কুয়েতে পার্লামেন্ট নির্বাচন-সংখ্যালঘু শিয়াদের জয়
কুয়েতে গত রবিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সংখ্যালঘু শিয়ারা জয়লাভ করেছে। ৫০ আসনের পার্লামেন্ট ১৫ আসন পেয়েছে তারা। বিরোধীরা এ নির্বাচন বর্জন করে। স্বল্প ভোটারের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনকে 'অবৈধ' বলেও অভিহিত করেছে তারা।
কুয়েতের জনসংখ্যার মাত্র ৩০ শতাংশ শিয়া মতাবলম্বী। এর আগে গত ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে মিয়ারা সাতটি আসন পেয়েছিল। এবারের ফলই এ যাবৎকালে তাদের সবচেয়ে বড় সাফল্য।
কয়েক মাস ধরেই কুয়েতের রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত। ১০ মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচন হলো রবিবার। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচন আদালতের নির্দেশে বাতিল হয়ে গেলে আমির শেখ সাবাহ আল-আহমাদ আল-সাবা (৮৩) পার্লামেন্টে ভেঙে দেন। প্রায় আড়াই শ বছর ধরে কুয়েতের মূল শাসনভার সাবা পরিবারের হাতে। এক মাস আগে নির্বাচনী আইনে সংস্কার আনেন আমির। এরই প্রতিবাদে বিরোধীরা ভোট বর্জন করে। এবারের ভোটের আগে মূলত সুনি্নপ্রধান বিরোধীরা শিয়াদেরও নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত কোনো সমঝোতায় পেঁৗছতে পারেনি গোষ্ঠী দুটি।
জাতীয় নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ফলে দেখা যায়, এবার তিনজন নারী প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। বিরোধীরা নির্বাচন বর্জন করায় এবার পার্লামেন্টে ৩০টি নতুন মুখ দেখা যাবে। কুয়েত সুনি্নপ্রধান দেশ হলেও এবারের পার্লামেন্টে তাদের তেমন প্রতিনিধিত্ব নেই। এই সম্প্রদায়ের মাত্র চারজন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন এবার। ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে তাদের ২৩ প্রার্থী জয় পেয়েছিলেন।
সরকারি হিসেবে নির্বাচনে ৩৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। তবে বিরোধীরা বলছে, ভোটার উপস্থিতি ছিল আরো কম, মাত্র ২৬ দশমিক সাত শতাংশ।
বিরোধী পপুলার কমিটি ফর বয়কটিং ইলেকশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নতুন পার্লামেন্টে 'কুয়েতের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের প্রতিনিধিত্ব নেই। এর জনমত বা রাজনৈতিক বৈধতাও নেই। অসাংবিধানিক এই পার্লামেন্টে যেসব আইন প্রণিত হবে তা অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে।' ইসলামপন্থী, জাতীয়তাবাদী ও উদারপন্থীদের নিয়ে গঠিত বিরোধী গোষ্ঠী নবনির্বাচিত পার্লামেন্ট ভেঙে না দেওয়া পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভ অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন।
আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই পার্লামেন্টে উদ্বোধনী অধিবেশন বসবে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
কয়েক মাস ধরেই কুয়েতের রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত। ১০ মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচন হলো রবিবার। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচন আদালতের নির্দেশে বাতিল হয়ে গেলে আমির শেখ সাবাহ আল-আহমাদ আল-সাবা (৮৩) পার্লামেন্টে ভেঙে দেন। প্রায় আড়াই শ বছর ধরে কুয়েতের মূল শাসনভার সাবা পরিবারের হাতে। এক মাস আগে নির্বাচনী আইনে সংস্কার আনেন আমির। এরই প্রতিবাদে বিরোধীরা ভোট বর্জন করে। এবারের ভোটের আগে মূলত সুনি্নপ্রধান বিরোধীরা শিয়াদেরও নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত কোনো সমঝোতায় পেঁৗছতে পারেনি গোষ্ঠী দুটি।
জাতীয় নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ফলে দেখা যায়, এবার তিনজন নারী প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। বিরোধীরা নির্বাচন বর্জন করায় এবার পার্লামেন্টে ৩০টি নতুন মুখ দেখা যাবে। কুয়েত সুনি্নপ্রধান দেশ হলেও এবারের পার্লামেন্টে তাদের তেমন প্রতিনিধিত্ব নেই। এই সম্প্রদায়ের মাত্র চারজন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন এবার। ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে তাদের ২৩ প্রার্থী জয় পেয়েছিলেন।
সরকারি হিসেবে নির্বাচনে ৩৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। তবে বিরোধীরা বলছে, ভোটার উপস্থিতি ছিল আরো কম, মাত্র ২৬ দশমিক সাত শতাংশ।
বিরোধী পপুলার কমিটি ফর বয়কটিং ইলেকশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নতুন পার্লামেন্টে 'কুয়েতের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের প্রতিনিধিত্ব নেই। এর জনমত বা রাজনৈতিক বৈধতাও নেই। অসাংবিধানিক এই পার্লামেন্টে যেসব আইন প্রণিত হবে তা অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে।' ইসলামপন্থী, জাতীয়তাবাদী ও উদারপন্থীদের নিয়ে গঠিত বিরোধী গোষ্ঠী নবনির্বাচিত পার্লামেন্ট ভেঙে না দেওয়া পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভ অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন।
আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই পার্লামেন্টে উদ্বোধনী অধিবেশন বসবে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
No comments