ধর্ম- সমাজে অপরাধের শাস্তির বিধান by মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান
সমাজে জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে হরেক রকম চিন্তার মানুষের বসবাস। অধিকাংশ মানুষই শান্তিপ্রিয় ও শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে থাকতে পছন্দ করে। কিন্তু অপরাধী ও দুষ্কৃতকারীর সংখ্যাও কম নয় এবং এদের কারণেই মূলত অশান্তি ও বিপর্যয় দেখা দেয়।
যদি চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি, চাঁদাবাজি, খুন-খারাবি, হত্যা, নির্যাতন, জবরদখল প্রভৃতি অসামাজিক কার্যকলাপ পরিলক্ষিত হয় এবং অপরাধীর বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয়, তবে সে এসব অপরাধ সংক্রামক ব্যাধির মতো বিস্তার লাভ করে। জালিমরা সুযোগ পেলেই অন্যায়-অত্যাচারের মাত্রা আরও বৃদ্ধি করবে। ফলে গোটা সমাজই কলুষিত হবে এবং সেখানে সুখ-শান্তি ব্যাহত হবে। তাই বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও সামাজিক ভারসাম্য রক্ষায় এ ধরনের অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে পরিশুদ্ধ করায় ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যখন (বিচারে) তোমরা কথা বল তখন ন্যায্য বলবে যদিও (বিচারাধীন ব্যক্তি) নিকটাত্মীয় হয়।’ (সূরা আল-আনআম: ১৫২)
মানবসমাজে শান্তি-শৃঙ্খলার পথে প্রতিবন্ধকতাস্বরূপ যেকোনো ধরনের অন্যায়-অপরাধকে ইসলাম অতিশয় গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে। কেউ যদি ইচ্ছাকৃত হত্যা, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, লুণ্ঠন, ব্যভিচার—এমন নিদারুণ অপরাধ করে,, তা হলে তার অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত। কেননা, ইচ্ছাকৃত অপরাধ ক্ষমা করে দিলে অপরাধী ব্যক্তি তা বারবার করতে থাকবে এবং তার অপরাধপ্রবণতা বেড়ে যাবে। এ ধরনের অপরাধ যে-ই করুক না কেন, সুষ্ঠু বিচারে তার শাস্তি কার্যকর করার ব্যাপারে ইসলাম দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এই মর্মে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘সুতরাং আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তদানুসারে তুমি তাদের বিচার নিষ্পত্তি করো এবং যে সত্য তোমার কাছে এসেছে তা ত্যাগ করে তাদের খেয়াল-খুশির (প্রবৃত্তির) অনুসরণ করো না।’ (সূরা আল-মায়িদা: ৪৮)
ইসলামের দৃষ্টিতে ব্যক্তি বা বংশীয় কৌলিন্য বা অন্য কোনো কিছুই অপরাধের শাস্তি থেকে মুক্তির জন্য যথেষ্ট নয়। একদা আরবের বিখ্যাত মাখজুমি বংশীয় সম্ভ্রান্ত ঘরের একজন নারী চুরির অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর শাস্তি কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু কুরাইশরা তাঁকে শাস্তি দেওয়ার পক্ষপাতী ছিল না। তখন একজন সাহাবি নবী করিম (সা.)-কে অনুরোধ জানালেন যে নারীটি বড় বংশের সন্তান, তাই তাঁকে যেন লঘু দণ্ড দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (সা.) অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হয়ে বললেন, যদি তাঁর কন্যা ফাতিমা চুরির অপরাধে ধরা পড়তেন, তা হলে তিনি তাঁকেও একই শাস্তির নির্দেশ দিতেন।
