নেপোলিয়নের গোপন চিঠি নিলামে-'ক্রেমলিন আমি উড়িয়ে দিচ্ছি' by সাবি্বর রহমান খান
ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় প্যারিসের সদর দপ্তরে লেখা এক গোপন বার্তায় জানিয়েছিলেন, ক্রেমলিন তিনি উড়িয়ে দেবেন। রাশিয়ার কাছে পর্যুদস্ত হয়ে পড়া নেপোলিয়নের নিজের হাতে লেখা বার্তাটি ছিল ওই যুদ্ধের শেষ আদেশ। তা তিনি লিখেছিলেন সাংকেতিক ভাষায়।
চিঠিটি বিক্রির জন্য গতকাল প্যারিসে নিলামে তোলা হয়েছে।
চিঠিটি নেপোলিয়ন লিখেছিলেন ১৮১২ সালের ২০ অক্টোবর। এতে তিনি স্বাক্ষর করেন 'নাপ' নামে। এতে লেখা হয়, '২২ তারিখ ভোর ৩টায় আমি ক্রেমলিন উড়িয়ে দিচ্ছি।' কিন্তু নেপোলিয়নের দুর্ভাগ্য, চিঠিটি তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিউগো বার্নার্ড মারেতের কাছে পেঁৗছায় তিন দিন পর অর্থাৎ তাঁর ঘোষিত সময়ের একদিন পর।
রাশিয়ায় নেপোলিয়নের সামরিক অভিযানের সমাপ্তি ঘটেছিল ফ্রান্স সেনাবাহিনীর পরাজয়ের মধ্য দিয়ে। রাশিয়ার সফলতার মূলে ছিল 'ঝলসানো পৃথিবী' নামের এক অভিনব সমরনীতি। সম্মুখ যুদ্ধের এই নীতি অনুযায়ী রাশিয়া নিজেরাই নিজেদের গ্রামের পর গ্রাম, শহরের পর শহর পুড়িয়ে ফেলে। যাতে ফরাসি বাহিনী ওই সব এলাকা দখল করলেও সেখানকার কোনো সম্পদ নিজেদের কাজে লাগাতে না পারে। ১৮১২ সালের জুন মাসে বিক্ষুব্ধ নেপোলিয়ন ছয় লাখ সেনা নিয়ে ধ্বংসস্তূপের ওপর দিয়ে অগ্রসর হতে থাকেন মস্কোর দিকে। কোথাও কিছু ছিল না দখল করার। শুধুই বিধ্বস্ত, জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দেওয়া গ্রাম-নগর আর শহর। এত বড় সেনাবাহিনী মস্কোর উপকণ্ঠে এল ঠিকই, কিন্তু ক্ষুধায়, শীতে আর শক্তিশালী রাশিয়ান বাহিনীর প্রবল প্রতিরোধের মুখে হতবিহ্বল হয়ে পড়ে। ক্ষিপ্ত নেপোলিয়নের সামনে তখন ক্রেমলিন ছাড়া ধ্বংস করার মতো আর কিছুই ছিল না। এ সময় রাশিয়ার প্রতিরোধের মুখে নেপোলিয়ন পিছু হটতে বাধ্য হন। শেষ আদেশ হিসেবে নেপোলিয়ন চিঠিতে জানান, তাঁর শক্তিশালী অশ্বারোহী সৈন্যবাহিনী ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। মারা গেছে হাজার হাজার ঘোড়া। নেপোলিয়ন সংখ্যাসূচক সাংকেতিক ভাষা (গাণিতিক কোড) ব্যবহার করেছিলেন ওই গোপন চিঠিটিতে। যাতে শত্রুপক্ষের হাতে পড়লেও এর মর্মার্থ উদ্ধার না হয়। ওই সময়ে এই সাংকেতিক বার্তা মূলত 'নেপোলিয়ন কোড' নামেই বহুল পরিচিত ছিল। ধারণা করা হয়, নেপোলিয়ন এই চিঠিটি বার্তাবাহকের মাধ্যমে প্যারিসে পাঠাতে সবচেয়ে দ্রুতগামী ও শক্তিশালী ঘোড়াটি ব্যবহার করেছিলেন। কারণ, দুই হাজার ৪৮০ কিলোমিটার দূরে প্যারিসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এটা পেঁৗছাতে সময় লেগেছিল মাত্র তিন দিন। নিলাম আয়োজনকারী প্রতিষ্ঠান ওজেনা হাউসের পরিচালক জঁ্য ক্রিস্তোফ শ্যাতানিয়ে বলেন, 'এ এক অসাধারণ চিঠি।' তিনি আশা করেন, চিঠিটির দাম ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার ইউরো ওঠতে পারে।
