খুদে বার্তার একুশে পা
১৯৯২ সালের কথা, তখনো টুইটার কিংবা ফেসবুক আসেনি। মুঠো ফোনের চল শুরু হলেও তা সবার হাতে হাতে ওঠেনি। নেইল পাপওয়ার্থ নামের এক ব্রিটিশ সফটওয়্যার প্রোগ্রামারের মাথায় অনেক দিন ধরেই একটা চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছিল_অল্প কথায় কিভাবে অন্যকে বার্তা পাঠানো যায়।
দীর্ঘদিনের চেষ্টার পর শেষ পর্যন্ত মুঠো ফোন থেকে এক বন্ধুকে প্রথমবারের মতো খুদে বার্তা (এসএমএস) পাঠান তিনি। বড়দিন উপলক্ষে বন্ধুকে আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন সেই বার্তায়। দিনটি ছিল ৩ ডিসেম্বর। সে অনুসারে আজ খুদে বার্তার ২১তম জন্ম দিন।
সেদিন যাত্রা শুরু করা খুদে বার্তা আজ রকেট গতি পেয়েছে। আট ট্রিলিয়ন (ব্রিটিশ হিসাব অনুযায়ী, ১০ হাজার কোটিতে এক ট্রিলিয়ন) বার্তা চালাচালি হয় বছরে। শুরুতে অবশ্য খুদে বার্তা পাঠানো এখনকার মতো এত সহজ ছিল না। মুঠো ফোনে নম্বর লেখা বোতাম থাকত, কিবোর্ড নয়। পাপওয়ার্থ তাঁর বার্তাটি পাঠিয়েছিলেন কম্পিউটারে লেখার পর মুঠো ফোনে ভরে।
হরেক রকম এসএমএস চালাচালি হয় এখন। তথ্য বিনিময়, কবিতা পাঠানো, বিজ্ঞাপন দেওয়া, প্রার্থনা এমনকি মজা করে অনেকে ভাইরাসও পাঠিয়ে দেয়। ই-মেইল ও অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরও খুদে বার্তার জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি। ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের মধ্যে এর জনপ্রিয়তা সর্বাধিক। গড়ে প্রতি সপ্তাহে অন্তত ১৩৩টি বার্তা পাঠায় তারা। সময় দেখার পর এ কাজেই মানুষ সবচেয়ে বেশি মুঠো ফোন ব্যবহার করে।
ব্রিটেনের সরকার অনুমোদিত টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা অফকম জানায়, গড়ে ব্রিটিশরা সপ্তাহে ৫০টি করে এসএমএস পাঠায়। চার বছর আগের তুলনায় যা দ্বিগুণেরও বেশি। তবে এরপরও এ ক্ষেত্রে ফিলিপিনোদের তুলনায় বেশ পিছিয়ে তারা। ফিলিপিনোরা গড়ে প্রতিদিন ২৭টি করে খুদে বার্তা পাঠায়। এ সংস্থার গবেষণায় দেখা যায়, খুদে বার্তার কারণে মানুষের মধ্যে ফোনে আলাপ বা সাক্ষাতের আগ্রহ কমছে। একে ব্যক্তিপর্যায়ের যোগাযোগ খাতে একটা বড় পরিবর্তন হিসেবে চিহ্নিত করেছে সংস্থাটি।
আগে ভাবা হতো, খুদে বার্তা স্কুল পড়ুয়া শিশুদের শব্দভাণ্ডার বা বানানের দক্ষতা নষ্ট করছে। তবে সম্প্রতি এক জরিপ থেকে এর উল্টো তথ্যই পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়, খুদে বার্তা শিশুদের শব্দভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করছে। ৮ থেকে ১২ বছর বয়সীদের ওপর ১০ বছর জরিপ চালিয়ে এ রায় দেয় ব্রিটিশ একাডেমী।
তবে মুদ্রার অন্য পিঠও আছে। এসএমএসের অপপ্রয়োগে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সমাজ। বাড়ছে হুমকি-ধমকি ও ভয় দেখিয়ে স্বার্থ হাসিলের প্রবণতাও। এসএমএস লিখতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনাও বিরল নয়।
