৫ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ- আজহারুলের বিরুদ্ধে আরও দুই অভিযোগ
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদনে আরও দুটি অভিযোগ সংযুক্ত করা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ গতকাল রোববার এই অগ্রগতি প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ দাখিল করে।
বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ গতকাল আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্তের বা অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। আজহারুল এ সময় আসামির কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন।
বেলা দুইটার দিকে আজহারুলের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি নূরজাহান মুক্তা। তিনি বলেন, আজহারুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধকালে রংপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে শান্তি কমিটি ও ইসলামী ছাত্রসংঘের (জামায়াতের তৎকালীন ছাত্রসংগঠন) সদস্যদের দিয়ে রাজাকার বাহিনী গঠন করেন। তদন্তে অনেক নতুন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। অগ্রগতি প্রতিবেদনে আরও দুটি অভিযোগ সংযুক্ত করা হয়েছে। তিনি তদন্ত শেষ করতে সময়ের আরজি জানালে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের সূত্র জানায়, আজহারুলের বিরুদ্ধে নতুন দুটি অভিযোগ হলো: রংপুরের পীরজাবাদে ৮৪ জনকে ও নিসবেতগঞ্জে ৫০ জনকে হত্যার সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতা। অভিযোগে রয়েছে, একাত্তরের ১২ এপ্রিল সৈয়দপুর থেকে সেখানকার নির্বাচিত জাতীয় পরিষদ সদস্য জিকরুল হকসহ তিনটি ট্রাকে করে নিরস্ত্র বাঙালিদের ধরে রংপুর নিয়ে যাওয়া হয়। জিকরুলসহ ৮৪ জনকে রংপুর সেনানিবাসের দক্ষিণ-পশ্চিমের পীরজাবাদে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ছাড়া আজহারুল ২৫ মে রংপুর শহরের গুপ্তপাড়া থেকে আইনজীবী বিজয় চন্দ্র মৈত্র, লিচু বাগান ও আশপাশের এলাকা থেকে আইনজীবী পূর্ণচন্দ্র সরকার, ব্যবসায়ী শংকর বণিকসহ ৫০ জন নিরস্ত্র বাঙালিকে ধরে রংপুর সেনানিবাসের কাছে ঘাঘট নদীর তীরে নিসবেতগঞ্জে নিয়ে যান। সেখানে পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতায় তাঁদের হত্যা করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের সূত্র জানায়, এর আগে তদন্তে পাওয়া তথ্যানুসারে, মুক্তিযুদ্ধকালে আজহারুল অবাধে রংপুর সেনানিবাসে পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তাদের কাছে যাতায়াত এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করতেন। তখন তিনি রংপুর জেলা ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে: রংপুর কারমাইকেল কলেজের সাত শিক্ষক ও এক শিক্ষকের স্ত্রীকে পাকিস্তানি সেনাদের সহায়তায় গুলি করে হত্যা; এপ্রিলের প্রথম দিকে এক আইনজীবীসহ ১১ জনকে দখিগঞ্জ শ্মশানে নিয়ে গুলি করে হত্যা; বদরগঞ্জের ধাপপাড়ায় নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীসহ ১১ জনকে গুলি করে হত্যা প্রভৃতি। একাত্তরের এপ্রিলে দেবগঞ্জের ঝাড়ুয়ার বিল ও পদ্মপুকুরের আশপাশের এলাকায় প্রায় ১২০০ মানুষকে পাকিস্তানি সেনারা হত্যা করে ও বাড়িঘর লুণ্ঠনের পর অগ্নিসংযোগ করে। এ গণহত্যার সঙ্গেও আজহারুলের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
চলতি বছরের ২২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আজহারুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক আছেন।
সাঈদীর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন চলছে: একই ট্রাইব্যুনালে গতকাল জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দ্বাদশ দিনের মতো যুক্তি উপস্থাপন করেন আসামিপক্ষের প্রধান আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক। তিনি মামলার আইনি বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন করেন। সাঈদী এ সময় আসামির কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন।