উল্লেখ্য, এ বছর সেপ্টেম্বর মাসে রাশিয়া আড়ম্বরপূর্ণভাবে নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয়ের ২০০ বছর পূর্তি পালন করে।
চিঠিটি নেপোলিয়ন লিখেছিলেন ১৮১২ সালের ২০ অক্টোবর। এতে তিনি স্বাক্ষর করেন 'নাপ' নামে। এতে লেখা হয়, '২২ তারিখ ভোর ৩টায় আমি ক্রেমলিন উড়িয়ে দিচ্ছি।' কিন্তু নেপোলিয়নের দুর্ভাগ্য, চিঠিটি তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিউগো বার্নার্ড মারেতের কাছে পেঁৗছায় তিন দিন পর অর্থাৎ তাঁর ঘোষিত সময়ের একদিন পর।
রাশিয়ায় নেপোলিয়নের সামরিক অভিযানের সমাপ্তি ঘটেছিল ফ্রান্স সেনাবাহিনীর পরাজয়ের মধ্য দিয়ে। রাশিয়ার সফলতার মূলে ছিল 'ঝলসানো পৃথিবী' নামের এক অভিনব সমরনীতি। সম্মুখ যুদ্ধের এই নীতি অনুযায়ী রাশিয়া নিজেরাই নিজেদের গ্রামের পর গ্রাম, শহরের পর শহর পুড়িয়ে ফেলে। যাতে ফরাসি বাহিনী ওই সব এলাকা দখল করলেও সেখানকার কোনো সম্পদ নিজেদের কাজে লাগাতে না পারে। ১৮১২ সালের জুন মাসে বিক্ষুব্ধ নেপোলিয়ন ছয় লাখ সেনা নিয়ে ধ্বংসস্তূপের ওপর দিয়ে অগ্রসর হতে থাকেন মস্কোর দিকে। কোথাও কিছু ছিল না দখল করার। শুধুই বিধ্বস্ত, জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দেওয়া গ্রাম-নগর আর শহর। এত বড় সেনাবাহিনী মস্কোর উপকণ্ঠে এল ঠিকই, কিন্তু ক্ষুধায়, শীতে আর শক্তিশালী রাশিয়ান বাহিনীর প্রবল প্রতিরোধের মুখে হতবিহ্বল হয়ে পড়ে। ক্ষিপ্ত নেপোলিয়নের সামনে তখন ক্রেমলিন ছাড়া ধ্বংস করার মতো আর কিছুই ছিল না। এ সময় রাশিয়ার প্রতিরোধের মুখে নেপোলিয়ন পিছু হটতে বাধ্য হন। শেষ আদেশ হিসেবে নেপোলিয়ন চিঠিতে জানান, তাঁর শক্তিশালী অশ্বারোহী সৈন্যবাহিনী ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। মারা গেছে হাজার হাজার ঘোড়া। নেপোলিয়ন সংখ্যাসূচক সাংকেতিক ভাষা (গাণিতিক কোড) ব্যবহার করেছিলেন ওই গোপন চিঠিটিতে। যাতে শত্রুপক্ষের হাতে পড়লেও এর মর্মার্থ উদ্ধার না হয়। ওই সময়ে এই সাংকেতিক বার্তা মূলত 'নেপোলিয়ন কোড' নামেই বহুল পরিচিত ছিল। ধারণা করা হয়, নেপোলিয়ন এই চিঠিটি বার্তাবাহকের মাধ্যমে প্যারিসে পাঠাতে সবচেয়ে দ্রুতগামী ও শক্তিশালী ঘোড়াটি ব্যবহার করেছিলেন। কারণ, দুই হাজার ৪৮০ কিলোমিটার দূরে প্যারিসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এটা পেঁৗছাতে সময় লেগেছিল মাত্র তিন দিন। নিলাম আয়োজনকারী প্রতিষ্ঠান ওজেনা হাউসের পরিচালক জঁ্য ক্রিস্তোফ শ্যাতানিয়ে বলেন, 'এ এক অসাধারণ চিঠি।' তিনি আশা করেন, চিঠিটির দাম ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার ইউরো ওঠতে পারে।
উল্লেখ্য, এ বছর সেপ্টেম্বর মাসে রাশিয়া আড়ম্বরপূর্ণভাবে নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয়ের ২০০ বছর পূর্তি পালন করে।
No comments