প্রসঙ্গত, পাপওয়ার্থই প্রথম খুদে বার্তা পাঠিয়েছিলেন কি না_এর সপক্ষে কোনো প্রমাণ নেই। তবে কেউ কখনো এর বিরোধিতাও করেনি। বরং তাঁর দাবিকেই মেনে নিয়েছে। সূত্র : গার্ডিয়ান।
সেদিন যাত্রা শুরু করা খুদে বার্তা আজ রকেট গতি পেয়েছে। আট ট্রিলিয়ন (ব্রিটিশ হিসাব অনুযায়ী, ১০ হাজার কোটিতে এক ট্রিলিয়ন) বার্তা চালাচালি হয় বছরে। শুরুতে অবশ্য খুদে বার্তা পাঠানো এখনকার মতো এত সহজ ছিল না। মুঠো ফোনে নম্বর লেখা বোতাম থাকত, কিবোর্ড নয়। পাপওয়ার্থ তাঁর বার্তাটি পাঠিয়েছিলেন কম্পিউটারে লেখার পর মুঠো ফোনে ভরে।
হরেক রকম এসএমএস চালাচালি হয় এখন। তথ্য বিনিময়, কবিতা পাঠানো, বিজ্ঞাপন দেওয়া, প্রার্থনা এমনকি মজা করে অনেকে ভাইরাসও পাঠিয়ে দেয়। ই-মেইল ও অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরও খুদে বার্তার জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি। ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের মধ্যে এর জনপ্রিয়তা সর্বাধিক। গড়ে প্রতি সপ্তাহে অন্তত ১৩৩টি বার্তা পাঠায় তারা। সময় দেখার পর এ কাজেই মানুষ সবচেয়ে বেশি মুঠো ফোন ব্যবহার করে।
ব্রিটেনের সরকার অনুমোদিত টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা অফকম জানায়, গড়ে ব্রিটিশরা সপ্তাহে ৫০টি করে এসএমএস পাঠায়। চার বছর আগের তুলনায় যা দ্বিগুণেরও বেশি। তবে এরপরও এ ক্ষেত্রে ফিলিপিনোদের তুলনায় বেশ পিছিয়ে তারা। ফিলিপিনোরা গড়ে প্রতিদিন ২৭টি করে খুদে বার্তা পাঠায়। এ সংস্থার গবেষণায় দেখা যায়, খুদে বার্তার কারণে মানুষের মধ্যে ফোনে আলাপ বা সাক্ষাতের আগ্রহ কমছে। একে ব্যক্তিপর্যায়ের যোগাযোগ খাতে একটা বড় পরিবর্তন হিসেবে চিহ্নিত করেছে সংস্থাটি।
আগে ভাবা হতো, খুদে বার্তা স্কুল পড়ুয়া শিশুদের শব্দভাণ্ডার বা বানানের দক্ষতা নষ্ট করছে। তবে সম্প্রতি এক জরিপ থেকে এর উল্টো তথ্যই পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়, খুদে বার্তা শিশুদের শব্দভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করছে। ৮ থেকে ১২ বছর বয়সীদের ওপর ১০ বছর জরিপ চালিয়ে এ রায় দেয় ব্রিটিশ একাডেমী।
তবে মুদ্রার অন্য পিঠও আছে। এসএমএসের অপপ্রয়োগে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সমাজ। বাড়ছে হুমকি-ধমকি ও ভয় দেখিয়ে স্বার্থ হাসিলের প্রবণতাও। এসএমএস লিখতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনাও বিরল নয়।
প্রসঙ্গত, পাপওয়ার্থই প্রথম খুদে বার্তা পাঠিয়েছিলেন কি না_এর সপক্ষে কোনো প্রমাণ নেই। তবে কেউ কখনো এর বিরোধিতাও করেনি। বরং তাঁর দাবিকেই মেনে নিয়েছে। সূত্র : গার্ডিয়ান।
No comments