পদ্মাপাড়ে ওয়াই-ফাই by আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ
রাজশাহী নগরের পদ্মাপাড়ের বড়কুঠি বিনোদনকেন্দ্রে গেলে এখন মনে হবে, বিকেলটা শুধু আর বেড়ানোর নয়। পদ্মার পাড়ের এই জায়গাটায় এসে লেগেছে প্রযুক্তির ঢেউ। এটি এখন তারহীন ওয়াই-ফাই জোন। ল্যাপটপ বা মুঠোফোন নিয়ে এখানে এলে যে কেউ বিনা মূল্যে ব্যবহার করতে পারছেন ইন্টারনেট।
এর আগেও এই বিনোদনকেন্দ্রে লোকজনের উপচে পড়া ভিড় থাকত। তাঁরা শুধু ঘুরে বেড়াতেন। আড্ডা দিতেন। এখনো তাঁরা আসছেন, তবে এখন অনেকেই সঙ্গে নিয়ে আসছেন নিজের ল্যাপটপ, স্মার্টফোন।
দিন কয়েক আগে এক বিকেলে রাজশাহী কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী বিক্রম সরকারের সঙ্গে কথা বলে তা-ই মনে হয়েছে। তিনি, তাঁর বন্ধু দেবাশীষ কুমার প্রামাণিক, ভুবন কুমার দাস, সোহেল রানা ও পার্থ ঘোষ সেখানে বসে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করছেন। প্রথমে দেখে ধারণা হয়েছিল, তাঁরা কয়েকজন বন্ধু মিলে বুঝি আডডা দিচ্ছেন। পরে জানা গেল, আডডার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা আয়ও করছেন। বিক্রমের ভাষায়, ‘আমি ইন্টারনেটের মাধ্যমে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করি। অনেক দেশে আমার তৈরি করা বিভিন্ন ডিজাইন ব্যবহার করা হয়। এই ওয়াই-ফাই জোনে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ থাকার কারণে কাজগুলো খুব সহজেই পাঠিয়ে দিতে পারছি। নেটের গতি ভালো থাকায় আমরা বাইরের বন্ধুদের সঙ্গে ভিডিও চ্যাটও করতে পারছি। এ ছাড়াও বিভিন্ন লেখকের বই নামাতে পারছি।’
গত ১৩ অক্টোবর রাজশাহী সিটি করপোরেশন পদ্মাপাড়ের এই এলাকায় ওয়াইফাই জোনের উদ্বোধন করেছে। সকাল ছয়টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত দুই হাজার মিটার ব্যাসার্ধ নিয়ে যেদিকেই যাওয়া যাবে, সংযোগ পাওয়া যাবে। একসঙ্গে এই সুবিধা পাবেন ২০০ ব্যবহারকারী। পরের দিন থেকেই এই বিনোদনকেন্দ্রের ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে।
সেখানে কথা হলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থীর সঙ্গে। তাঁরা এসেছিলেন পদ্মাপাড়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে। কারও হাতে ল্যাপটপ আবার কারও হাতে মুঠোফোন। সবাই ব্যস্ত। ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সরকার শামসের কথায় বেশ উচ্ছ্বাস পাওয়া গেল, মডেমের তুলনায় বেশি গতি পাওয়া যাচ্ছে। সরাসরি লাইভ খেলা দেখা যাচ্ছে। বিনা মূল্যে সবার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে। এ যেন অন্য জগৎ।
একই বিভাগের সম্প্রীতি বললেন, ‘আগে এখানে এসে শুধু আড্ডা দিতাম। এখন আড্ডার পাশাপাশি ল্যাপটপে বিনা মূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করে সবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি।’ জুনায়েদ সেলিম একটি ভিন্ন কাজ নিয়ে বসেছেন। ভালো গতি পেয়ে তিনি দেশি-বিদেশি বিভিন্ন লেখকের বই ঘাঁটাঘাঁটি করছেন। ডাউনলোড করছেন। তিনি বলেন, ‘এখানে বিনা মূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহারে আমার লেখাপড়ার ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হয়েছে। আগে মডেমে টাকা দিয়েও বেশি সময় লাগত; এখানে বিনা মূল্যে অল্প সময়ে তা পাওয়া যাচ্ছে।’
