অর্জন-বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রানের জয়
অবিশ্বাস্য সব কাণ্ড ঘটে যাচ্ছে। অকল্পনীয়ও। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয়টাই যেখানে ছিল দূরের বাতিঘর, সেখানে কিনা টানা দুই ম্যাচে জয়! এর মধ্যে দ্বিতীয়টি আবার বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের ব্যবধানে! যদি বাংলাদেশের ঘোরতর সমর্থকও হন, তবু বুকে হাত দিয়ে বলুন তো, এই ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ১৬০ রানের জয়ের স্বপ্ন আপনার দূরতম কল্পনাতেও ছিল কিনা!
সহজ প্রশ্নের জানা উত্তর। খুলনায় কাল বাংলাদেশের জয়টি তাই হয়ে এসেছে বিস্ময়কর চমক। প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ার পর হম্বিতম্বি কম করেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অধিনায়ক ড্যারেন সামি নিশ্চিত জয়ের আগাম ঘোষণা দিয়েছিলেন। সহ-অধিনায়ক কিয়েরন পাওয়েল বলকে খুলনা থেকে ঢাকা উড়িয়ে ফেলার কথা বলে প্রকারান্তরালে তাচ্ছিল্যও করেছিলেন বাংলাদেশের সামর্থ্যকে। মুশফিকুর রহিমের দল এর পাল্টা জবাব দেয়নি। বলা ভালো, মুখের কথায় দেয়নি। মাঠের পারফরম্যান্সে এমনভাবেই দিয়েছে যে এখন ক্যারিবিয়ানদের মুখে কুলুপ আঁটার জোগাড়!
এর পরও ১৬০ রান ব্যবধানের জয়টি যেন একটু বেশি বেশি। প্রত্যাশা ছাড়ানো, সামর্থ্যের সীমা ডিঙানোও যেন! সেই ১৯৮৬ সাল থেকে ওয়ানডে খেলছে বাংলাদেশ। শুরুর দিকে হারই ছিল নিয়তি। সর্বশেষ অর্ধযুগে একটু একটু করে পাল্টেছে গ্রাফ। হেরেছে তবু বেশির ভাগ সময়, কিন্তু দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে মরণকামড় দিয়ে জয় তুলে নেওয়ার ঘটনাও একটু একুট করে কম জমেনি। তাই বলে ১০০ রানের বেশি ব্যবধানে জয়! কালকের আগে সব মিলিয়ে এমন উদাহরণ ছিল মোটে চারটি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইতিহাসের এ অধ্যায়ের পঞ্চম পাতা সংযোজিত হবে, সেটি আবার ছাড়িয়ে যাবে আগের সবকে- এতটা ভাবতে হলে যে বিজ্ঞান কল্পকাহিনীর লেখক হতে হতো!
একে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই দলটি মাত্রই টোয়েন্টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে এসেছে, তারপর বাংলাদেশে এসেও প্রথম দুই টেস্টে জয়। ওয়ানডে সিরিজে তাই ৫-০ ব্যবধানে জয়ের লক্ষ্যের কথা যখন বলেছিলেন ড্যারেন সামি, হাসেননি কেউ। বরং আতঙ্কই যেন ছিল কিছুটা। সেখানে শত রানের বেশি ব্যবধানে জয় তো রীতিমতো রূপকথার গল্প! এর আগে মাত্র চারবারই প্রতিপক্ষকে ওই ব্যবধানে হারাতে পেরেছিল বাংলাদেশ। সেও কোন সব প্রতিপক্ষ? স্কটল্যান্ড, কেনিয়া, হংকং এবং খেলোয়াড়-বিদ্রোহে বিধ্বস্ত জিম্বাবুয়ে। ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে মিরপুরে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪৬ রানের জয়টি এত দিন ছিল সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয়। ওই বছরের মার্চে কেনিয়ার বিপক্ষে বগুড়ায় ১৩১, ২০০৪-এ কলম্বোয় হংকংয়ের বিপক্ষে ১১৬ এবং ২০০৬ সালে জয়পুরে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১০১ রানের ব্যবধানে ছিল অন্য তিনটি জয়।
ওই জয়গুলোয় প্রতিপক্ষ দলে ক্রিস গেইলের মতো কোনো দানব ছিলেন না। স্যামুয়েলস-স্মিথ-পোলার্ডের মতো খুনে মেজাজের কেউও নন। ছিলেন না বল হাতে নারিন-রামপল-সামিদের মতো কঠিন পরীক্ষায় ফেলার মতো কেউ। বাংলাদেশের কালকের ১৬০ রানের জয়ের মাহাত্ম্য তাতে বেড়ে যাচ্ছে বহু বহু বহুগুণ। এ দেশের ক্রিকেট-রূপকথায় ২ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখটি তাই আলাদা করে জ্বলজ্বল করবেই। বহু বহু বহুদিন!
