেশে বলেন, ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে কেরানীগঞ্জে ৫০ শয্যার হাসপাতাল, মাল্টিপারপাস স্টেডিয়াম, সরকারি উচ্চবিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ ব্যাপক উন্নয়ন করা হবে।
জাতীয় দলকে অভিনন্দন : রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বিজয় অর্জনের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়ে গতকাল এক বার্তায় বলেন, দেশের জন্য ভবিষ্যতে আরো সাফল্য নিয়ে আসতে ক্রিকেটার এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তাঁদের কঠোর পরিশ্রম অব্যাহত রাখবেন।
অভিনন্দনবার্তায় বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া বলেন, 'সারা দেশের জনগণ ক্রিকেট দলের এই অভূতপূর্ব সাফল্যে আনন্দিত ও উদ্বেলিত। দেশবাসীর সঙ্গে আমি নিজেও যারপর নাই আনন্দ ও গৌরব বোধ করছি।'
পৃথক অভিনন্দনবার্তায় স্পিকার অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ ও ডেপুটি স্পিকার এম. শওকত আলী আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ দল সামনের ম্যাচগুলোতেও ভালো করবে।
No comments