বিনোদনকেন্দ্র থেকে বের হতে হতে দেখা গেল, সেখানে বসে কেউ ফেসবুক ব্যবহার করছেন, কেউ বা ই-মেইল চালাচালিকরছেন, আবার কেই বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফল বের করছেন। সবাইকে বেশ উৎফুল্ল দেখা গেল প্রযুক্তির এই সুবিধা পেয়ে।
দিন কয়েক আগে এক বিকেলে রাজশাহী কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী বিক্রম সরকারের সঙ্গে কথা বলে তা-ই মনে হয়েছে। তিনি, তাঁর বন্ধু দেবাশীষ কুমার প্রামাণিক, ভুবন কুমার দাস, সোহেল রানা ও পার্থ ঘোষ সেখানে বসে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করছেন। প্রথমে দেখে ধারণা হয়েছিল, তাঁরা কয়েকজন বন্ধু মিলে বুঝি আডডা দিচ্ছেন। পরে জানা গেল, আডডার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা আয়ও করছেন। বিক্রমের ভাষায়, ‘আমি ইন্টারনেটের মাধ্যমে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করি। অনেক দেশে আমার তৈরি করা বিভিন্ন ডিজাইন ব্যবহার করা হয়। এই ওয়াই-ফাই জোনে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ থাকার কারণে কাজগুলো খুব সহজেই পাঠিয়ে দিতে পারছি। নেটের গতি ভালো থাকায় আমরা বাইরের বন্ধুদের সঙ্গে ভিডিও চ্যাটও করতে পারছি। এ ছাড়াও বিভিন্ন লেখকের বই নামাতে পারছি।’
গত ১৩ অক্টোবর রাজশাহী সিটি করপোরেশন পদ্মাপাড়ের এই এলাকায় ওয়াইফাই জোনের উদ্বোধন করেছে। সকাল ছয়টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত দুই হাজার মিটার ব্যাসার্ধ নিয়ে যেদিকেই যাওয়া যাবে, সংযোগ পাওয়া যাবে। একসঙ্গে এই সুবিধা পাবেন ২০০ ব্যবহারকারী। পরের দিন থেকেই এই বিনোদনকেন্দ্রের ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে।
সেখানে কথা হলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থীর সঙ্গে। তাঁরা এসেছিলেন পদ্মাপাড়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে। কারও হাতে ল্যাপটপ আবার কারও হাতে মুঠোফোন। সবাই ব্যস্ত। ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সরকার শামসের কথায় বেশ উচ্ছ্বাস পাওয়া গেল, মডেমের তুলনায় বেশি গতি পাওয়া যাচ্ছে। সরাসরি লাইভ খেলা দেখা যাচ্ছে। বিনা মূল্যে সবার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে। এ যেন অন্য জগৎ।
একই বিভাগের সম্প্রীতি বললেন, ‘আগে এখানে এসে শুধু আড্ডা দিতাম। এখন আড্ডার পাশাপাশি ল্যাপটপে বিনা মূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করে সবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি।’ জুনায়েদ সেলিম একটি ভিন্ন কাজ নিয়ে বসেছেন। ভালো গতি পেয়ে তিনি দেশি-বিদেশি বিভিন্ন লেখকের বই ঘাঁটাঘাঁটি করছেন। ডাউনলোড করছেন। তিনি বলেন, ‘এখানে বিনা মূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহারে আমার লেখাপড়ার ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হয়েছে। আগে মডেমে টাকা দিয়েও বেশি সময় লাগত; এখানে বিনা মূল্যে অল্প সময়ে তা পাওয়া যাচ্ছে।’
বিনোদনকেন্দ্র থেকে বের হতে হতে দেখা গেল, সেখানে বসে কেউ ফেসবুক ব্যবহার করছেন, কেউ বা ই-মেইল চালাচালিকরছেন, আবার কেই বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফল বের করছেন। সবাইকে বেশ উৎফুল্ল দেখা গেল প্রযুক্তির এই সুবিধা পেয়ে।
No comments