বিশ্বজুড়ে আরো ১৬০০ গুপ্তচর পাঠাবে পেন্টাগন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন তার গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক আরো বিস্তৃত করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী বিভিন্ন দেশে আরো প্রায় এক হাজার ৬০০ জন গুপ্তচর পাঠাবে তারা। গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকা তাদের এক প্রতিবেদনে এ দাবি করেছে।
মূলত প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিআইএ) ঢেলে সাজাতেই ওই প্রকল্প হাতে নিয়েছে পেন্টাগন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ) বর্তমানে আফগানিস্তানের বাইরে বড় ধরনের ড্রোন (চালকবিহীন বিমান) হামলাগুলো পরিচালনা করে। একই সময় পেন্টাগনের পরিকল্পনা হলো প্রতিরক্ষা গুপ্তচর বিভাগ (ডিসিএস) গড়ে তোলা। এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সামরিক কর্মকর্তারা বিদেশে শত শত নতুন গুপ্তচর পাঠাবেন। তাঁরা ডিআইএকে এগিয়ে নিতে চান। ডিআইএ গত দশ বছরে ইরাক ও আফগানিস্তানে যুদ্ধ সম্পর্কিত তৎপরতায় প্রাধান্য পেয়েছিল। এ সময়টিতে সংস্থাটি সিআইএ এবং এলিট মিলিটারি কমান্ডো ইউনিটের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ শক্তি হিসেবে ভূমিকা রাখে। বিশ্বজুড়ে ডিআইএর এক হাজার ৬০০ গোয়েন্দা তথ্য 'সংগ্রহকারী' পাঠানোর মধ্য দিয়ে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। এটা সংস্থাটির জন্য অনেক বড় একটি পদক্ষেপ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একটি গোয়েন্দা সংস্থার জন্য বিদেশে এটাই হবে সর্বোচ্চ উপস্থিতি। কোনো সংস্থাই তিন অঙ্কের ঘর ছাড়িয়ে যেতে পারেনি।
ডিআইএ-এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল টি ফ্লিন সম্প্রতি এক সম্মেলনে বলেছেন, এটা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য একটি বড় ধরনের সংযোজন। তিনি সম্মেলনে এ পরিকল্পনার রূপরেখা তুলে ধরেন। তবে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায় যাননি।
সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, সিআইএতে প্রশিক্ষিত নতুন প্রজন্মের গুপ্তচর মোতায়েন করার কথাও এ পরিকল্পনায় রয়েছে। এ চরদের প্রায়ই যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ বিশেষ অভিযানে কাজ করতে হবে। তবে প্রতিরক্ষা বিভাগই তাদের কাজ ঠিক করে দেবে। নতুন এ গোয়েন্দাদের মোতায়েন করতে পাঁচ বছর সময় লেগে যাবে। গোয়েন্দা তৎপরতা চালানোর জন্য পেন্টাগনের গুরুত্বের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে আফ্রিকার ইসলামপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো, উত্তর কোরিয়া ও ইরান থেকে অস্ত্র পাচার এবং চীনের সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়ন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ডিআইএর এতটা আকস্মিক শক্তি বৃদ্ধির পেছনে সুদূরপ্রসারি পরিকল্পনা রয়েছে। এতকাল সামরিক বাহিনী ও গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে অভিযান, সামর্থ্য ও নেতৃত্ব কাঠামোর দিক থেকে অনেক পার্থক্য ছিল। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে এগুলো দূর করা হবে।
ডিআইএ-এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল টি ফ্লিন সম্প্রতি এক সম্মেলনে বলেছেন, এটা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য একটি বড় ধরনের সংযোজন। তিনি সম্মেলনে এ পরিকল্পনার রূপরেখা তুলে ধরেন। তবে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায় যাননি।
সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, সিআইএতে প্রশিক্ষিত নতুন প্রজন্মের গুপ্তচর মোতায়েন করার কথাও এ পরিকল্পনায় রয়েছে। এ চরদের প্রায়ই যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ বিশেষ অভিযানে কাজ করতে হবে। তবে প্রতিরক্ষা বিভাগই তাদের কাজ ঠিক করে দেবে। নতুন এ গোয়েন্দাদের মোতায়েন করতে পাঁচ বছর সময় লেগে যাবে। গোয়েন্দা তৎপরতা চালানোর জন্য পেন্টাগনের গুরুত্বের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে আফ্রিকার ইসলামপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো, উত্তর কোরিয়া ও ইরান থেকে অস্ত্র পাচার এবং চীনের সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়ন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ডিআইএর এতটা আকস্মিক শক্তি বৃদ্ধির পেছনে সুদূরপ্রসারি পরিকল্পনা রয়েছে। এতকাল সামরিক বাহিনী ও গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে অভিযান, সামর্থ্য ও নেতৃত্ব কাঠামোর দিক থেকে অনেক পার্থক্য ছিল। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে এগুলো দূর করা হবে।
No comments