জেলহত্যা দিবস-কলঙ্কমোচনের দায় এ জাতির
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ বিজয়ী বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশের জন্য বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বর যেমন একটি গৌরবের দিন, তেমনি স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে অনেক কালো দিনও রয়েছে। সেই কালো দিনগুলো আমাদের আচ্ছন্ন করে বেদনায় ও শোকে।
এমনই বেদনার্ত এক শোকের দিন আজ ৩ নভেম্বর। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে অশুভ শক্তির চক্রান্তে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় দেশের জাতীয় চার নেতাকে। আজ আমরা পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করি জাতীয় চার নেতা- স্বাধীন বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে। সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর দেশে তখন এক অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছিল। সেই অস্থিতিশীলতার সুযোগ নিয়ে ঘাতকচক্র জেলহত্যার মতো নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সুগভীর ষড়যন্ত্র চলে আসছে। স্বাধীন দেশটিকে কোনোভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না দেওয়ার ষড়যন্ত্রে আন্তর্জাতিক শক্তির সঙ্গে শুরু থেকেই হাত মিলিয়েছে দেশের স্বাধীনতাবিরোধী চক্র। এই মিলিত শক্তির ষড়যন্ত্রেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে ছিল যে গভীর ষড়যন্ত্র, তারই অংশ হিসেবে কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করতে না পেরে ষড়যন্ত্রকারীরা তৎপর হয় স্বাধীনতার ঊষালগ্নেই। তখন হত্যা করা হয়েছিল দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের। উদ্দেশ্য ছিল, মেধা ও মননশীলতায় বাংলাদেশকে অগ্রসর হতে না দেওয়া। আর এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কাজ করেছে এক সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র। দেশকে রাজনৈতিকভাবে পঙ্গু করা, রাজনীতিকহীন করার একটা অপচেষ্টা ছিল ঘাতকচক্রের। এই হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি বড় ট্র্যাজেডি। কেমন করে রাতের অন্ধকারে কারাগারের নিরাপত্তা ভেদ করে ঘাতকচক্র অস্ত্রহাতে কারা অভ্যন্তরে প্রবেশ করল, সেটা আজও একটা বড় প্রশ্ন। দুঃখের বিষয়, জেলহত্যার পর দীর্ঘদিন রাজনৈতিক কারণে ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল হত্যা মামলা। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মামলার প্রক্রিয়া পুনরুজ্জীবিত করা হয়। ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর নিম্ন-আদালত থেকে মামলার রায় পাওয়া যায়। রায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ডসহ ১৫ জনের সাজা হয়। এরপর মামলা যায় হাইকোর্টে। পাওয়া যায় হাইকোর্টের রায়। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের আপিলের আবেদনও (লিভ টু আপিল) আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে মঞ্জুর হয়েছে। এখন অভিযোগ উঠেছে, পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ডের সব আলামত নষ্ট করা হয়েছে।
দেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে এ ধরনের রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ও ষড়যন্ত্রের কারণেই। ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়ে যায়নি।
৩ নভেম্বরের জেলহত্যা ইতিহাসের আরেক কলঙ্ক। বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর একটি একটি করে জাতির ললাট থেকে কলঙ্ক মোচন করছে। জেলহত্যার সঠিক বিচার ও রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে ইতিহাসের আরেক কলঙ্ক থেকে জাতি মুক্ত হবে- এটাই সবার প্রত্যাশা। দেশে আইনের শাসন নিশ্চিত করতেও এ মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তির কোনো বিকল্প নেই। ইতিহাসের এই কলঙ্কমোচনের দায় শুধু সরকারেরই নয়, পুরো জাতির।
স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সুগভীর ষড়যন্ত্র চলে আসছে। স্বাধীন দেশটিকে কোনোভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না দেওয়ার ষড়যন্ত্রে আন্তর্জাতিক শক্তির সঙ্গে শুরু থেকেই হাত মিলিয়েছে দেশের স্বাধীনতাবিরোধী চক্র। এই মিলিত শক্তির ষড়যন্ত্রেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে ছিল যে গভীর ষড়যন্ত্র, তারই অংশ হিসেবে কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করতে না পেরে ষড়যন্ত্রকারীরা তৎপর হয় স্বাধীনতার ঊষালগ্নেই। তখন হত্যা করা হয়েছিল দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের। উদ্দেশ্য ছিল, মেধা ও মননশীলতায় বাংলাদেশকে অগ্রসর হতে না দেওয়া। আর এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কাজ করেছে এক সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র। দেশকে রাজনৈতিকভাবে পঙ্গু করা, রাজনীতিকহীন করার একটা অপচেষ্টা ছিল ঘাতকচক্রের। এই হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি বড় ট্র্যাজেডি। কেমন করে রাতের অন্ধকারে কারাগারের নিরাপত্তা ভেদ করে ঘাতকচক্র অস্ত্রহাতে কারা অভ্যন্তরে প্রবেশ করল, সেটা আজও একটা বড় প্রশ্ন। দুঃখের বিষয়, জেলহত্যার পর দীর্ঘদিন রাজনৈতিক কারণে ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল হত্যা মামলা। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মামলার প্রক্রিয়া পুনরুজ্জীবিত করা হয়। ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর নিম্ন-আদালত থেকে মামলার রায় পাওয়া যায়। রায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ডসহ ১৫ জনের সাজা হয়। এরপর মামলা যায় হাইকোর্টে। পাওয়া যায় হাইকোর্টের রায়। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের আপিলের আবেদনও (লিভ টু আপিল) আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে মঞ্জুর হয়েছে। এখন অভিযোগ উঠেছে, পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ডের সব আলামত নষ্ট করা হয়েছে।
দেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে এ ধরনের রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ও ষড়যন্ত্রের কারণেই। ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়ে যায়নি।
৩ নভেম্বরের জেলহত্যা ইতিহাসের আরেক কলঙ্ক। বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর একটি একটি করে জাতির ললাট থেকে কলঙ্ক মোচন করছে। জেলহত্যার সঠিক বিচার ও রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে ইতিহাসের আরেক কলঙ্ক থেকে জাতি মুক্ত হবে- এটাই সবার প্রত্যাশা। দেশে আইনের শাসন নিশ্চিত করতেও এ মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তির কোনো বিকল্প নেই। ইতিহাসের এই কলঙ্কমোচনের দায় শুধু সরকারেরই নয়, পুরো জাতির।
No comments