সোনালী ব্যাংকের ৬৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ-না.গঞ্জে দুদকের ৩ মামলা
নারায়ণগঞ্জে ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করে সোনালী ব্যাংক মহিলা শাখার (বর্তমানে ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখা) প্রায় ৬৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে ওই শাখার সাবেক ব্যবস্থাপকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আলাদা করে তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
গতকাল বুধবার বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ঢাকা-২ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. সিরাজউদ্দিন বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় এসব মামলা করেন। আসামিরা হলেন নারায়ণগঞ্জ সোনালী ব্যাংক মহিলা শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক আবদুস সামাদ ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সিরাজুল হক, নগরীর সিরাজুদৌল্লাহ রোড এলাকার এ এস নিটওয়্যার লিমিটেডের মালিক সৈয়দ মহসিন উদ্দিন সোহেল, কিল্লারপুল এলাকার এস এস নিটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দুলাল সাহা সঞ্জয় ও স্কয়ার অ্যাটায়ার্সের পরিচালক রঞ্জন কুমার ধর। সামাদ ও সিরাজুলকে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে এর মধ্যেই চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
এসব মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সোনালী ব্যাংকের ওই শাখাটির ব্যবস্থাপক সামাদ ও কর্মকর্তা সিরাজুলের যোগসাজশে আন্তর্জাতিক ঋণ মঞ্জুরি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের নিয়ম-নীতি লঙ্ঘন করে ব্যাক টু ব্যাক এলসির (ঋণপত্র) বিপরীতে ওই তিনটি রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান ঋণ গ্রহণ করে পরিশোধ করেনি। এটা দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ দুই নম্বর আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এজাহারে আরো বলা হয়েছে, এস এস নিটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দুলাল সাহা সঞ্জয় ২০০৪ সালের ২১ অক্টোবর ব্যাক টু ব্যাক এলসির বিপরীতে ১৫ কোটি ৫২ লাখ সাত হাজার ৯৯৭ টাকা ঋণ নেন, যা সুদে-আসলে ২৩ কোটি ২৮ হাজার ৭৭ হাজার ৭৪৫ টাকা হয়েছে। ওই বছরের ১৫ জুন স্কয়ার অ্যাটায়ার্সের পরিচালক রঞ্জন কুমার ধর একইভাবে ১০ কোটি ৩০ লাখ ৩৯ হাজার ৯০৯ টাকা ঋণ নেন, যা সুদে-আসলে হয়েছে ১৭ কোটি দুই লাখ ২৩ হাজার ৮৭২ টাকা। পরের বছর ৫ সেপ্টেম্বর এ এস নিটওয়্যার লিমিটেডের মালিক সৈয়দ মহসিন উদ্দিন সোহেল ঋণ নেন ১৫ কোটি ছয় লাখ ৫৫ হাজার ৩৬৯ টাকা, যা সুদে-আসলে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ কোটি ৬১ লাখ ৩৮ হাজার টাকায়।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সোনালী ব্যাংক ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. শাহ আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, '২০০৩ সালের ২২ এপ্রিল থেকে ২০০৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মহিলা শাখার দায়িত্বে ছিলেন সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (এসপিও) আবদুস সামাদ। ২০১১ সালের ৫ ডিসেম্বর এসে আমি দায়িত্ব নেই। এসব ঋণের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে তাঁরাই ভালো বলতে পারবেন।' তিনি বলেন, ঋণ আদায়ে তাঁরা একের পর এক মামলা করে যাচ্ছেন। তবে ঋণ আদায়ের হার শূন্য।
এসব মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সোনালী ব্যাংকের ওই শাখাটির ব্যবস্থাপক সামাদ ও কর্মকর্তা সিরাজুলের যোগসাজশে আন্তর্জাতিক ঋণ মঞ্জুরি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের নিয়ম-নীতি লঙ্ঘন করে ব্যাক টু ব্যাক এলসির (ঋণপত্র) বিপরীতে ওই তিনটি রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান ঋণ গ্রহণ করে পরিশোধ করেনি। এটা দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ দুই নম্বর আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এজাহারে আরো বলা হয়েছে, এস এস নিটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দুলাল সাহা সঞ্জয় ২০০৪ সালের ২১ অক্টোবর ব্যাক টু ব্যাক এলসির বিপরীতে ১৫ কোটি ৫২ লাখ সাত হাজার ৯৯৭ টাকা ঋণ নেন, যা সুদে-আসলে ২৩ কোটি ২৮ হাজার ৭৭ হাজার ৭৪৫ টাকা হয়েছে। ওই বছরের ১৫ জুন স্কয়ার অ্যাটায়ার্সের পরিচালক রঞ্জন কুমার ধর একইভাবে ১০ কোটি ৩০ লাখ ৩৯ হাজার ৯০৯ টাকা ঋণ নেন, যা সুদে-আসলে হয়েছে ১৭ কোটি দুই লাখ ২৩ হাজার ৮৭২ টাকা। পরের বছর ৫ সেপ্টেম্বর এ এস নিটওয়্যার লিমিটেডের মালিক সৈয়দ মহসিন উদ্দিন সোহেল ঋণ নেন ১৫ কোটি ছয় লাখ ৫৫ হাজার ৩৬৯ টাকা, যা সুদে-আসলে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ কোটি ৬১ লাখ ৩৮ হাজার টাকায়।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সোনালী ব্যাংক ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. শাহ আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, '২০০৩ সালের ২২ এপ্রিল থেকে ২০০৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মহিলা শাখার দায়িত্বে ছিলেন সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (এসপিও) আবদুস সামাদ। ২০১১ সালের ৫ ডিসেম্বর এসে আমি দায়িত্ব নেই। এসব ঋণের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে তাঁরাই ভালো বলতে পারবেন।' তিনি বলেন, ঋণ আদায়ে তাঁরা একের পর এক মামলা করে যাচ্ছেন। তবে ঋণ আদায়ের হার শূন্য।
No comments