একদা একজন সাহাবি নিজে ব্যভিচারের স্বীকারোক্তি করলেও রাসুলুল্লাহ (সা.) সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে শাস্তির সম্মুখীন করেননি; বরং বিভিন্ন কৌশলে তাঁর অপরাধের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে তবেই শাস্তি কার্যকর করেছেন। মহানবী (সা.) অধিক সতর্কতার দরুন ইন্তেকালের আগে একবার মিম্বারে বসে বলেছিলেন, ‘হে লোক সকল! আমি যাদের বেত্রাঘাত করেছি এই যে আমার পিঠ উপস্থিত, ইচ্ছা করলে সে যেন আমার কাছ থেকে বদলা নেয়। আমি যার সম্পদ নিয়েছি, আমার সম্পদ উপস্থিত, সে যেন তা নিয়ে নেয়।...কেননা আমি কিয়ামতের ময়দানে আল্লাহর সামনে সকল প্রকার দায়মুক্ত হয়ে উঠতে চাই।’ (আল-আহকামুস সুলতানিয়া ১/৩)
ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত উমর ফারুক (রা.) অপরাধীর ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কঠোর ছিলেন। তাঁর নীতি ছিল, ‘আইনের চোখে সবাই সমান’। একদা তাঁর পুত্র আবু শামা বিচারে মদ্যপানের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে তিনি আইন অনুসারে ছেলেকে বেত্রাঘাতের আদেশ দিলেন। বেত্রাঘাতের ফলে তাঁর পুত্র আবু শামা প্রাণ হারান।
কিন্তু নিরপরাধ কাউকে দোষারোপ করা এবং শাস্তি দেওয়া ইসলামের বিচারে গুরুতর অপরাধ। ইসলামের বিধিবিধান ব্যক্তির অপরাধের শাস্তি প্রয়োগের ব্যাপারে যেমন কঠোর, অপরাধ প্রমাণের ব্যাপারেও তেমনি অত্যন্ত সতর্ক। এ ক্ষেত্রে ইসলামের মূলনীতি হচ্ছে, কারও অপরাধ প্রমাণিত না হলে শুধু সন্দেহবশত শাস্তি দেওয়া যাবে না। আবার কখনো কখনো মানুষ ন্যায়-অন্যায় বুঝতে না পেরে অপরাধ করে। এ অবস্থায় অপরাধী ব্যক্তি ক্ষমা প্রার্থনা করলে সে ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য।
সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও অপরাধ দমনকারীদের জন্য ইসলামে নির্ধারিত সীমারেখা পালনের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা হলো—যে অপরাধী তাকে কঠোরভাবে দমন করা এবং যে অপরাধী নয় তাকে কোনোভাবে অপদস্থ না করা। শাসকদের করণীয় ও শাসনব্যবস্থ্থা কী হবে, তা উল্লেখ করে আল্লাহ পাক ঘোষণা করেছেন, ‘হে দাউদ! আমি তোমাকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছি, অতএব তুমি লোকদের মধ্যে সুবিচার করো এবং খেয়াল-খুশির অনুসরণ কোরো না, কেননা এটা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করবে।’ (সূরা সোয়াদ: ২৬)
মানবসমাজে অন্যায় ও দুষ্কর্ম করা যেমন শাস্তিযোগ্য অপরাধ, ঠিক তদ্রূপ নিরপরাধ কিংবা অপরাধ প্রমাণিত হয়নি নিছক অভিযুক্ত হয়েছে এমন কোনো ব্যক্তিকে শাস্তি দেওয়াও অপরাধ। সুতরাং যেকোনো অপরাধ সংঘটন, অপরাধীকে ধরা ও শাস্তি প্রদানের মতো জটিল ক্ষেত্রগুলোতে প্রত্যেকের সংযত আচরণ করা দরকার। আর যে ভয়াবহ অপরাধের ফলে সামাজিক জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ে, তার শাস্তি প্রদান না করলে সমাজ অন্যায়-অবিচার ও অরাজকতার শিকার হবে এবং সমাজে অশান্তি বিরাজ করবে। এ জন্য সর্বাবস্থায় সর্বপ্রকার অপরাধ ক্ষমার যোগ্য নয়। যদিও ব্যক্তিগত ব্যাপারে অপরাধীকে ক্ষমা করা যেতে পারে, কিন্তু সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে প্রচলিত আইনের অধীনে ন্যায্যতার ভিত্তিতে অপরাধের বিচার করতে হবে। তা না হলে এই ক্ষমার সুযোগে অন্যান্য লোকও অনুরূপ অন্যায়-অপরাধমূলক কার্যকলাপে লিপ্ত হবে। ফলে সমাজ ও জাতি কলুষময় হয়ে পড়বে এবং দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। তাই ইসলামের বিধান অনুযায়ী কারও প্রতি কোনোরূপ পক্ষপাতিত্ব ও স্বজনপ্রীতি না করে পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহভিত্তিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা আদলের উদ্দেশ্য। ফলে সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে এবং জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ সুখে-স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করতে পারবে।
ড. মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও কলাম লেখক।
dr.munimkhan@yahoo.com
মানবসমাজে শান্তি-শৃঙ্খলার পথে প্রতিবন্ধকতাস্বরূপ যেকোনো ধরনের অন্যায়-অপরাধকে ইসলাম অতিশয় গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে। কেউ যদি ইচ্ছাকৃত হত্যা, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, লুণ্ঠন, ব্যভিচার—এমন নিদারুণ অপরাধ করে,, তা হলে তার অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত। কেননা, ইচ্ছাকৃত অপরাধ ক্ষমা করে দিলে অপরাধী ব্যক্তি তা বারবার করতে থাকবে এবং তার অপরাধপ্রবণতা বেড়ে যাবে। এ ধরনের অপরাধ যে-ই করুক না কেন, সুষ্ঠু বিচারে তার শাস্তি কার্যকর করার ব্যাপারে ইসলাম দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এই মর্মে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘সুতরাং আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তদানুসারে তুমি তাদের বিচার নিষ্পত্তি করো এবং যে সত্য তোমার কাছে এসেছে তা ত্যাগ করে তাদের খেয়াল-খুশির (প্রবৃত্তির) অনুসরণ করো না।’ (সূরা আল-মায়িদা: ৪৮)
ইসলামের দৃষ্টিতে ব্যক্তি বা বংশীয় কৌলিন্য বা অন্য কোনো কিছুই অপরাধের শাস্তি থেকে মুক্তির জন্য যথেষ্ট নয়। একদা আরবের বিখ্যাত মাখজুমি বংশীয় সম্ভ্রান্ত ঘরের একজন নারী চুরির অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর শাস্তি কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু কুরাইশরা তাঁকে শাস্তি দেওয়ার পক্ষপাতী ছিল না। তখন একজন সাহাবি নবী করিম (সা.)-কে অনুরোধ জানালেন যে নারীটি বড় বংশের সন্তান, তাই তাঁকে যেন লঘু দণ্ড দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (সা.) অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হয়ে বললেন, যদি তাঁর কন্যা ফাতিমা চুরির অপরাধে ধরা পড়তেন, তা হলে তিনি তাঁকেও একই শাস্তির নির্দেশ দিতেন।
একদা একজন সাহাবি নিজে ব্যভিচারের স্বীকারোক্তি করলেও রাসুলুল্লাহ (সা.) সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে শাস্তির সম্মুখীন করেননি; বরং বিভিন্ন কৌশলে তাঁর অপরাধের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে তবেই শাস্তি কার্যকর করেছেন। মহানবী (সা.) অধিক সতর্কতার দরুন ইন্তেকালের আগে একবার মিম্বারে বসে বলেছিলেন, ‘হে লোক সকল! আমি যাদের বেত্রাঘাত করেছি এই যে আমার পিঠ উপস্থিত, ইচ্ছা করলে সে যেন আমার কাছ থেকে বদলা নেয়। আমি যার সম্পদ নিয়েছি, আমার সম্পদ উপস্থিত, সে যেন তা নিয়ে নেয়।...কেননা আমি কিয়ামতের ময়দানে আল্লাহর সামনে সকল প্রকার দায়মুক্ত হয়ে উঠতে চাই।’ (আল-আহকামুস সুলতানিয়া ১/৩)
ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত উমর ফারুক (রা.) অপরাধীর ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কঠোর ছিলেন। তাঁর নীতি ছিল, ‘আইনের চোখে সবাই সমান’। একদা তাঁর পুত্র আবু শামা বিচারে মদ্যপানের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে তিনি আইন অনুসারে ছেলেকে বেত্রাঘাতের আদেশ দিলেন। বেত্রাঘাতের ফলে তাঁর পুত্র আবু শামা প্রাণ হারান।
কিন্তু নিরপরাধ কাউকে দোষারোপ করা এবং শাস্তি দেওয়া ইসলামের বিচারে গুরুতর অপরাধ। ইসলামের বিধিবিধান ব্যক্তির অপরাধের শাস্তি প্রয়োগের ব্যাপারে যেমন কঠোর, অপরাধ প্রমাণের ব্যাপারেও তেমনি অত্যন্ত সতর্ক। এ ক্ষেত্রে ইসলামের মূলনীতি হচ্ছে, কারও অপরাধ প্রমাণিত না হলে শুধু সন্দেহবশত শাস্তি দেওয়া যাবে না। আবার কখনো কখনো মানুষ ন্যায়-অন্যায় বুঝতে না পেরে অপরাধ করে। এ অবস্থায় অপরাধী ব্যক্তি ক্ষমা প্রার্থনা করলে সে ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য।
সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও অপরাধ দমনকারীদের জন্য ইসলামে নির্ধারিত সীমারেখা পালনের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা হলো—যে অপরাধী তাকে কঠোরভাবে দমন করা এবং যে অপরাধী নয় তাকে কোনোভাবে অপদস্থ না করা। শাসকদের করণীয় ও শাসনব্যবস্থ্থা কী হবে, তা উল্লেখ করে আল্লাহ পাক ঘোষণা করেছেন, ‘হে দাউদ! আমি তোমাকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছি, অতএব তুমি লোকদের মধ্যে সুবিচার করো এবং খেয়াল-খুশির অনুসরণ কোরো না, কেননা এটা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করবে।’ (সূরা সোয়াদ: ২৬)
মানবসমাজে অন্যায় ও দুষ্কর্ম করা যেমন শাস্তিযোগ্য অপরাধ, ঠিক তদ্রূপ নিরপরাধ কিংবা অপরাধ প্রমাণিত হয়নি নিছক অভিযুক্ত হয়েছে এমন কোনো ব্যক্তিকে শাস্তি দেওয়াও অপরাধ। সুতরাং যেকোনো অপরাধ সংঘটন, অপরাধীকে ধরা ও শাস্তি প্রদানের মতো জটিল ক্ষেত্রগুলোতে প্রত্যেকের সংযত আচরণ করা দরকার। আর যে ভয়াবহ অপরাধের ফলে সামাজিক জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ে, তার শাস্তি প্রদান না করলে সমাজ অন্যায়-অবিচার ও অরাজকতার শিকার হবে এবং সমাজে অশান্তি বিরাজ করবে। এ জন্য সর্বাবস্থায় সর্বপ্রকার অপরাধ ক্ষমার যোগ্য নয়। যদিও ব্যক্তিগত ব্যাপারে অপরাধীকে ক্ষমা করা যেতে পারে, কিন্তু সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে প্রচলিত আইনের অধীনে ন্যায্যতার ভিত্তিতে অপরাধের বিচার করতে হবে। তা না হলে এই ক্ষমার সুযোগে অন্যান্য লোকও অনুরূপ অন্যায়-অপরাধমূলক কার্যকলাপে লিপ্ত হবে। ফলে সমাজ ও জাতি কলুষময় হয়ে পড়বে এবং দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। তাই ইসলামের বিধান অনুযায়ী কারও প্রতি কোনোরূপ পক্ষপাতিত্ব ও স্বজনপ্রীতি না করে পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহভিত্তিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা আদলের উদ্দেশ্য। ফলে সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে এবং জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ সুখে-স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করতে পারবে।
ড. মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও কলাম লেখক।
dr.munimkhan@yahoo.com
No comments