আবদুর রাজ্জাক দাবি করেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা এই মামলায় মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন। এর পরও তাঁকে বিশ্বাস করা হলে সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য থাকবে না। তিনি বলেন, রাজনৈতিক কারণে গণহত্যা হলে তা প্রচলিত আন্তর্জাতিক আইনে গণহত্যা হবে না। কোনো গোষ্ঠীকে পদ্ধতিগতভাবে নির্মূল করতে পরিকল্পিত উপায়ে নিধন চালালে সেটি গণহত্যা হবে। তিনি আজ সোমবারও যুক্তি উপস্থাপন করবেন।
বেলা দুইটার দিকে আজহারুলের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি নূরজাহান মুক্তা। তিনি বলেন, আজহারুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধকালে রংপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে শান্তি কমিটি ও ইসলামী ছাত্রসংঘের (জামায়াতের তৎকালীন ছাত্রসংগঠন) সদস্যদের দিয়ে রাজাকার বাহিনী গঠন করেন। তদন্তে অনেক নতুন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। অগ্রগতি প্রতিবেদনে আরও দুটি অভিযোগ সংযুক্ত করা হয়েছে। তিনি তদন্ত শেষ করতে সময়ের আরজি জানালে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের সূত্র জানায়, আজহারুলের বিরুদ্ধে নতুন দুটি অভিযোগ হলো: রংপুরের পীরজাবাদে ৮৪ জনকে ও নিসবেতগঞ্জে ৫০ জনকে হত্যার সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতা। অভিযোগে রয়েছে, একাত্তরের ১২ এপ্রিল সৈয়দপুর থেকে সেখানকার নির্বাচিত জাতীয় পরিষদ সদস্য জিকরুল হকসহ তিনটি ট্রাকে করে নিরস্ত্র বাঙালিদের ধরে রংপুর নিয়ে যাওয়া হয়। জিকরুলসহ ৮৪ জনকে রংপুর সেনানিবাসের দক্ষিণ-পশ্চিমের পীরজাবাদে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ছাড়া আজহারুল ২৫ মে রংপুর শহরের গুপ্তপাড়া থেকে আইনজীবী বিজয় চন্দ্র মৈত্র, লিচু বাগান ও আশপাশের এলাকা থেকে আইনজীবী পূর্ণচন্দ্র সরকার, ব্যবসায়ী শংকর বণিকসহ ৫০ জন নিরস্ত্র বাঙালিকে ধরে রংপুর সেনানিবাসের কাছে ঘাঘট নদীর তীরে নিসবেতগঞ্জে নিয়ে যান। সেখানে পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতায় তাঁদের হত্যা করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের সূত্র জানায়, এর আগে তদন্তে পাওয়া তথ্যানুসারে, মুক্তিযুদ্ধকালে আজহারুল অবাধে রংপুর সেনানিবাসে পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তাদের কাছে যাতায়াত এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করতেন। তখন তিনি রংপুর জেলা ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে: রংপুর কারমাইকেল কলেজের সাত শিক্ষক ও এক শিক্ষকের স্ত্রীকে পাকিস্তানি সেনাদের সহায়তায় গুলি করে হত্যা; এপ্রিলের প্রথম দিকে এক আইনজীবীসহ ১১ জনকে দখিগঞ্জ শ্মশানে নিয়ে গুলি করে হত্যা; বদরগঞ্জের ধাপপাড়ায় নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীসহ ১১ জনকে গুলি করে হত্যা প্রভৃতি। একাত্তরের এপ্রিলে দেবগঞ্জের ঝাড়ুয়ার বিল ও পদ্মপুকুরের আশপাশের এলাকায় প্রায় ১২০০ মানুষকে পাকিস্তানি সেনারা হত্যা করে ও বাড়িঘর লুণ্ঠনের পর অগ্নিসংযোগ করে। এ গণহত্যার সঙ্গেও আজহারুলের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
চলতি বছরের ২২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আজহারুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক আছেন।
সাঈদীর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন চলছে: একই ট্রাইব্যুনালে গতকাল জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দ্বাদশ দিনের মতো যুক্তি উপস্থাপন করেন আসামিপক্ষের প্রধান আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক। তিনি মামলার আইনি বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন করেন। সাঈদী এ সময় আসামির কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন।
আবদুর রাজ্জাক দাবি করেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা এই মামলায় মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন। এর পরও তাঁকে বিশ্বাস করা হলে সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য থাকবে না। তিনি বলেন, রাজনৈতিক কারণে গণহত্যা হলে তা প্রচলিত আন্তর্জাতিক আইনে গণহত্যা হবে না। কোনো গোষ্ঠীকে পদ্ধতিগতভাবে নির্মূল করতে পরিকল্পিত উপায়ে নিধন চালালে সেটি গণহত্যা হবে। তিনি আজ সোমবারও যুক্তি উপস্থাপন করবেন।
No comments