এর পরও ১৬০ রান ব্যবধানের জয়টি যেন একটু বেশি বেশি। প্রত্যাশা ছাড়ানো, সামর্থ্যের সীমা ডিঙানোও যেন! সেই ১৯৮৬ সাল থেকে ওয়ানডে খেলছে বাংলাদেশ। শুরুর দিকে হারই ছিল নিয়তি। সর্বশেষ অর্ধযুগে একটু একটু করে পাল্টেছে গ্রাফ। হেরেছে তবু বেশির ভাগ সময়, কিন্তু দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে মরণকামড় দিয়ে জয় তুলে নেওয়ার ঘটনাও একটু একুট করে কম জমেনি। তাই বলে ১০০ রানের বেশি ব্যবধানে জয়! কালকের আগে সব মিলিয়ে এমন উদাহরণ ছিল মোটে চারটি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইতিহাসের এ অধ্যায়ের পঞ্চম পাতা সংযোজিত হবে, সেটি আবার ছাড়িয়ে যাবে আগের সবকে- এতটা ভাবতে হলে যে বিজ্ঞান কল্পকাহিনীর লেখক হতে হতো!
একে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই দলটি মাত্রই টোয়েন্টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে এসেছে, তারপর বাংলাদেশে এসেও প্রথম দুই টেস্টে জয়। ওয়ানডে সিরিজে তাই ৫-০ ব্যবধানে জয়ের লক্ষ্যের কথা যখন বলেছিলেন ড্যারেন সামি, হাসেননি কেউ। বরং আতঙ্কই যেন ছিল কিছুটা। সেখানে শত রানের বেশি ব্যবধানে জয় তো রীতিমতো রূপকথার গল্প! এর আগে মাত্র চারবারই প্রতিপক্ষকে ওই ব্যবধানে হারাতে পেরেছিল বাংলাদেশ। সেও কোন সব প্রতিপক্ষ? স্কটল্যান্ড, কেনিয়া, হংকং এবং খেলোয়াড়-বিদ্রোহে বিধ্বস্ত জিম্বাবুয়ে। ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে মিরপুরে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪৬ রানের জয়টি এত দিন ছিল সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয়। ওই বছরের মার্চে কেনিয়ার বিপক্ষে বগুড়ায় ১৩১, ২০০৪-এ কলম্বোয় হংকংয়ের বিপক্ষে ১১৬ এবং ২০০৬ সালে জয়পুরে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১০১ রানের ব্যবধানে ছিল অন্য তিনটি জয়।
ওই জয়গুলোয় প্রতিপক্ষ দলে ক্রিস গেইলের মতো কোনো দানব ছিলেন না। স্যামুয়েলস-স্মিথ-পোলার্ডের মতো খুনে মেজাজের কেউও নন। ছিলেন না বল হাতে নারিন-রামপল-সামিদের মতো কঠিন পরীক্ষায় ফেলার মতো কেউ। বাংলাদেশের কালকের ১৬০ রানের জয়ের মাহাত্ম্য তাতে বেড়ে যাচ্ছে বহু বহু বহুগুণ। এ দেশের ক্রিকেট-রূপকথায় ২ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখটি তাই আলাদা করে জ্বলজ্বল করবেই। বহু বহু বহুদিন!
No comments